প্যানডেমিক কি শুধু ভাইরাস সংক্রমণের কারণেই মানুষের প্রাণ কেড়েছে? না তা নয়। আর্থিক সংকট, বেকারত্বের সাক্ষী যেমন করেছে। একইভাবে আরও অনেক অনেক নিষ্ঠুর সত্যির সামনে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে প্যানডেমিক। গত বছর এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল যে, লকডাউনে মহিলাদের উপর শারীরিক অত্যাচার অনেকাংশেই বেড়েছে। ২০২১-এর জানুয়ারিতে একটি গবেষণায় প্রকাশ করা হয়, প্যানডেমিকে শারীরিক অত্যাচার বেড়েছে। আর প্যানডেমিকের কারণে প্রভাব পড়েছে মহিলাদের স্বাস্থ্যকাঠামোর উপরেও। তাই প্যানডেমিকে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, কিন্তু যাঁরা শারীরিক অত্যাচারের শিকার…তাঁদের ক্ষতির পরিমাণটি হয়তো আমাদের থেকে সামান্য হলেও বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লকডাউনের পর সারা বিশ্বে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার অনেকাংশে বেড়েছে (no to domestic violence) । আর তার জন্য অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অনেকেই।
অত্যাচার থামানোর জন্য অনুরোধ কেন? প্রতিবাদ করুন
আপনার উপরেও কি শারীরিক অত্যাচার হচ্ছে?
বাইরের কোনও ব্য়ক্তির থেকেও পরিবারের পুরুষ সদস্যের দ্বারা শারীরিক ভাবে অত্যাচারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেশি। যৌন মিলনের সময় জোর করার কারণে অনেক সময় আপনার স্বামী আপনার উপর হিংস্র হতে পারেন। আপনার উপর শারীরিক অত্যাচার হতে পারে। এছাড়াও আপনার স্বামী অশান্তির সময় আপনার গায়ে হাত তুলতে পারেন। আপনাকে আঘাত করতে পারেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একজন মহিলা যখন শারীরিক অত্যাচারের শিকার হন, তখন তিনি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। চিৎকার করেন। কান্নাকাটি করেন। অনুরোধ করেন, তাঁকে অত্যাচার না করার জন্য। কিন্তু তিনি ভুলে যান, তাঁর বিপরীতেও একজন মানুষই আছেন। তিনি পালটা আঘাত করতে পারেন। শরীরের ক্ষমতায় বা বুদ্ধির জোরে তিনি সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। অনুরোধ কেন করবেন? পালটা আঘাত ফিরিয়ে দিলে হয়তো তাঁর উপর আর আঘাত আসবে না। এরপর তিনি আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন, কিন্তু সেই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
লকডাউনে শারীরিক অত্যাচার বেশি কেন
যাঁরা স্ত্রী-র উপর শারীরিক অত্যাচার করেন, তাঁরা ভাবেন তাঁদের থেকে তাঁদের স্ত্রী’রা দুর্বল। দুর্বলের উপর নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ার কিংবা তাঁর উপর নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন অনেক বেশি সহজ। যেই একই কারণে, সন্তানকে মারধর করেন অনেকেই। কারণ, সন্তান কখনও ঘুরিয়ে মারবে না। সে দুর্বল।
যে শারীরিক অত্যাচার করবে, সে সাধারণ সময়েও করবে এবং লকডাউনের সময়েও করবে। কিন্তু লকডাউনের কারণে, সে বেশিরভাগ সময়ে বাড়িতে থাকে। অফিসের হতাশা কিংবা বেকারত্বের হতাশা তার মধ্যে থাকে। সেই হতাশা প্রকাশ করার জায়গা হিসেবে স্ত্রী-কে বেছে নিচ্ছে। আর ছোট অশান্তিতেই লকডাউনে শারীরিক অত্যাচার (no to domestic violence) শুরু হয়ে যাচ্ছে।
আপনার পরিচিত কিংবা আপনি যেই শারীরিক অত্যাচারের শিকার হন, বিরুদ্ধ পদক্ষেপ করুন
আপনি যদি শারীরিক অত্যাচারের শিকার হন, তবে আপনার কাছের কোনও বন্ধুকে সেই কথা জানান। দুইজনে মিলে একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। কোনও রকম অত্যাচার আপনি ডিজার্ভ করেন না। এই কথা মনে রাখবেন। কেউ যদি আপনার উপর অত্যাচার করে, তবে তাকে নিজের রাস্তা দেখিয়ে দিন।
আপনার কোনও পরিচিত শারীরিক অত্যাচারের শিকার (no to domestic violence) হলে, তাঁর পাশে দাঁড়ান। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। হয়তো এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে তাঁর একটি হাত প্রয়োজন। বন্ধুত্বের সেই হাত আপনারও হতে পারে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!