ADVERTISEMENT
home / পেরেন্টিং টিপস
গর্ভাবস্থায় সাবধানে থাকার জন্য কর্মরত মহিলাদের জন্য রইল কয়েকটি টিপস

গর্ভাবস্থায় সাবধানে থাকার জন্য কর্মরত মহিলাদের জন্য রইল কয়েকটি টিপস

অনেকেই মনে করেন মাতৃত্ব নাকি জীবনের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতি। জীবনের এক বড় অধ্যায়ও বটে। যাঁরা অভিজ্ঞ তাঁরা অন্তত সেরকম কথাই বলেন। তবে গর্ভাবস্থায় অনেকটাই সাবধানে থাকতে হয় হবু মা’কে। অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এখন বেশিরভাগ মেয়েরাই কর্মরতা ও সাবলম্বী। গর্ভাবস্থায় কি তাহলে তাঁরা কাজ ছেড়ে দেবেন? কেরিয়ারে ইতি টানবেন? একদমই না। এখন অনেক কোম্পানিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ রয়েছে, সেই কথা ঠিক। কিন্তু অনেককেই আবার অফিসেও যেতে হচ্ছে।

সাধারণ কয়েকটা বিষয় মনে রাখলে গর্ভাবস্থায়ও আপনার কাজ সামলাতে কোনও অসুবিধে হবে না। শারীরিক তো বটেই, মানসিক ভাবে ভাল থাকার জন্যও কিছু প্ল্যানিং জরুরি। কিছু নিয়ম মেনে চলাও দরকার। কীভাবে ওই সময়টা ব্যালেন্স করবেন দুটো দিক তারই একটা গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। কর্মরত গর্ভবতী মহিলার (working pregnant women)জন্য রইল জরুরি কিছু টিপস।

 

অফিসে ব্যালেন্স করবেন কীভাবে

ADVERTISEMENT

নিজের যত্ন নিন

তিন থেকে পাঁচবার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে খাওয়াটা মাস্ট। সবুজ শাকসব্জি, ফল, ইয়োগার্ট, চিজ, নানা রকমের ডাল, সোয়া মিল্ক, ডিম একজন সন্তানসম্ভবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। ব্রেকফার্স্ট, লাঞ্চ, স্ন্যাক্স, ডিনারের মেনুতে কখনও না কখনও এই খাবারগুলি রাখতেই হবে যে কোনও ফর্ম্যাটে। ক্যালসিয়াম বা ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার যা শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক তা মেনুতে থাকা বাঞ্ছনীয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেনু ঠিক করুন। এই সময় ২৪ ঘণ্টায় তিন থেকে পাঁচবার ভারী খাবার খেতে হবে (working pregnant women)। এছাড়াও সারা দিনে ছোট ছোট বিরতিতে খাবার খেতে হবে। সঙ্গে ফলের রস বা সাধারণ জল। যাতে শরীরে ফ্লুয়িডের পরিমাণ সঠিক থাকে।

গুছিয়ে রাখার অভ্যেস করুন

ADVERTISEMENT

কর্মরতা সন্তান সম্ভবাদের অনেক বেশি গোছানো হতে হবে। প্রয়োজন হলে একটি নোটপ্যাড তৈরি করুন প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডের জন্য। অফিসে কী কী কাজ রয়েছে, কোন কোন মিটিং অথবা কোন কাজের পর কোন কাজটা করলে তাড়াতাড়ি হবে তা একটি নোটপ্যাডে লিখে রাখুন। এতে প্রথমত কাজ ভুলে যাওয়ার সম্ভবনা কমবে। দ্বিতীয়ত কাজের গতি বাড়বে। তৃতীয়ত, আপনার টার্গেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকবে। এছাড়াও নিজের জন্য একটা স্পষ্ট রুটিন তৈরি করতে পারবেন (working pregnant women)।

ব্যায়াম জরুরি

প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে (working pregnant women)হালকা ব্যায়াম খুব জরুরি। অফিস করতে করতেই মাঝেমধ্যে কাজের ফাঁকে সমান জায়গায় হেঁটে নিন। এতে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভবনা কমবে। পা এবং পায়ের পাতা সচল রাখা জরুরি। ভারী কোনও জিনিস তুলবেন না। ভারী কোনও কাজও এড়িয়ে চলা ভাল। একইসঙ্গে ভারী কোনও ব্যায়ামও এড়িয়ে যাবেন। রাতে শোওয়ার সময় পায়ের নীচে বালিশ দিয়ে শুলে আরাম পাবেন। আর কাজের জায়গায় মনও ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করবেন। অথবা কোনও বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা কিন্তু গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে।

কী কী করবেন

  • প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা একটা খাবারের ব্যাগ রাখুুন। ছোট ছোট টিফিন বক্সে খাবার ভরে নিন। কাজু, আখরোটের মতো শুকনো ফল, কেক, রকমারি স্ন্যাক্স, লাঞ্চ, গোটা ফল সবই ব্যাগে রাখুন। দুধ বা কফির মতো তরল ফ্লাস্কে ক্যারি করতে পারেন। কিছু শুকনো খাবার রেখে দিন অফিসের ড্রয়ারেও। সঙ্গে নিজস্ব জলও রাখবেন।
  • আপনার সন্তান সম্ভবনার খবর প্রথম বসকে জানান। অন্য কারও মাধ্যমে বসের কাছে খবর পৌঁছনোটা বিজনেস ওয়ার্ল্ডের বিচারে ব্যাড ম্যানার্স। আপনার প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে কাজের সঙ্গে কোনওরকম কম্প্রোমাইজ করবেন না, সে ব্যাপারেও বসকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন।
  • প্রেগন্যান্সি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট এবং ফ্যামিলি অ্যান্ড মেডিক্যাল লিভ অ্যাক্ট সম্পর্কে হবু মায়েদের সম্যাক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আপনি অফিসে কোন কোন দিক থেকে কী কী সুবিধে পেতে পারেন, তা জেনে নিন স্পষ্টভাবে। কত দিনের ছুটি পাবেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছাড়াও অন্য কোন ছুটি আপনি নিতে পারেন জেনে নিন। চিকিৎসার খরচ কত শতাংশ বা কীভাবে অফিস বহন করবে জেনে নিন। এই সময় নাইট শিফট যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

কী করবেন না

  • নিজেকে জাজ করবেন না। মনে করবেন না, ব্যক্তিগত বা প্রফেশনাল লাইফে আপনার কারও প্রতি অবিচার করছেন। আর কাজের জায়গায় কারও সাহায্য প্রয়োজন হলে তা বলতে দ্বিধা করবেন না।
  • অফিসে একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করবেন না। ৪৫ মিনিট পর পর অবস্থান পরিবর্তন করুন। হালকা বা হাঁটুন বা সামান্য ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করে নিতে পারেন।
  • ব্যাগে পিপারমিন্ট বা মুখশুদ্ধি জাতীয় কিছু রাখতে ভুলবেন না। যাতে হঠাৎ বমি পেলে তা সামলে উঠতে পারেন অনায়াসে।
  • সপ্তাহে ৩২ ঘণ্টার বেশি সন্তান সম্ভবাদের কাজ করা উচিত নয়। তা নাকি সিগারেট খাওয়ার মতোই ক্ষতিকর।
  • ওভারটাইম কাজ একেবারেই করবেন না এ সময়। এতে শিশুর বাড়বৃদ্ধির (working pregnant women)ওপর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।
https://bangla.popxo.com/article/best-and-safe-exercises-during-pregnancy-in-bengali

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!      

ADVERTISEMENT

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

12 Jul 2021

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT