‘যব উই মেট’-এ করিনা কপূর বলেছিলেন “ম্যায় আপনি ফেভারিট হু” (self love and care tips), আর তাঁর দেখাদেখি বেশ অনেকেই সেই ডায়লগটি দিতে শুরু করেন। কিন্তু আদতে কি আপনি সত্যিই নিজের ফেভারিট? ঠিক করে ভেবে বলুন তো! সংসার-অফিস-সন্তান ও পারিপার্শ্বিকতার চাপে নিজের জন্য ঠিক কতটা সময় বার করতে পারেন বলুন দেখি। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’, অর্থাৎ আগে নিজের দিকে খেয়াল রাখুন তারপরে অন্যের জন্য চিন্তা করবেন। না, ভাববেন না স্বার্থপর হতে বলছি। ভেবে দেখুন তো, আপনি নিজে যদি ভাল না থাকেন, তাহলে আশেপাশের মানুষগুলোকে কি ভাল রাখতে পারবেন? তাই সবার আগে নিজের যত্ন নিন। কিভাবে? সেই সাজেশনি দিচ্ছি আমরা
এক্সারসাইজ যে-কোনও ফরম্যাটের হতে পারে, বাড়িতে ফ্রি-হ্যান্ড, হাঁটাহাঁটি, জিমে যাওয়া, যোগব্যায়াম...যেটি আপনার পছন্দ ও সুবিধে। কিন্তু রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা করুন। এর পিছনে শরীরকে ঝরঝরে রাখা ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে, সেটি হল, এই সময়টুকু আসলে আপনি নিজের জন্য (self love and care tips) ব্যয় করছেন। তখন চাইলেও সংসার-কেরিয়ার আপনার নিজেকে ভালবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। মেডিটেশন, মানে, ধ্যানে বসাটাও ওই একই কারণে জরুরি। এই সময়টুকু একান্তভাবেই আপনার, অন্য কেউ এখানে ভাগ বসাতে পারবে না। আর এক্সারসাইজ-মেডিটেশনের ফলে যে শারীরিক-মানসিক জোর বাড়বে, সেটা তো উপরি পাওনা।
মাঝে-সাঝে নিজেকে প্যাম্পার করুন। বিউটি পার্লারে যান, ফেসিয়াল-পেডিকিওর-ম্যানিকিওর করান, বডি মাসাজ করান, অয়েল মাসাজ করান, ডি-স্ট্রেসড হোন। পার্লারের ওই মানুষগুলোর কাছে তখন আপনিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা মন দিয়ে আপনার সেবা করবে! রানির মতো ট্রিটমেন্ট পেতে কার না ভাল লাগে? আপনারও লাগবে। মনটা খুশি-খুশি হয়ে যাবে এবং সেই খুশির ডানায় ভর করে অন্যদেরও ভাল রাখতে পারবেন।
ডায়েরি লেখা সাহিত্য নয়, বরং মনোবিদদের ভাষায়, এটি আসলে জার্নালিং, যা এক রকমের থেরাপিও বটে। আর ডায়েরি মানে, মোটেও সারা দিনের পর রাতে বসে দুই পাতা খসখস করে লিখে ফেলা নয়। আপনি ডায়েরি লেখা শুরু করুন একটু অন্য রকমভাবে। প্রথমে সকালে উঠে নিজের সারা দিনের কাজ লিপিবদ্ধ করে ফেলুন। দুটো ভাগ করবেন। একটায় লিখবেন, স্রেফ নিজের জন্য আজ কী-কী করবেন, অন্যটায় বাকি কাজ। এবার দিনের শেষে শুতে যাওয়ার আগে সেটি খুলে বসুন এবং টিক মারুন যেগুলো করে ফেলেছেন সেগুলোতে এবং যেগুলো করতে পারেননি, সেগুলো পরের দিনের জন্য রেখে দিন। তালিকার বাইরে যদি কিছু করে থাকেন, তা হলে সেই পাতাতেই নীচে স্টার মার্ক দিয়ে লিখে রাখুন। মাসখানেক পর জার্নালটি খুলে বসুন, দেখতে পাবেন, স্রেফ নিজের কথা ভেবে (self love and care tips), নিজের ভাল থাকার, খুশি থাকার কথা ভেবে কতটুকু কাজ করেছেন আর বাকিদের জন্য কতটুকু। দুটো ভাগের কাজ যেদিন সমান-সমান হয়ে যাবে, মনোবিদদের ভাষায়, সেদিন আপনি নিজের জন্য নিজেও ফিট, বাকিদের খুশি রাখার জন্যও ফিট!