দু’জন ভিন্ন মানসিকতার মানুষ এক ছাদের তলায় থাকলে মাঝে-মধ্যে একটু ঠোকাঠুকি তো হবেই। তা না হলে সম্পর্কের স্বাদ বাড়বে কীভাবে! কিন্তু কোনও কারণেই সেই মনোমালিন্য মাত্রা ছাড়ালে চলবে না। তবে সব সময়ই যে আমাদের ভুলে বৈবাহিক জীবনে (3 important vastu tips for happy married life) অশান্তির মেঘ দানা বাঁধে, এমনটাও নয়। বরং নানা পারিপার্শ্বিক বিষয়ও দাম্পত্য জীবনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে। যেমন বাস্তু দোষ দেখা দিলেও কিন্তু অনেক সময় শান্তি বিঘ্নিত হয়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে বিয়ের পরে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। কারণ এই নিয়মগুলি না মানলে বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে, যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য এবং অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমনকী, হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া আশঙ্কাও থাকে। তাই তো বলি, বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটুক (3 important vastu tips for happy married life), এমনটা যাঁরা চান, তাঁরা নির্দিষ্ট বাস্তু নিয়ম মেনে চলতে ভুলবেন না যেন! কী-কী নিয়ম মানতে হবে তাই ভাবছেন? জেনে নিন আমাদের কাছ থেকে।
আসবাব ফ্যান্সি হোক, তবে যেন কাঠের হয়
আজকাল কাঠ ছাড়াও আরও নানা ধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি আসবাবের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিয়ের সময় কাঠের আসবাব ছাড়া আর কিছুই কেনা চলবে না। কারণ বাস্তুশাস্ত্র মতে কাঠের আসবাব বাড়িতে থাকলে শুভ শক্তির মাত্রা বাড়ে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না। বিশেষত, খাট যদি কাঠের হয়, তা হলে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা কমে। তবে মাথায় রাখতে হবে, খাটে যেন কাচের কাজ করা না থাকে। কারণ, প্রাচীন এই শাস্ত্র মতে বিছানায় কাচ থাকা অশুভ, তাতে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এমন নকশা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
আয়না রাখার নিয়ম
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়না খারাপ শক্তিকে আকর্ষণ করে। তাই শোওয়ার ঘরে আয়না রাখলে সেই স্থানে খারাপ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে, কথায়-কথায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই আয়না রাখতে হবে ড্রেসিং রুম (3 important vastu tips for happy married life), নয়তো বাথরুমে। আর যদি কোথাও আয়না রাখার জায়গা না পান, তা হলে শোওয়ার ঘরে রাখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। সেক্ষেত্রে সারা রাত আয়নাটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
শোওয়ার ঘর কোন দিকে, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শোওয়ার ঘর যদি দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিকে হয়, তা হলে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না। বরং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা আরও বাড়ে। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আর-একটা বিষয়ও। কী বিষয়? শোওয়ার সময় মাথা যেন দক্ষিণ দিকে থাকে। এমন উপদেশ কেন তাই ভাবছেন? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে উত্তর দিক থেকে শুভ শক্তির আগমন ঘটে। তাই দক্ষিণ দিকে মাথা করে শুলে সেই শুভ শক্তির প্রভাবে নানা বিপদ যেমন কেটে যায়, তেমনি সৌভাগ্য রোজের সঙ্গী হয়। ফলে সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে প্রতিটা দিন।
ছবি – পেক্সেলস ডট কম
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!