ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া আর ফ্রি ইন্টারনেটের দৌলতে আমাদের অনেকটা সময় চলে যায় মোবাইল ফোন ঘাঁটতে। এটা যেন একটা নেশা। পৃথিবীর কোন প্রান্তে কি হচ্ছে তার সব খবরই আমরা পেয়ে যাই হাতের মুঠোফোনে – তা সে নাসা থেকে রিলিজ করা ব্ল্যাকহোলের ছবিই হোক কিংবা কলঙ্কের ট্রেলারই হোক! আর কিছু না হলেও ফেসবুক আর টুইটারের মিমই দেখি। কিন্তু সবসময়ে মোবাইলে স্ক্রল করেই চলেছি, সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত। কিন্তু এর ফলে যে আমাদের সম্পর্কগুলোর থেকে আমরা একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছি, সেটা বোধয় আমাদের সবারই মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে। আবার এরকমও হয় অনেকসময়ে যে আমাদের কিছু কিছু habits অজান্তেই আমাদের relationship-এ বিশেষ করে বৈবাহিক জীবনে চিড় ধরিয়ে দেয়, আর যখন আমরা সেটা বুঝতে পারি ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে যায়।
ঘুমনোর আগে এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন
প্রতিটি কাজের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়। তবে ঘুমনোর আগে আমরা এমন কিছু কাজ করে থাকি, যার ফলে কিন্তু আমাদের বৈবাহিক জীবনে চিড় ধরতে বেশি সময় লাগে না। এখানে ঘুমনোর আগের কয়েকটি অভ্যাসের কথা বলছি যা স্বামী-স্ত্রীয়ের সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারে –
১। ঘুমনোর আগে ফোন ব্যাবহার
লেখার শুরুতেই যেমন বললাম যে মোবাইল ফোন আর ভারচুয়াল জগত আমাদেরকে আসল সম্পর্কগুলো থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে, এর প্রভাব কিন্তু বৈবাহিক জীবনে সবথেকে বেশি পড়ে। ঘুমনোর আগেও যদি ফোন ব্যাবহার করতে থাকেন তাহলে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যেকার সম্পর্কে চিড় তো ধরবেই সেই সাথে ফোনের রেডিয়েশনের জন্য শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে।
কি করবেন – শোবার আগে ফোন ঘাঁটার বদলে বরং স্বামী-স্ত্রী মিলে একটু গল্প করুন বা বই পড়ুন। এতে কোয়ালিটি টাইমও কাটানো হবে এবং সম্পর্ক আর শরীর – দুই’ই সুস্থ থাকবে।
২। দৈনন্দিন কথাবার্তাও না বলা
সারাদিন অফিস বা ব্যবসা করে বাড়ি ফেরার পর হয়তো একটা সময়ে মনে হয় যে নিজের সাথে একটু সময় কাটাই। সেটা অন্যায় না। কিন্তু এটা যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে, তাহলে কিন্তু সেটা একটা চিন্তার বিষয়। আপনি যখন একটা সম্পর্কে রয়েছেন, তখন অন্য প্রান্তের মানুষটির প্রতিও আপনার কিছুটা দায়িত্ব তো থেকেই যায় তাই না? আর দায়িত্ব কিন্তু শুধুমাত্র সবসময়ে ভরণপোষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না!
৩। ঘুমনোর আগে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অশান্তি
অনেক কাপলের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই তিক্ততার পর্যায়ে চলে যায় যে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকে। আর খেয়াল করে দেখবেন, ঠিক ঘুমোতে যাবার আগেই কেউ একজন এটা আরম্ভ করে! এতে সম্পর্কের অবনতি ছাড়া আর কিছুই কিন্তু হয়না।
৪। শারীরিক সম্পর্কে অনিহা
প্রতিদিন হয়তো কারোরই শারীরিক মিলনের ইচ্ছে থাকে না, সেটা অস্বাভাবিক নয়; কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনার স্বামী বা স্ত্রীয়ের কোনোসময়েই শারীরিক মিলনের আগ্রহ নেই তাহলে সেটা রীতিমত চিন্তার বিষয়।
কি করবেন – এক্ষেত্রে সরাসরি ওনার সাথে কথা বলুন। জানতে চান যে কেন ওনার এ বিষয়ে কোনও আগ্রহ নেই, অথবা ওনার কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং বা ডাক্তারি সাহায্য নিতেই পারেন।
ছবি সৌজন্যেঃ ইউটিউব এবং হটস্টার
গ্রাফিক্স সৌজন্যেঃ Giphy
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
ঠোঁটে চুম্বনের শারীরিক উপকারিতা
ভালোবাসার মানুষটিকে এই ডাকনামে ডাক দিও