লাইফস্টাইল

প্রেগনেন্সির পর কীভাবে চটজলদি ওজন কমাবেন, রইল তার হদিশ

Debapriya Bhattacharyya  |  Apr 16, 2019
প্রেগনেন্সির পর কীভাবে চটজলদি ওজন কমাবেন, রইল তার হদিশ

করিনা কাপুর খান হোক বা মালাইকা আরোরা অথবা বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন – এঁদের মধ্যে মিল কোথায় জানেন? না না এরা বলিউডের নামী ব্যক্তিত্ব সেটাই একমাত্র মিল নয় কিন্তু এঁদের মধ্যে। এঁদের মধ্যে একটা মিল হল যে এঁরা তিনজনেই খুব স্বাস্থ্য সচেতন এবং ‘ফিট মমস’। প্রেগনেন্সির সময়ে এঁদের যথেষ্ট ওজন বেড়েছিল এবং ডেলিভারির পরেও এঁদের ওজন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ট্রোলিং হয়েছিল। কিন্তু এই তিনজন বলিউড ডিভা এতটাই স্বাস্থ্য সচেতন যে কিছুদিনের মধ্যেই ওজন কমিয়ে নিজের সঠিক বডিশেপে ফিরে কাজ করতেও আরম্ভ করে দিয়েছিলেন। যারা অভিনেত্রী নন, কিন্তু প্রেগনেন্সির সময়ে ওজন বেড়ে গিয়েছে, তাঁদেরও কিন্তু ডেলিভারির পরে ওজন কমিয়ে সঠিক বডিশেপে ফিরতে যথেষ্ট কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। অনেকেই হাল ছেড়ে দেন এবং তাদের ওজন দিন দিন বাড়তে থাকে যা পরে গিয়ে একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সেইসব ‘নতুন মা’-দের জন্য কয়েকটা ওজন কমানোর টিপস দিচ্ছি যেগুলো ফলো করলে আশা করি ডেলিভারির পরে কোনও সমস্যা হবে না।

জেনে নিনঃ প্রেগন্যান্সি স্ট্রেচ মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায়

কয়েকটা সহজ উপায়ে প্রেগনেন্সির পর ওজন কমান

১। ঘরের হালকা কাজ করতে ভুলবেন না

Pregnancy-র সময় থেকে আরম্ভ করে ডেলিভারি পর্যন্ত এবং তার পরেও মেয়েদের শরীরে নানা ধরণের হরমোনের পরিবর্তন হয় যার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এবং ওজন বেড়ে যাওয়াটা তার মধ্যে অন্যতম। যদিও ডেলিভারির পর মায়েদের বিশ্রামের প্রয়োজন, কিন্তু সব সময়ে যদি শুয়ে থাকেন বা হাত-পা না চালান তাহলে কিন্তু মুশকিল। পুরোদমে এক্সারসাইজ করতে আরম্ভ না করলেও একটু আধটু ঘরের কাজ করুন, অথবা বিকেলের দিকে একটু পার্কে ঘুরে আসুন। এতে যে আপনি শুধু অ্যাক্টিভ থাকবেন তা নয়, মনও ভালো থাকবে।

২। তেলমশলা বা ঘি বেশি খাবেন না 

প্রেননেন্সির সময়ে অনেকেরই খুব খিদে পায়, এমনকি ডেলিভারির পরেও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খিদে পায়। এর ফলে কিন্তু ওজন বাড়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেককেই বলতে শুনে থাকবেন যে মা তো ব্রেস্টফিডিং করে তাই তার বেশি করে খাবার প্রয়োজন। কিন্তু যারা ব্রেস্টফিডিং করেন তাদের ৩০০ থেকে ৪০০ ক্যালোরি বেশি হলেই যথেষ্ট। তাই চেষ্টা করুন যাতে বেশি তেলমশলা বা ঘি না খান আপনি। এতে শুধু ওজন বাড়ার সমস্যা নয়, অন্যান্য পেটের সমস্যাও হতে পারে।

৩। সুষম আহার করুন

তেলমশলাযুক্ত খাবারের বদলে সুষম আহার করলে ভালো। টাটকা সব্জি, ফল, ডিম, দুধ, বাদাম বা আমন্ড ইত্যাদি খান। এতে আপনার ব্রেস্টফিডিং-এও সুবিধে হবে এবং ওজনও বাড়বে না। সফট ড্রিঙ্কস বা চিপস এবং ভাজাভুজি না খাওয়াটাই ভালো।

৪। এক্সারসাইজ করুন

বাচ্চা একটু বড় হয়ে গেলে মাস দুয়েক পর থেকে অল্প অল্প করে এক্সারসাইজ করতে আরম্ভ করুন। ভারী কোনও এক্সারসাইজ না করতে পারলেও ক্ষতি নেই। জিমে না গিয়ে বরং ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ এবং যোগব্যায়াম দিয়ে নিজের ফিটনেস ট্রেনিং আরম্ভ করুন।

৫। ‘ওয়েটলস ড্রিঙ্ক’ রোজ খান

একটা পাত্রে দু’গ্লাস জল এবং দু’চা চামচ গোটা জিরে মিশিয়ে জলটা ফোটাতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটা এক কাপ জলে এসে দাঁড়াচ্ছে। এবারে জলটা ছেঁকে নিয়ে তাতে একটা গোটা লেবুর রস আর এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ভোরবেলা খালিপেটে জলটা খেয়ে নিন। খুব তাড়াতাড়ি পেটের চর্বি দূর করার জন্য এই ড্রিঙ্কটি অত্যন্ত কার্যকর। তবে ডেলিভারির অন্তত ৬ মাস পর থেকে এই ড্রিঙ্কটি খাওয়া আরম্ভ করলে ভালো হয়।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

 

 

Read More From লাইফস্টাইল