ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
দীর্ঘমেয়াদী ওয়ার্ক ফ্রম হোম আপনার ডিপ্রেশনের কারণ নয় তো? কীভাবে  নিজেকে সাহায্য করবেন

দীর্ঘমেয়াদী ওয়ার্ক ফ্রম হোম আপনার ডিপ্রেশনের কারণ নয় তো? কীভাবে নিজেকে সাহায্য করবেন

কমিউনিকেশন। আমাদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাল থাকার জন্য, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য় আমাদের কমিউনিকেশনের দিকটিও যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে দেখতে হয়। যখন আপনি কারও সঙ্গে কথা বলেন, আড্ডা দেন কিংবা কোনও বিষয় তর্ক করেন (ঝগড়া নয়), সেখানে একটি কমিউনিকেশন তৈরি হয়। একে অন্যের সঙ্গে কথা বলা। আর সত্য়ি বলতে কী জানেন, আমরা হয়তো জানি না কিন্তু এই কথোপকথন কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের অনেক কঠি সমস্য়া সমাধান করে দিতে পারে।

ভাবছেন হঠাৎই কমিউনিকেশন নিয়ে কেন কথা বলছি। কারণ সারাদিন বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য আমরা সেই পুরনো যোগাযোগগুলো মিস করি(working from home)। অফিসে কাজ করার সময় সহকর্মীর সঙ্গে কাজ নিয়ে আলোচনা। কাজের ফাঁকে চা বা কফির আড্ডা, একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার…এই সব কিছুতে ছোট্ট ছোট্ট কমিউনিকেশনগুলো মিস করি আমরা। আর আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে একাকিত্ব।

ওয়ার্ক ফ্রম হোম(working from home) যেমন একদিকে ভাল, অন্য় দিকে অনেকের জন্যই বেশ কষ্টের। বিশেষ করে, যাঁদের আগে থেকেই কোনও মানসিক সমস্য়া ছিল তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে (WFH and depression) যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার।

ADVERTISEMENT

দিনের বেশিরভাগ সময়ই ল্যাপটপের সামনে কাটে?

ওয়ার্ক ফ্রম হোম কি ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে?

অফিসে না যাওয়া কিংবা বাড়ি থেকে একা একা কাজ করাই অনেক কর্মীর ডিপ্রেশনের সরাসরি কারণ হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে না হতে পারে। রেজাল্ট মিশ্র।

মানসিক চাপ – ওয়ার্ক ফ্রম হোম (working from home)যে কর্মীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে, তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য় একটি ছোট্ট উদাহরণ দেব। একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করব।

ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অফ লিভিং অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনের তরফে ২০১৭ সালে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাদের কর্মীদের উপরেই তারা গবেষণা করেছিল। দেখা যায়, ৪১ শতাংশ কর্মী যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতেন তাঁদের স্ট্রেসের পরিমাণ অফিসে কর্মরত ২৫ শতাংশ কর্মীদের থেকে অনেক অনেক বেশি। স্ট্রেস ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ। তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম যে সরাসরি মানসিক অবসাদ (WFH and depression) তৈরি করতে পারে, তার একটি প্রমাণ পাওয়া গেল।

ADVERTISEMENT

 

স্ট্রেস কিন্তু ক্ষতিকারক

একাকিত্ব – বাড়ি থেকে কাজ করলে(working from home) না কি ‘অত্যন্ত মনযোগ’ দিয়ে কাজ করা যায়। কর্মীর জন্য যে গোল তৈরি করা থাকে, কোনও রকম বাধা ছাড়াই সেই কাজটা তিনি করতে পারেন। অত্যন্ত মন দিয়ে করতে পারেন। বাড়ি থেকে যাঁরা কাজ করেন, বিশ্বাস করা হয় তাঁরা পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে পারেন। অর্থাৎ, কাজের মধ্যে ১৫ মিনিট ব্রেকে সন্তানকে খাইয়ে নিতে পারেন। কাজের পর বাবা, মায়ের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। পরিবারের আরও কাছের হয়ে উঠতে পারেন তাঁরা। কিন্তু কতজন কর্মী এই কাজটা করতে পারেন? প্রশ্ন কিন্তু এটাই।

