এটা আজকাল দশ জন মেয়ের মধ্যে আটজনের সমস্যা। বলা নেই কওয়া নেই, হঠাত সে আসা বন্ধ করে দিল। তারিখের পর তারিখ চলে যাচ্ছে কিন্তু তার দেখা নেই। এদিকে বুক ঢিপঢিপ। মন মেজাজ খারাপ। ভাল কথাও খারাপ লাগছে শুনতে। অথচ আপনি প্রেগন্যান্টও নন। তাহলে কেন বিগত কয়েক মাস আপনার ঋতুস্রাব বন্ধ। আকাশ-পাতাল ভেবেও কারণ (5 shocking reasons for irregular period) খুঁজে পাচ্ছেন না তাই তো?
আমাদের শারীরিক অবস্থা থেকে শুরু করে মানসিক পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিক অনেক কারণেই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা অনিয়মিত হতে পারে। এখানে আমরা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের পাঁচটি সম্ভাব্য কারণ আপনাদের জানাব, যেগুলো শুনলে হয়তো আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন!
১। ধূমপান করা
যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাকিদের তুলনায় তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি থাকে। অনেকেই আছেন, যাঁরা অনেক কম বয়স থেকে ধূমপান করেন, তাঁদের শরীরে ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন ক্ষরণের মাত্রা অন্যদের তুলনায় অনেকটা কমে যায়। ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সঙ্গে বন্ধাত্বের আশঙ্কাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। কাজেই, আপনিও যদি নিয়মিত ধূমপান করেন, এই মুহূর্তে তা বন্ধ করুন।
২। স্ট্রেস
আজকাল কেউ বুক বাজিয়ে বলতে পারবেন না যে, তাঁর জীবন এক্কেবারে স্ট্রেস-ফ্রি! হ্যাঁ, প্রতিদিনের কাজের ধকল, ডেডলাইন মিট করা, টার্গেট পূরণ করা, সংসারের চাপ, স্কুল-কলেজে প্রতিযোগিতা এবং তার সঙ্গে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা পরিবেশ দূষণ – ধকল বাড়ার পিছনে এগুলোই মূলত কারণ হিসেবে কাজ করে। এই ধকলের প্রভাব কিন্তু আপনার স্বাভাবিক ঋতুচক্রের (5 shocking reasons for irregular period) উপরে পড়তেই পারে। যে-মুহূর্তে আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, সেই মুহূর্ত থেকে তা আপনার শরীরের হরমোনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে এবং সেক্ষেত্রে কখনও-কখনও পিরিয়ড দেরিতে শুরু হতে পারে।
৩। ঘুমের অভাব
ঘুম যদি পর্যাপ্ত না হয়, তা হলে যে শুধু বড়-বড় হাই উঠবে তা নয়, ঋতুস্রাবও কিন্তু দেরিতে হতে পারে! শরীরে ক্লান্তি থাকলে তা হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য আনতে পারে এবং অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক কাজ করুন, টেনে ঘুম দিন। শরীরকে ঠিকভাবে চালাতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। নিশ্চই জানেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার সারাদিনে!
৪। অতিরিক্ত এক্সারসাইজ করা
আপনি কি ইদানীং খুব বেশি ওয়ার্কআউট করছেন অথবা ওজন কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়োদৌড়ি করছেন? তা হলে একটু শান্ত হয়ে বসুন। হঠাৎ করে যেমন রুটিন পরিবর্তন হলে বায়োলজিক্যাল ক্লক ঘেঁটে যায়, তেমনই হঠাৎ করে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলেও কিন্তু তা আপনার শরীরের হরমোনের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলস্বরূপ ঋতুচক্রে পরিবর্তন (5 shocking reasons for irregular period) দেখা দিতে পারে অর্থাৎ হয় পিরিয়ডের তারিখ পিছতে পারে বা এগিয়ে আসতে পারে।
৫। রুটিন বদলানো
আপনি কি সদ্য কোনও নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বা কলেজ শুরু করেছেন? আপনার কি ঘুমনোর সময় বদলেছে? কিছুদিন ধরে কি রাত জাগা চলছে? অথবা যে সময়ে যে কাজ করতেন তার কি সময় বদলেছে? এর মধ্যে একটা প্রশ্নের উত্তরও যদি ইতিবাচক হয়, তা হলে কিন্তু আপনার পিরিয়ডের তারিখ পিছোতে পারে। আমরা বহুদিন ধরে যে কাজটি যে সময় করতে অভ্যস্ত, সেই কাজটি যদি আমাদের অন্য সময়ে করতে হয় এবং সেটাও আবার হঠাৎ করে, সেক্ষেত্রে আমাদের শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লকেরও তো ব্যাপারটাতে সরগড় হতে সময় লাগবে, তাই না?
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!