বাজারচলতি নানা অ্যান্টি-রিঙ্কল ক্রিম বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন ঠিকই, তবে এই প্রোডাক্টগুলোয় রাসায়নিকের পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে যে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। হয়ত একটি সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করলেন কিন্তু ত্বকে আরও দশটি সমস্যা তৈরি হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে ঠাকুমা-দিদিমার বলে যাওয়া ঘরোয়া চিকিৎসার উপরে (Home Remedies For Wrinkles) কিন্তু চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন।
নানা ব্র্যান্ডের নানা দামের অ্যান্টি-রিঙ্কল ক্রিম মাখার পরেও বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পাননি? তাহলে বরং কমদামী ঘরোয়া চিকিৎসার উপরে (Home Remedies For Wrinkles) ভরসা করুন একবার। ডিমের সাদা অংশ বলিরেখা এবং ফাইনলাইন দূর করতে খুবই কার্যকরী।
কী কী উপকরণ প্রয়োজন – একটি ডিমের সাদা অংশ
কীভাবে ব্যবহার করবেন – খুব ভাল করে ডিমের সাদা অংশটি ফেটিয়ে নিন যাতে একটা ক্রিম ক্রিমভাব তৈরি হয়। এবারে ওই ক্রিমটি একটি ব্রাশের সাহায্যে মুখে, গলায় এবং ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ জলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে মুছে নিন।
কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে – যদি বলিরেখা খুব বেশি হয় তাহলে সপ্তাহে দু’দিন করে এই ঘরোয়া ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন (Home Remedies For Wrinkles), অল্প বলিরেখা থাকলে সপ্তাহে একবার করে করুন।
যেহেতু ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে বলিরেখার সমস্যা বেশি দেখা যায়, কাজেই এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা যদি করা যায়, যাতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হবে না, তাহলে তার থেকে ভাল আর কিছুই হয় না। পেট্রোলিয়াম জেলি একদম সেই কাজটিই করে। অর্থাৎ, পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের ময়শ্চার লোক করে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে ভ্যাজলিন অথবা যে-কোনও রেগুলার পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের চামড়া টানটান (Home Remedies For Wrinkles) করে তোলার জন্য।
কী কী উপকরণ প্রয়োজন – ভ্যাজলিন অথবা যে-কোনও পেট্রোলিয়াম জেলি
কীভাবে ব্যবহার করবেন – ভাল করে ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে যতটা প্রয়োজন পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে মাসাজ করুন। ত্বকের যেখানে বলিরেখা রয়েছে সেখানে তো বটেই, এছাড়াও গোটা মুখেও মাসাজ করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, আলতো হাতে মাসাজ করবেন। মিনিট পাঁচেক মাসাজ করলেই দেখবেন যে ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি বসে গেছে।
কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে – প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে মাসাজ করুন, মাসখানেকের মধ্যেই দেখবেন বলিরেখা কতটা কমে গেছে।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত এবং অ্যাকনের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা বলিরেখা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে এই টোটকাটি একদম ট্রাই করবেন না।
ভিটামিন ই ত্বকের পরিচর্যায় দারুণ কাজ দেয়। যে-কোনও রকমের ত্বকের সমস্যার দ্রুত সমাধানে এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি কিন্তু খুবই জবরদস্ত! অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এ সমৃদ্ধ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে; ফলে ত্বকের স্বাভাবিক ইলাস্টিসিটি বজায় থাকে এবং বলিরেখা পড়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
কী কী উপকরণ প্রয়োজন – একটি বা দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
কীভাবে ব্যবহার করবেন – একটি ছোট্ট কাচের বাটিতে যতগুলো প্রয়োজন ততগুলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে নিন। এবারে ক্যাপসুলের ভিতরের তেলটি বলিরেখাযুক্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক আলতো হাতে মাসাজ করুন। খুব বেশি চাপ দেবেন না, তাতে ত্বকের চামড়া আরও বেশি কুঁচকে যেতে পারে। দু-তিন ঘন্টা ওভাবেই রেখে দিন। ভিটামিন ই অয়েল ত্বক শুষে নেবে।
কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে – প্রতিদিন রাতে (Home Remedies For Wrinkles) শুতে যাওয়ার আগে করতে পারেন অথবা যে-কোনোও সময়ে যখন কোনও কাজ করবেন না।