
কথায় বলে, লাখ কথা না হলে নাকি বিয়ে হয় না! উঁহু, একটু পাল্টে দেওয়া যাক ব্যাপারটা। অনেকসময় লাখ কথা হলেও নাকি বিয়ে হয় না। কখনও পাকাপোক্ত বিয়ে ভেস্তে যায়। আর বিয়ে ব্যাপারটা এখনও ভারতীয় মেয়েদের জন্য এতটাই স্পর্শকাতর, যে এক্ষেত্রে যে-কোনও সময়ই একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই তাঁরা ভেঙে পড়েন। আর তাতে ইন্ধন জোগানোর জন্য সমাজ-আত্মীয়স্বজন-পরিবার-প্রতিবেশী তো আছেই। তাই বিয়ে হয়ে সেই বিয়ে কোনও কারণে ভেঙে যাওয়াটা (broken engagement) যতটা কষ্টকর, বিয়ের কথা অনেক দূর এগিয়ে সেটা না হওয়াটাও আমাদের জন্য প্রায় সমান কষ্টের। কিন্তু সেই কষ্ট নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। তাই চলুন আমরা দেখে নিই, এই দ্বিতীয় ব্যাপারটির ক্ষেত্রে কীভাবে মনখারাপ কিংবা ভেঙে পড়াটা কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। এখানে রইল জরুরি পাঁচটি টিপস (tips)…
১. ভগবান যা করেন, মঙ্গলের জন্য করেন
ভগবানে বিশ্বাস করেন তো? তা হলে সবকিছু তাঁর পাদপদ্মে সঁপে দিয়ে শান্তি পান। ভাবুন, এই দুনিয়ার আসল কলকাঠি তাঁরই হাতে। তিনি মোটেও চাননি যে ওখানে আপনার বিয়ে হোক, তাই শেষ পর্যন্ত সেটা হতে দেননি। একে তাঁর ইচ্ছে ভেবে মনখারাপ কাটিয়ে ফেলুন। পরে ভাঙার চেয়ে শুরু না হওয়াটাই তো শ্রেয়, তাই নয় কি? বরং এই ভেবে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন যে, হতে পারে একটি অহেতুক খারাপ সম্পর্কের হাত থেকে আপনি রক্ষা পেলেন।
২. সিন ক্রিয়েট করবেন না, প্লিজ
আপনার বিয়েটি লাভ অথবা অ্যারেঞ্জড, যেভাবেই ঠিক হোক না কেন, যদি তা পরিণতি পাওয়ার আগেই শেষ যাত্রায় যায়, দয়া করে সেটি নিয়ে কেঁদেকেটে কিংবা লোকজনের কাছে অযথা কৈফিয়ত দেওয়ার চেষ্টা করে নিজেকে হাস্যকর করে তুলবেন না। যা ভেঙে গিয়েছে, সেটা ভাঙারই ছিল। খামোকা তার জন্য নিজের মানসম্মান নষ্ট করে নিজেকে ধুলোয় মেশাবেন কেন? বরং, নিজের ডিগনিটি বজায় রাখুন। বিয়ের কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর থেকে যদি হবু বরের কিংবা শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কোনও উপহার পেয়ে থাকেন, সেগুলি ফেরত পাঠান। কিন্তু নিজের দেওয়া কোনও উপহার ফেরত চেয়ে নিজেকে ছোট করবেন না। ওটা অন্য পক্ষের বিচারবুদ্ধির উপর ছেড়ে দিন।
৩. সোশ্যাল মিডিয়ায় কাদা ছোড়াছুড়ি একদম নয়
আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আমরা সকলেই নিজেদের জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়ে মিডিয়ায় আপডেট দিতে পছন্দ করি। বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে আপনিও যদি সেটি করে থাকেন, তা হলে ভেঙে যাওয়ার পরেও সেই আপডেট দিতে ভুলবেন না। এনগেজড স্টেটাস বদল করলে দুঃখ হতে পারে, কিন্তু এটা করতে পারলে আপনি অনেক বেশি ট্রান্সপারেন্ট থাকবেন, সেটাও মাথায় রাখুন। বরং লিখে দিতে পারেন, এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন আপনি পেতে চান না। তা হলেই আশা করা যায়, কেউ আর আপনাকে অযথা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবে না। তবে দয়া করে কিছুদিনের জন্য হলেও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে পালিয়ে যাবেন না। এতে নিন্দুকের মুখ আরও বেশি চওড়া হবে।
৪. হবু শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নয়
একেবারেই নয়। আপনার হতে-হতে ফসকে যাওয়া কোনও জা কিংবা ননদ এই ক’দিনের আপনার ভারী বন্ধু হয়ে গিয়েছিল? ভাল কথা। কিন্তু এবার তাঁকে ভুলে যান। মনে রাখবেন, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক কিন্তু সেই বিয়ের সূত্রেই হচ্ছিল, যেটা এখন ভেস্তে গিয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য সেই পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষেত্রে। যাঁদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক এগোয়নি, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখার কোনও মানে হয় না।
৫. নিজের দিকে মন দিন
পাকা কথা হয়েও বিয়ে ভেঙে যাওয়াটা হবু কনের জন্য যতটা কষ্টকর, ততটা আর কারও জন্য নয়। তাই অন্য কাজ ফেলে আগে নিজের দিকে মন দিন। যদি চাকুরিরতা হন, তা হলে কিছুদিন কাজের দিকে একটু বেশি ঝুঁকুন। এতে কেরিয়ারেরও উন্নতি হবে, প্লাস হাবিজাবি কথা ভাবারও সময় পাবেন না। যদি চাকরি না করেন, তা হলে যা করতে আপনার বেশি ভাল লাগে, সেটাই করুন। সেটা নতুন ডিশ রান্না থেকে শুরু করে আঁকিবুকি, গানবাজনা, যা কিছু হতে পারে। মোট কথা, কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, তা হলেই আর অন্য দিকে মন যাবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..