যাঁরা একটু স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা অনেকেই স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ওটস। আর আপনিও যদি সেই তালিকায় পড়েন, তবে আপনার বাড়িতে ওটস থাকা কিন্তু মাস্ট!
ওটস খেতে অনেকেই পছন্দ করেন, আবার অনেকে স্বাদের কথা না ভেবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেও ওটস খেয়ে থাকেন। চটজলদি তৈরিও করা যায়।
কিন্তু ওটস যে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার তা নয়, একইসঙ্গে ত্বকের যত্নে ওটস দারুণ কার্যকরী। তাই আপনার ত্বককে আরও উজ্জ্বল ও কোমল করে তুলতে অবশ্যই ওটসের দারুণ গুণ (oats face pack)রয়েছে। ওটস আপনার ত্বকের কী উপকার করে , আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ব্রণর সমস্য়ায়
আধ কাপ জলে আধ কাপ ওটস ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে একটি মিশ্রণ তৈরি হয়ে যাবে। ত্বকের যে অংশে ব্রণ রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ আঙুলে করে লাগিয়ে নিন। অন্তত ১৫ মিনিট এই প্যাক রাখুন। তারপর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নেবেন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই ওটস ফেস প্যাক (beauty benefits of oats)ব্যবহার করুন। ব্রণর সমস্যা সমাধান হবে।
ট্যানের জন্য
তিন টেবিল চামচ ওটস পাউডার নিন। তার সঙ্গে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে নেবেন। একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। এরপর ত্বকের যেসব অংশে সান ট্যান রয়েছে, সেখানে প্যাক লাগিয়ে রেখে দিন। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই প্যাক (oats face pack)লাগান।
ব্ল্যাকহেডসের জন্য
দুই টেবিল চামচ ওটস পাউডার নিন। তার সঙ্গে তিন টেবিল চামচ ইয়োগার্ট এবং আধ টেবিলচামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ নাকের উপরে, দুই পাশে, থুতনিতে লাগিয়ে নেবেন। এছাড়াও ত্বকের যে সব অংশে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে, সেখানে লাগিয়ে রাখুন। ভাল করে স্ক্রাব করে নেবেন। মনে রাখবেন খুব বেশি ঘষবেন না। অন্তত ১৫ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলবেন। ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আপনার ত্বক ভাল থাকবে (beauty benefits of oats)।
যে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন - প্রতিটি ফেস মাস্ক লাগানোর আগে আপনার হাতের একটি ছোট অংশে লাগিয়ে দেখে নিন। যদি ত্বকে কোনও সমস্যা না হয় তবেই একমাত্র আপনার মুখে লাগাবেন। সংবেদনশীল ত্বক হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।