ফ্যাশন

চৈত্র সেলের (chaitra sale) কেনাকাটা (shopping) স্পেশ্যাল!

Upasana Sarkar  |  Apr 2, 2019

চৈত্র মাস তো কবেই পড়ে গিয়েছে। আর চৈত্র মাস মানেই তো চৈত্র Sale Shopping! দিকে দিকে শুরু হয়ে গিয়েছে সেল-সেল (sale) আর সেল! চৈত্র সেল (chaitra sale)! গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড, ধর্মতলার দিকে পা রাখলেই শুনতে পাবেন- “দিদিরা, দাদারা আসুন, আসুন। দেখুন। এত্ত সুন্দর জিনিসটা মাত্র ১০০ টাকায়।” আবার কিছু কিছু দোকানি হাঁক পারেন, “দিদিরা-বোনেরা আসুন। আসুন। সুন্দর সুন্দর কুর্তি মাত্র ২০০ টাকায় নিয়ে যান। লং স্কার্টও দেখুন। মাত্র টাকা।” আচ্ছা, এই ডাক উপেক্ষা করে কি যাওয়া যায়! তাই কিনে ফেলতেই হয় সে সব। শুধু  কলকাতায়ই নয়, শহরতলিতেও সরগরম হয়ে ওঠে চৈত্র সেলের বাজার (chaitra sale)। পয়লা বৈশাখের আগে চৈত্র সেলের (chaitra sale) বাজারে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তিলধারণের জায়গা পর্যন্ত থাকে না। আর এর সঙ্গে রয়েছে দরদামের মজাটাও।

তবে অনেকেরই দাবি, আজকাল আর চৈত্র সেলের (chaitra sale) বাজার জমজমাট হয় না। কারণ অনলাইন ও ই-কমার্স সাইটগুলি বছরের বিভিন্ন সময় ছাড় দেয়। এ ছাড়াও এই সময়টা থাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টক ক্লিয়ারেন্স সেলও। তাই সারা বছর অনলাইন শপিং (shopping) চলতেই থাকে। ফলে আজকাল আর কেউ হয়তো চৈত্র সেলের (chaitra sale) জন্য অপেক্ষা করে থাকে না। আগেকার সেলের বাজারে যে রকম ভিড় হতো, সে রকম ভিড় এখন সে ভাবে চোখে পড়ে না বলেই দাবি দোকানিদের। তা-ও চৈত্র সেল (chaitra sale) যেন বাঙালি (bongs) জীবনের অঙ্গ। তাই এটাই দারুণ সময়। নিজের ওয়্যার্ড্রোবে ভরে ফেলুন নতুন নতুন জামাকাপড়। কোথায় চৈত্র সেলের বাজার কেমন!

গড়িয়াহাট

কলকাতায় স্ট্রিট শপিং মানেই গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট বা এসপ্ল্যানেড চত্বর আর হাতিবাগান। শুধু সেলের জন্য নয়, বছরের বিভিন্ন সময় এই সব জায়গা জমজমাট থাকে। এই যেমন গড়িয়াহাটে গেলেই পেয়ে যাবেন নানা ধরনের সুতির পোশাক। যেগুলো গরমে পড়ার জন্য পারফেক্ট। নানা রকম, টপ, বটমওয়্যার, ড্রেস, চুড়িদারের পিস, কুর্তি- সবই পাবেন। তা ছাড়াও গড়িয়াহাটের শাড়ি অথবা পাঞ্জাবির দোকানেও এই সময়টা ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। আর যাঁদের সামনের বৈশাখে বিয়ে, তাঁদের তো কথাই নেই। চৈত্র সেলের বাজারে দারুণ দারুণ শাড়ি কিনে ফেলতে পারবেন। শুধু কি তা-ই! রাস্তার উপরের ছোট ছোট দোকানে রয়েছে ব্লাউজ পিসের অসাধারণ কালেকশন। পিস কিনে মনের মতো ব্লাউজ বানিয়ে ফেলতে পারবেন। নানা ডিজাইনের রেডিমেড ব্লাউজও পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া, জাঙ্ক জুয়েলারি, বিছানার চাদর, অন্দরসজ্জার সামগ্রী তো আছেই।

