শুধু কি ফেলুদার, আপনারও তো আছে মগজাস্ত্র? তা হলে সেটাকে অমন শোপিসের মতো সাজিয়ে রেখেছেন কেন? একটু কাজে লাগান! তাতে বুদ্ধির ধার একটু বাড়বে বই কী! ভাবছেন, কাজে লাগাবেন কীভাবে? না, না কোনও গোয়েন্দাগিরি করতে হবে না। বরং এখানে বাংলা-হিন্দি মিশিয়ে কয়েকটা জমাটি থ্রিলারের (watch these thrillers in lockdown) লিস্ট দিয়ে দিলাম আমরা। লকডাউনের আলসে দুপুরে ঝটপট সেগুলো দেখে ফেলুন। আর সিনেমা শেষ হওয়ার আগেই বুঝে ফেলার চেষ্টা করুন, কী হতে চলেছে। কাছাকাছি একটা এন্ডিং আন্দাজ করতে পারলেই বুঝবেন, বুদ্ধিতে এখনও জং পড়েনি! প্রসঙ্গত, ফেলুদা এবং ব্যোমকেশ সিরিজকে আমরা এই তালিকার বাইরে রাখলাম! কারণ, ওগুলি ইতিমধ্যেই সর্বকালের সেরা থ্রিলারের (watch these thrillers in lockdown) তালিকায় ঢুকে রয়েছে!
শবর সিরিজ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কলমে জন্ম নেওয়া ডিটেকটিভ শবর এখন সিনেমার পর্দাতেও সমান জনপ্রিয়। কলকাতা পুলিশের এই জাঁদরেল অফিসার যেমন বুদ্ধিমান, তেমনই চৌখস। তাঁর নজর এড়িয়ে কারও পক্ষেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আর সেকথাই বারে-বারে ধরা পরেছে ‘ঈগলের চোখ’, ‘গোয়েন্দা শবর’ এবং ‘আসছে আবার শবর’-এর মতো সিনেমায়। তবে এই সিরিজে সবচেয়ে সেরা বোধ হয় ‘আসছে আবার শহর’। গল্পটির কেন্দ্রে আছেন তিন মহিলা, যাঁরা নানা কারণে খুন হন। নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে বেশ কিছু ডেটিং সাইটের নামও। কলকাতা পুলিশ যখন কিছুই করে উঠতে পারছেন না, তখন কেস যায় ডিটেকটিভ শবরের হাতে। শুরু হয় নতুন করে তদন্ত। সন্দেহ দানা বাঁধে বিজয় সেন (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) নামে একজন ব্যক্তিকে ঘিরে। তিনিই কি সবক’টা খুন করেছেন? নাকি দায়ী অন্য কেউ? টানটান গল্পের (watch these thrillers in lockdown) শেষটা মন্দ নয়। অভিনয়ে শাশ্বত চ্যাটার্জির কাজ সত্যিই মনে রাখার মতো। অরিন্দম শীলের পরিচালনাও খারাপ নয়।
তিন
৭০ বছর বয়সি জন বিশ্বাস তাঁর স্ত্রী এবং নাতনিকে নিয়ে কলকাতায় থাকেন। সব ঠিকই চলছিল। হঠাৎ একদিন তাঁর নাতনি নিখোঁজ হল। শত চেষ্টাও খোঁজ মিলল না তাঁর। এদিকে এই কেস নিয়ে পুলিশের আগ্রহ কমছে। কিন্তু জন চেষ্টা থামাতে নারাজ। তিনি একাই শুরু করেন তদন্ত। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার মার্টিন দাস (নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি)। গল্প এগতে থাকে। শেষে কী হয় সেটাই দেখার।
২২শে শ্রাবণ
থ্রিলারের লিস্টে এই ছবিটিকে না রাখলেই নয়। সৃজিত মুখার্জির পরিচলনা মনে রাখার মতো। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছেন প্রসেনজিৎ, পরমব্রত এবং গৌতম ঘোষের মতো অভিনেতারা। গল্পটাও বেশ টানটান। কলকাতা শহরে একের পর এক খুন হচ্ছে। এদিকে পুলিসের শত চেষ্টার পরেও অধরা সিরিয়াল কিলার। শেষে কিছুটা বাধ্য হয়ে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা প্রবীর রায়চৌধুরীর (প্রসেনজিৎ) হাতে এই কেসের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এর পরই গল্প বাঁক নেয় অন্য দিকে। ধীরে-ধীরে ঘটনার জালে জড়িয়ে পরে বাকি চরিত্ররাও। এভাবেই গল্প এগিয়ে চলে তার অন্তিম লগ্নের দিকে। এই ছবির শেষটাই কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ।
অন্ধাধুন
অন্ধ পিয়ানোবাদক আকাশ (আয়ুষ্মান খুরানা) ঘটনাটক্রে সাক্ষী হয়ে যায় এক প্রাক্তন ফিল্মস্টারের মার্ডারের! ফিল্মস্টারের স্ত্রী সিমি, আকাশের প্রেমিকা সোফি, ইন্সপেক্টর মনোহর, হাতুড়ে ডাক্তার স্বামী, সকলের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে ছবির গল্প! যে-কোনও উৎকৃষ্ট থ্রিলারের (watch these thrillers in lockdown) মতো এই ছবিটিরও পরতে-পরতে আছে বিস্ময়!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!