কোয়ারান্টাইনের সময়টা সবার কাছে একইরকম ভাবে সহজ নয়। সহজেই পেরিয়ে যায় না। লকডাউনে যেমন ঘরের ভিতর থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও। এই সময় দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। যা ক্ষতি করতে পারে আপনার স্বাস্থ্যেরও। আমাদের ঘরের মধ্যেই থাকতে হবে, তবে ঘরের মধ্যে থেকেও যাতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন সুস্থ থাকা।
আপনার প্রিয় কাজ কিংবা সহজ কিছু ব্যায়ামই হোক (mental health during lockdown) , তাই করতে হবে। এমন কিছু অভ্যাসের মধ্য়ে থাকতে হবে, যা আমাদের মানসিক শান্তি দেয়, আমাদের ভাল রাখে। মনখারাপ কাটিয়ে ফেলার জন্য আরও বেশি সময় নিজেদের দিতে হবে। আমাদের কাছে বেশ কিছু পরামর্শ রয়েছে যা এই লকডাউনের দিনে আপনাকে ভাল রাখতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক…লকডাউনে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখবেন কীভাবে
একটি সাধারণ রুটিন মেনে চলবেন
একটি রুটিন মেনে চলতে পারলে, তা আমাদের ভাল থাকতে অনেকটাই সাহায্য করে। রুটিন মানে শুধুই আপনার ওয়ার্ক ফ্রম শিডিউলের কথা বলা হচ্ছে না। এর মানে, সারাদিনের সময়ের মধ্যে থেকে নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। নিজের হবির জন্য সময় দিতে হবে। একটি অভ্যাসের মধ্যে থাকতে হবে। এটি ক্লান্তিভাব কমাতে সাহায্য করবে এবং মনের অবস্থার ব্যালেন্স বজায় রাখবে। সরাসরি কাজ শুরু করার আগে শান্ত হয়ে বসুন। সারাদিন কী করবেন, তার একটি লিস্ট (mental health during lockdown)তৈরি করুন। সেই রুটিন মেনে চলুন।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্রেক নিন
সোশ্যাল মিডিয়া এবং কোভিড-১৯ বিষয়ক অতিরিক্ত খবর কিন্তু আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে খুবই প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ডিজিটাল জগৎ থেকে একটা ব্রেক নিন। যখন সম্ভব তখনই ব্রেক নিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে তো অবশ্যই সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করুন।
ঘর পরিষ্কার করুন
নিজের ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিয়ে গুছিয়ে ফেলতে পারেন। এটি আপনার মনকে শান্ত রাখে এবং আপনার মুড ভাল করে। আপনার কাজের সময় অনুযায়ী প্রতিদিনের একটি রুটিন করুন। সেই অনুযায়ী বাড়ির প্রতিটি অংশের জন্য সময় দিন। নির্দিষ্ট দিনে বাড়ির নির্দিষ্ট অংশ পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন। সুন্দর করে ও নতুন করে সেই কোণটি সাজিয়ে ফেলুন।
একটি কোয়ারান্টাইন হবি বেছে নিন
লকডাউনে নিজের পছন্দের কাজ কিন্তু করতেই হবে। সেটা ছবি আঁকা হতে পারে, নাচ অভ্যাস করতে পারেন কিংবা যে কোনও শিল্পে মন দিতে পারেন। আপনার যে কাজ করতে সত্যিই ভাল লাগে, সেই কাজটি করুন। লিখতে ভাল লাগলে লিখতেও পারেন। এটি আমাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বাঁধাধরা শিডিউল থেকে আপনাকে একটি বিরতিও দেয়। লকডাউনে তাই মন খারাপ করবেন না। নিজেকে ব্যস্ত রাখাই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে মন দিন। সৃজনশীল কাজ করুন।
ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। সময়ের অভাব ও ক্লান্তির কারণে ব্যায়াম করা যেন বন্ধ না হয়। সাধারণ কিছু স্ট্রেচিং করতে পারেন। যোগাসন অভ্যাস করতে পারেন। এটি থেকে আপনি পজিটিভ এনার্জি পাবেন। ভাল চিন্তাভাবনা করতেও সাহায্য করবে। আপনার রুটিন এবং পছন্দ অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটি সময় বেছে নিন। যে সময়ে আপনি প্রতিদিন ব্যায়াম করবেন (mental health during lockdown)।
মূল ছবি – পেক্সেলস ডট কম
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!