
একেবারে ঠিক শুনেছো বন্ধু! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট এবং ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট,ক্যাটারিং অ্যান্ড নিউট্রিশন-এর আধিকারিকদের করা এক সমীক্ষায় যা খুঁজে পাওয়া গেছে, তা অবাক করার মতো। দেখা গেছে সাধারণত যে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করে মোমো এবং অন্যান্য জাঙ্ক ফুড তৈরি করা হয়ে থাকে, সেগুলির একটাও স্বাস্থ্যকর নয়। শুধু তাই নয়, দিনের পুর দিন এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলি শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করলে তো আরও বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এমনকি লেজুড় হতে পারে পেটের রোগও। তাই সাবধান বন্ধু সাবধান!
এত দূর পড়ার পরেও যদি চিকিৎসকেদের এই উপদেশকে হলকা চালে নিতে মন চায়, তাহলে এই লেখাটি একবার পড়ে ফেলতে দেরি করো না যেন! কারণ রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া মোমোতে সাধারণত যে যে ক্ষতিকর উপাদানগুলির সন্ধান মেলে, সেগুলি কথা জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে!
এখন প্রশ্ন হল কী কী ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে মোমোতে?
১. রিফাইন্ড ময়দা এবং রাসায়নিক:
একাধিক সমীক্ষার পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে বেশিরভাগ দোকানেই মোমো (momo) এবং নানা রকমের জাঙ্ক ফুড তৈরিতে যে রিফাইন্ড ময়দা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাতে মজুত থাকে প্রচুর মাত্রায় অ্যাজোডিকার্বোনামাইড, কলরিনেগাস, বেনঞ্জল পারঅক্সাইড সহ আরও নানাবিধ ক্ষতিকর কেমিক্যাল, যা মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে অগ্ন্যাশয়ের। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে।
২. ব্যবহার করা হয় খারাপ মানের মুরগির মাংস:
একেবারেই ঠিক শুনেছো বন্ধু! একাধিক রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মোমোতেই পুর হিসেবে মৃত মুরগির মাংস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মহল থেকে এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে কিছু কিছু স্টলে নাকি অসুখের কারণে মারা যাওয়া মাংসও পুর হিসেবে কাজে লাগানো হয়। আর এমন ধরনের খারাপ মানের মাংস দিনের পর দিন খেয়ে গেলে কি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না! প্রসঙ্গত, এই কারণেই পুর রয়েছে এমন রাস্তার খাবার খেতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা।
৩. সবজিতেও খুঁজে পাওয়া গেছে ব্যাকটেরিয়া:
শুধু খারাপ মাংস ব্যবহার করেই থেমে থাকেন না এই সব বিক্রেতারা। আরও বেশি মাত্রায় লাভের আশায় কম দাম দিয়ে কিনে আনেন কেমিক্যাল এবং জীবাণু ভর্তি খারাপ মানের সবজিও। আর তাই দিয়েই বানিয়ে ফেলা হয় মোমোর পুর। শুধু তাই নয়, সবথেকে ভয়ের বিষয় হল এই ধরনের সবজিতে সন্ধান মিলেছে ই.কোলাই-এর মতো ব্যাকটেরিয়ার, যা শরীরে একবার প্রবেশ করা মানে সংক্রমণ নিশ্চিত।
৪. পিছিয়ে নেই চাটনিও:
গরম গরম স্টিম মোমোর সঙ্গে ঝাল ঝাল চাটনি, উফফ এই কম্বিনেশনটা জাস্ট ফাটাফাটি, তাই না? তা তো বটেই! কিন্তু জানা আছে কি এই এমন চাটনি (momos chutney) বানাতে যে লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তা ১০০ শতাংশ ভেজাল, যা দিনের পর দিন পেটে গেলে শরীর খারাপ হতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য! এই কারণেই রাস্তায় বিক্রি হওয়া খাবারের সঙ্গে যে চাটনি পরিবেশন করা হয়, তা ভুলেও খাওয়া উচিত নয়।
৫. রয়েছে “এম এস জি”:
কী এই এম এস জি? সহজ কথায় হল মনো সোডিয়াম গ্লটেমেট, যা খুঁজে পাওয়া গেছে রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ মোমো এবং জাঙ্ক ফুডে। তাই জেনে রাখা ভালো যে এই ক্ষতিকর উপাদানটি যদি দিনের পর দিন শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে, তাহলে কিন্তু ভিষণ বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে নানাবিধ নার্ভ ডিজঅর্ডার, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বারে বারে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হওয়ার মতো সমস্যাও। প্রসঙ্গত, একথা ভুলে যাওয়াও ঠিক নয় যে ওজন বাড়তে থাকাটাও কিন্তু নিরাপদ নয়। কারণ সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের রোগ সহ একাধিক জটিল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!