দক্ষিণাপণ

দক্ষিণ কলকাতায় শপিংয়ের আমার অত্যন্ত পছন্দের জায়গা দক্ষিণাপণ। এখানে নানা ধরনের এথনিক জামাকাপড়, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক-আশাক দারুণ। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস-কাছাড়িতে পরে যাওয়ার জন্য দারুণ জামাকাপড় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া সুতির শাড়ি, সিল্ক শাড়ি সব কিছুই পেয়ে যাবেন। এমনকী ছেলেদের শার্ট-পাঞ্জাবিরও দারুণ সম্ভার এখানে।

দক্ষিণাপনের ঠিকানা- ২, গড়িয়াহাট রোড, ঢাকুরিয়া, কলকাতা- ৭০০০৪৫

এসপ্ল্যানেড

স্ট্রিট শপিংয়ের জন্য দারুণ এসপ্ল্যানেড চত্বর। এই এলাকা সব সময়ই সরগরম। সেলের বাজারে সব রকম জামাকাপড়, ওয়েস্টার্ন পোশাক, ওড়না, স্কার্ফ, ব্যাগ, জাঙ্ক জুয়েলারি সমস্ত কিছু পেয়ে যাবেন। আর নিউ মার্কেট তো রয়েছেই। এখানেও পাবেন ব্লাউজের কাপড় অথবা ড্রেস মেটেরিয়ালের অসাধারণ সম্ভার।

হাতিবাগান

উত্তর কলকাতার হাতিবাগান-শ্যামবাজার চত্বরও সপব সময় জমজমাট। স্ট্রিট শপিংয়ের জন্য দারুণ। কী পাবেন না! গড়িয়াহাটের মতোই সব কিছু এখানেও পেয়ে যাবেন অত্যন্ত কম দামে। সেলের বাজারে গেলে তো মিলবে ডিসকাউন্টও। সব সময় পরার কুর্তি, ফ্যাশনেবল ড্রেস, হালফ্যাশনের ড্রেস, ওড়না, রেডিমেড ব্লাউজ, ড্রেস মেটেরিয়াল, নানা রকম স্টাইলের জুতো, হালফ্যাশনের জাঙ্ক জুয়েলারি, অন্দরসজ্জার উপকরণ- সবই মিলবে এখানে।

উত্তর কলকাতা

উত্তর কলকাতার বেশ কিছু পুরনো শাড়ির দোকানে এখনও সেল দেওয়া হয়। আর পয়লা বৈশাখের দিন বাঙালিয়ানা ধরে রাখতে শাড়িই বেস্ট অপশন। আর যাঁরা ঢাকাই পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য তো সুখবর! কারণ ‘আশা স্টোর্স’ নববর্ষ স্পেশ্যাল ঢাকাইয়ের সেল দিচ্ছে। এ ছাড়াও উত্তর কলকাতার এই বিপণিতে পেয়ে যাবেন ফুলিয়া-ধনেখালির তাঁত। গরমে পড়ার সুতির শাড়ি। শুনলে অবাকই হবেন যে, এই বিপণিতে শাড়ির শুধু ২৩০ টাকা থেকে। এখানেই শেষ নয়, ছেলেদের জন্যও পাওয়া যাবে মুগা সিল্ক ধুতি। তাই বাড়ির ছেলেদের জন্যও এখানে সেলে শপিং করতে পারবেন। তাই দেরি না করে আজই চলে যান।

আশা স্টোর্সের ঠিকানা- ২১৫, বিধান সরণি, কলকাতা- ৭০০০০৬

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!

 

 

 

Read More From ফ্যাশন