ওজন কমানো এখন নতুন ট্রেন্ড। ভুঁড়ি কমিয়ে আকর্ষণীয় শরীর পেতে সবাই দিন-রাত ঘাম ঝরিয়ে চলেছে। সঙ্গে সমান তালে চলছে ডায়েটিংও। আজকাল কত ধরনের ডায়েট প্ল্যানের খোঁজ মিলছে বলুন তো! কেউ বলছে, সারা দিন শুধু প্রোটিন খেয়েই নাকি ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। কারও-কারও দাবি, ওজন কমাচ্ছেন মানেই ভাত-রুটি ছাড়তে হবে, এমন নয়। বরং বুঝে-শুনে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। এই সব নিয়েই যখন শোরগোল তুঙ্গে, তখন আরও একটি নতুন পদ্ধতির (eat alone to lose weight) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রোগা হতে গেলে নাকি একা-একা খাওয়া দাওয়া করা উচিত, এমনই দাবি একদল বিশেষজ্ঞের। কথাটা শুনে চোখ কপালে উঠেছে? আরে, দাঁড়ান দাঁড়ান, গল্প এখনও ঢের বাকি!
যে-কোনও ধরনের ডায়েট প্ল্যান মেনে চলার সময় ভিড় এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। একথা তো মানবেন যে, কোনও ডায়েট প্ল্যানই সোজা নয়। তাই মন থেকে ডায়েটিং করছেন, এমন লোকের সংখ্যাও বড়ই কম। এখন যে মানুষটা জোর করে ডায়েটিং করছেন, তার সামনে যদি কেক-পেস্ট্রি বা বিরিয়ানি খাওয়া হয়, তা হলে তিনি নিজেকে বেঁধে রাখবেন কীভাবে শুনি! এমন লোভের ফাঁদে পড়ে সিংহভাগই ডায়েট প্ল্যান (eat alone to lose weight) মেনে চলতে পারেন না। ফলে দিনের শেষে কোনও সুফলই মেলে না। তাছাড়া খাদ্যরসিক বাঙালির মাঝে-মধ্যে বিরিয়ানি, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, নয়তো চপ-কাটলেট খেতে তো মন চাইবেই। আর খাওয়ার টেবিলে সেসব কথা মায়ের কানে গেলে ডায়েটিং তো লাটে উঠবেই! তাই তো একা-একা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একা খেলে বাকিদের দেখে লোভ লাগার আশঙ্কা থাকে না। এদিকে মায়ের চাপে পড়ে বেশি খেয়ে ফেলার মতো পরিস্থিতিও এড়িয়ে চলা যায়। ফলে ডায়েট প্ল্যান (eat alone to lose weight) মেনে খাওয়াদাওয়া চালিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা একটু হলেও বাড়ে বই কী!
American Journal of Clinical Nutrition-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করলে গল্পের ছলে ডায়েটিংয়ের কথা মাথা থেকে ঠিক বেরিয়েই যায়। ফলে খাওয়ার পরিমাণে কোনও নিয়ন্ত্রণই থাকে না। আর বুঝেশুনে না খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। একই স্টাডিতে এও দেখা গেছে যে চেনা মানুষদের সঙ্গে লাঞ্চ-ডিনার সারার সময় মন মেজাজ এতটাই ফুরফুরে থাকে যে সেই কারণেও খাওয়ার দিকে আমাদের কোনও নজর থাকে না। তাই বুঝতেই পারছেন, চটজলদি ওজন ঝরাতে চাইলে একা একা খাওয়া দাওয়া (eat alone to lose weight) করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১. রোজের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকা মাস্ট!
২. যতটা সম্ভব চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। ভাজা জাতীয় খাবার খাওয়াও চলবে না।
৩. Healthy Fat রয়েছে এমন খাবার খেলে উপকার পাবেন।
৪. প্রতিদিন মিনিটকুড়ি হাঁটাহাঁটি করলে (eat alone to lose weight) ফল মিলবেই মিলবে।
৫. কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া তো চলবেই না। এমনকী, যে সব পানীয়তে প্রচুর মাত্রায় ক্যালরি রয়েছে, সেগুলির কথাও ভুলে যেতে হবে।
৬. দিনে লিটার তিন-চারেক জল খেতে ভুলবেন না! তাতে করে ওয়াটার রিটেনশনের আশঙ্কা কমার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও আর থাকবে না।