অনেকেই বলেন এই বিউটি প্রোডাক্ট নাকি সবথেকে আন্ডার রেটেড, কারণ এর মর্ম অনেকেই বোঝেন না। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকেন না। আর তাই বুঝে উঠতে পারেন না, ত্বকে টোনারের প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা! বিউটি রুটিন মেনে চলার সময় অনেকেই টোনার ব্যবহার (benefits of using toner) করেন। প্রতিদিন সকালে উঠে কিংবা রাতে শুতে যাওয়ার সময় হয়তো টোনার ব্যবহার করেন, কিন্তু তা প্রতিদিন নিয়ম করে মেনে চলা হয় না।
তার জন্যই ত্বকের নানা রকম যত্নের পরেও ত্বক সেভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না। আর তার কারণই হল, প্রতিদিন টোনার ব্যবহার করা হয় না। কেন টোনার ব্যবহার করবেন? ত্বকের যত্নে টোনার কতটা কার্যকরী (benefits of using toner) তা কীভাবে বুঝবেন, আসুন সেই সব বিষয়েই আজ আলোচনা করা যাক।
আপনি প্রতিদিন মেকআপ তোলার পর ত্বকে প্রথমে কী লাগান? ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে কিংবা ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন? আপনাকে জানিয়ে রাখি, আপনি যেভাবেই ত্বক বা মুখ পরিষ্কার করেন না কেন, আপনার প্রয়োজন টোনার (benefits of using toner) । টোনার গভীরে গিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করে।
ত্বক কিন্তু অ্যাসিডিক। ০-১৪ স্কেলে এই পিএইচ-র মাত্রা হওয়া উচিচ ৫-৬। কিন্তু নানা কারণেই আমাদের ত্বকে পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়। দূষণ, বিভিন্ন প্রোডাক্ট সহ অন্যান্য কারণেও ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। পিএইচ-র মাত্রা এধার ওধার হলেই কিন্তু ত্বকে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। তাই সবার প্রথমেই ত্বকের পিএইচ-র মাত্রা ঠিক রাখা প্রয়োজন। আর এই কাজটাই করে টোনার। আপনি যদি নিয়মিত মুখে টোনার লাগান, তবে টোনার আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখবে (benefits of using toner) ।
যাঁদের মুখের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের মুখে ময়লা জমার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তুো মুখ তরতাজা রাখতে টোনার দারুণ কাজ দেয়। ত্বক পরিষ্কার করে শ্বাস নিতে সাহায্য করে এই প্রোডাক্ট (benefits of using toner) ।
ত্বককে তরতাজা রাখা ও ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। কয়েকটি টোনার কাজ করে হিউমিকট্যান্ট হিসেবে। তাই এই জাতীয় টোনার আপনি ত্বকে ব্যবহার করলে অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে।
আসলে লোমকূপ বাড়তে থাকলে তাতে ধুলো-ময়লা জমতে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এমনকী নানা প্রসাধনী আটকে গিয়ে ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে। ব্রণ, অ্যাকনের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। কিন্তু টোনার ব্যবহার (benefits of using toner) করলে রোমকূপ সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। ফলে মুখও টোনড থাকে ও এই ধরনের কোনও সমস্যা হয় না।
প্রতিদিন সকালে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে আপনি টোনার ব্যবহার করতে পারেন। একইভাবে মেকআপ করার আগে ও মেকআপ তোলার পরেও আপনি টোনার লাগিয়ে নিতে পারেন। অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে তবেই টোনার লাগাবেন। তার জন্য একটি তুলোর প্যাডে পরিমাণ মতো টোনার (benefits of using toner) নিয়ে মুখের ত্বকে বুলিয়ে নিন। আপনার মুখ থাকবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।