ADVERTISEMENT

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একা ঘরে কর্মীকে বসে কাজ (working from home) করতে হয়। অনেক সময় দরজা বন্ধ করে কাজ করতে হয়। একটা ঘরে একা একা কাজ করার পরিণতি কী হতে পারে জানেন? অফিসে চার, পাঁচটা মানুষের সঙ্গে হলেও আপনার বার্তালাপ হত। মনে করে দেখুন, আপনারা টি-ব্রেক নিতেন। কিন্তু এখন সেসব কোথায়? ভার্চুয়ালি তা হয় না। অর্থাৎ, আপনি একাই। যার জন্য ইনসোমনিয়া হতে পারে। এমনকী ডিপ্রেশন (WFH and depression)পর্যন্ত গড়াতে পারে পুরো বিষয়টি। একাকিত্ব কিন্তু মাদাকসক্তির মতোই ক্ষতিকারক।

 

কাজের জন্য মানিসক চাপ নেবেন না

ADVERTISEMENT

কাজের চাপ – যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন না, তাঁরা মনে করেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের চাপ অনেক কম। কিন্তু তাঁরা জানেন না, আসলে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের চাপ কিন্তু বেশি। যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করেন তাঁরা বোধ হয় জানেন। অফিসের কাজের বাঁধা সময়ের থেকে অনেক বেশি সময় কাজ করতে হয় অনেককে। আর তার জন্য বেশি স্ট্রেস পড়ে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং তার ফল উচ্চ রক্তচাপ (WFH bad for health)। আর এই সবই ডিপ্রেশনের (WFH and depression) অন্যতম কারণ হতে পারে।

আপনি কীভাবে নিজেকে সাহায্য করতে পারেন

কফি বানিয়ে খেতে পারেন


মনে রাখবেন এটি একবিংশ শতাব্দী। মানুষের সময় কম। সময় থাকলেও মানুষ যত বেশি সামাজিকতায় বিশ্বাস করে, তার থেকে অনেক বেশি ভরসা রাখে সামাজিক মাধ্যমের উপর। ভার্চুয়াল বিশ্ব দিনের শেষে আমাদের সামনে একরাশ মন খারাপ ছাড়া কিছুই দিতে পারে না। তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে করতে যদি মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েন, তবে নিজেকেই নিজে সাহায্য করুন।

ADVERTISEMENT

বন্ধুকে ফোন – কোনও বন্ধুকে ফোন করুন। সারাদিন কাজ করার পর বাড়িতে একা লাগছে? কোনও বন্ধুকে ফোন করুন। অনেকদিন যে বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়নি, এমন কাউকে ফোন করতে পারেন। আজ এক বন্ধুকে ফোন করলেন, আগামীকাল অন্য বন্ধুকে ফোন করতে পারেন। এইভাবে প্রতি বন্ধুর সঙ্গে আপনারও যোগাযোগ ভাল থাকবে। আপনার মনও ভাল থাকবে। হয়তো আপনার বন্ধুরও একইভাবে ভাল লাগবে (WFH and depression)।

 

বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন

ADVERTISEMENT

মেডিটেশন – কাজ শুরুর আগে বা কাজ শেষ হওয়ার পর প্রতিদিন মেডিটেশন করুন।

ওয়ার্ক স্পেস তৈরি – মনে করে দেখুন, আপনার অফিসে আপনার পছন্দের একটি ডেস্ক ছিল। সহকর্মীরা সবাই পাশাপাশি বসে কাজ করতেন। মাঝেমধ্য়ে আড্ডাও হত। আপনার বাড়িতেও একটি ওয়ার্ক স্পেস তৈরি করে নিন। ওয়ার্ক টেবিলে দরকারি কাগজ, টেবিল ল্যাম্প ও গাছ দিয়ে সাজাতে পারেন। দেখতেও ভাল লাগে। আপনার মনও ভাল থাকে।

ব্রেক নিন – টানা কাজ করবেন না। কাজের মধ্যে ছোট ছোট ব্রেক নিন। মনে করে দেখুন, অফিসে থাকতেও আপনি ব্রেক নিতেন। হয়তো পাশের চেয়ারে কারও সঙ্গে কথা বলতেন। ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে চা বা কফি খেতেন। একটু হেঁটে আসতেন। বাড়িতেও তাই করবেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। চা বানিয়ে খেতে পারেন। বিকেল হলে গাছে জল দিতে পারেন। সামনের রাস্তায় একটু হাঁটতে পারেন। মন ভাল থাকবে।

ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার কারণে যদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে সত্য়িই খুব গুরুতর প্রভাব পড়ে, তবে কাছের কোনও বন্ধু বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন। মনে রাখবেন, আপনি একা নয়। আমরা সবাই আপনার সঙ্গেই রয়েছি।

ADVERTISEMENT
https://bangla.popxo.com/article/benefits-and-right-way-to-do-kapalbhati-pranayama-in-bengali

POPxo এখন চারটে  ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

18 Jun 2021

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT