অন্য অনেক আসনের চেয়ে এটি দেখতে ঢের সোজা! করতে অবশ্য অতটা সোজা নয়। কিন্তু আবার খুব একটা কঠিনও নয়। কিন্তু দেখতে সোজাসাপটা এই আসনটি নিয়মিত করতে পারলে কত উপকার (all you need to know about vajrasana benefits pose and cautions) যে পাবেন, তা আর গুণে শেষ করতে পারবেন না। বজ্র আর আসন, এই দু'টি শব্দ জুড়ে তৈরি হয়েছে এই বজ্রাসন শব্দটি। এই আসনটি করার সময় আপনাকে ঋজু হয়ে বসে থাকতে হবে, তাই আসনটির এরকম নামকরণ হয়েছে। যদিও আমরা জানি যে, এই আসনটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে, তাই খাওয়ার পরে এটি অভ্যাস করতে হয়, কিন্তু এর আরও নানা উপকারিতা আছে। সেই নিয়েই আজ আলোচনা করছি আমরা...
খুবই সাধারণ ভাবে! আসলে এই আসনটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। যা খাবেন, সেটি যদি ভাল করে হজম করতে পারেন, তা হলে তা আর ফ্যাটরূপে গায়ে গত্তি লাগাতে পারবে না। তা ছাড়া, এই আসনটি করার জন্য আপনাকে খাবার পরে অন্তত আধটি ঘণ্টা বসে থাকতে হবে, আপনি ঘুমোতে যেতে পারবেন না। ফলে খাবারজনিত ক্যালরি খরচ করার সময়টুকু আপনার শরীর পেয়ে যাবে। এই কারণেই বজ্রাসন (all you need to know about vajrasana benefits pose and cautions) তলপেটের নাছোড়বান্দা মেদও অনায়াসে কমিয়ে দিতে পারে।
সেভাবে দেখতে গেলে বজ্রাসন কিংবা ডায়মন্ড পোজ করাটা কিন্তু খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। এটি করতে চাইলে আগে শান্ত কোনও জায়গা বেছে নিন। এবার মাটির উপর হাঁটু ভাঁজ করে বসুন। আপনার নিতম্বটি থাকবে দুই পায়ের পাতার উপরে। বসার সময় পিঠ থাকবে সোজা, হাতদু'টি রাখতে হবে দুই হাঁটুর উপরে। চোখ বন্ধ রেখে ধীরে-ধীরে শ্বাস নেবেন ও ছাড়বেন। প্রথমদিকে এভাবে পাঁচ মিনিট বসার চেষ্টা করুন। পরে একটু অভ্যেস হয়ে গেলে আস্তে-আস্তে সময় বাড়ান। মনে রাখবেন, বজ্রাসন সব সময় ভরা পেটে করা ভাল। তবে খাবার খাওয়ার পরেই এই আসনটি করবেন না। মিনিটপনেরো পরে করবেন।
১) আপনি যদি সন্তানসম্ভবা হন, তা হলে এই আসনটি করার সময় দুই হাঁটু জো়ড়া না করে ফাঁক করে রাখুন। তাতে আপনার পেট আরাম পাবে।
২) যাঁদের পায়ে কিংবা হাঁটুতে কোনও রকম ব্যথা আছে কিংবা কোনও অপারেশন হয়েছে অথবা হাঁটু পাল্টানো হয়েছে সম্প্রতি, তাঁরা এই আসনটি করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
৩) যদি আসনটি (all you need to know about vajrasana benefits pose and cautions) করার সময় বা পরে হাঁটুতে কিংবা পায়ে কোনও ব্যথা হয়, তা হলে ধীরে-ধীরে মালিশ করুন, কিন্তু আসনটি করা ছেড়ে দেবেন না।