মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন না নিশ্চয়ই? তা করবেন কেন! দাঁত থাকতে যে দাঁতের মর্ম কেউই বোঝে না। তাছাড়া দাঁতের স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের সচেতনতাও যে বড়ই কম, সে কথা বেশ কিছু সমীক্ষাতেও প্রমাণ হয়ে গেছে। চিকিৎসকেদের মতে, শুধুমাত্র ব্রাশের সাহায্যে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং খাবারের টুকরোগুলিকে ধুয়ে ফেলা সম্ভব নয়। উপরন্তু অনেকেই দিনে মাত্র একবার ব্রাশ করে থাকেন, যে কারণে ক্যাভিটি তো বটেই, সেই সঙ্গে দাঁত এবং মাড়ি সংক্রান্ত অন্যান্য নানা সমস্যারও প্রকোপ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
সকাল এবং রাতে ব্রাশ করার পরে যদি মিনিটদুয়েক মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করা যায়, তাহলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি মারা যায়! ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরনোর আশঙ্কা কমে। সঙ্গে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার ধুয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন প্লাক জমা কমে, তেমনি ক্যাভিটি বা দাঁতে পোকা হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। তবে একথা ঠিক যে বাজার চালতি মাউথওয়াশের দাম অনেক। তাই তো কম খরচে বাড়িতেই (Homemade) কীভাবে মাউথওয়াশ তৈরি করা যায়, তা জানাতে চলেছি আজ। হাতের কাছে থাকা নানা উপাদান দিয়েই তৈরি করে ফেলা সম্ভব নানা ধরনের মাউথওয়াশ। কিন্তু সেই সব উপাদান কত পরিমাণে মেশাতে হবে? কীভাবেই বা তৈরি করবেন মাউথওয়াশ (Mouthwashes)? জেনে নিন আমাদের কাছ থেকে।
১. বেকিং সোডা
হাফ গ্লাস গরম জলে হাফ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই জল দিয়ে মিনিট দুয়েক কুলি করুন। দিনে দু’বার এমনটা করলে বেকিং সোডার গুণে মুখ গহ্বরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলি নিমেষে মারা যাবে। সেই সঙ্গে salivary pH-এর মাত্রা বাড়ার কারণে মুখের ভিতরে অ্যাসিডের মাত্রা কমতে থাকবে। ফলে দাঁতের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না।
২. নারকেল তেল
একেবারেই ঠিক শুনেছেন! দাঁতের যত্নে নারকেল তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষত, মাউথওয়াশ হিসেবে যদি এই তেলকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে তো কথাই নেই! এক্ষেত্রে ১ চামচ ভার্জিন নারকেল তেল নিয়ে কম করে মিনিট পাঁচেক কুলকুচি করতে হবে। দিনে একবার ব্রাশ করার আগে যদি এইভাবে নারকেল তেল দিয়ে কুলি করা যায়, তাহলে প্লেক জমার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি gingivitis-এর মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
৩. অ্যালো ভেরা জুস
হাফ কাপ অ্যালো ভেরা জুসে হাফ কাপ ডিস্টিল ওয়াটার এবং হাফ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে কুলি করতে হবে। দিনে দু’বার দাঁত মাজার পরে এই মিশ্রণটি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো ঘটেই। সেই সঙ্গে মাড়ি সংক্রান্ত কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
৪. পুদিনা তেল
১ কাপ মিনারেল ওয়াটারে ২-৩ ফোঁটা peppermint essential oil ফেলে সেই মিশ্রণটা দিয়ে কুলকুচি করতে হবে। প্রতিবার খাওয়ার পরে এমনটা করলে মুখের বদ গন্ধ দূর হবে। পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: চোখ বন্ধ করে নয়, আপনার ‘দোষ’ অনুযায়ী বেছে নিন আয়ুর্বেদিক প্রসাধনী!
৫. নুন
হাতের কাছে কিছু না থাকলে নুন দিয়েও মাউথওয়াশ তৈরি করে ফেলা সম্ভব। কীভাবে তৈরি করবেন তাই ভাবছেন? হাফ গ্লাস গরম জলে হাফ চামচ টেবিল সল্ট মিশিয়ে সেই জল দিয়ে প্রতিদিন বার তিনেক কুলকুচি করুন, তাহলেই দাঁত নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না। কারণ, ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে দাঁতকে বাঁচাতে নুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
আরও পড়ুন: জানেন কি, নুন-জল দিয়ে গার্গল করলে গলা খুসখুস তো কমেই, দূর হয় মুখের দুর্গন্ধও!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From ডি আই ওয়াই লাইফ হ্যাকস
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
বর্ষায় মোবাইল ভিজে গেলে কিভাবে মেরামত করবেন
Debapriya Bhattacharyya