ওয়েলনেস

করোনা ভাইরাস: উপসর্গ কী, কোন ধরনের সতকর্তা অবলম্বন জরুরি?

popadmin  |  Jan 28, 2020
করোনা ভাইরাস: উপসর্গ কী, কোন ধরনের সতকর্তা অবলম্বন জরুরি?

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে একশোরও বেশি চিনা নাগরিকের। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এদেশেও। কিন্তু প্রশ্ন হল ভারতীয় নাগরিকদের কি আদৌ দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে? একথা ভুলে গেলে চলবে না যে প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় চিনে বেরাতে যান। এই সময়েও অনেকে সেখানেই ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কারও শরীরে এই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কিনা সে নিয়ে নিশ্চিত হবেন কীভাবে? তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। আর সেই কারণেই চিন থেকে ফেরা প্রায় ৯১৫০ জনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। তবে চিন্তা বাড়ার আরও কিছু কারণও রয়েছে। কী কারণ? মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও তাঁরা এই ভাইরাসেই আক্রান্ত কিনা জানা নেই। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকেরা। এদিকে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও তিন জন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা নাকি সদ্য চিন থেকে দেশে ফিরেছেন। তাই বুঝতেই পারছেন, এমন পরিস্থিতিতে আগে থাকতেই যদি সাবধান হওয়া না যায়, তাহলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে।

কী এই করোনা ভাইরাস?

১৯৬০ সালে প্রথম করোনা ভাইরাসের (coronavirus) সন্ধান পাওয়া যায়। তবে কোথা থেকে এই ভাইরাস এল, সেই নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ধারণা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাসের অবয়ব অনেকটা মুকুট বা ক্রাউনের মতো, সেই কারণেই বিজ্ঞানীরা একে করোনা ভাইরাস নামে ডেকে থাকেন। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তো বটেই, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, রোগীর পোশাক, তোয়ালে এবং রুমাল থেকে যেমন এই রোগ ছড়াতে পারে, তেমনই রোগী যে যে জায়গা ছুঁয়েছেন, তার সংস্পর্শে এলেও এই ভাইরাস এক থেকে অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই এমন রোগীদের সুস্থ মানুষদের থেকে দূরে না রাখলে বিপদ!

করোনা ভাইরাস সত্যিই কি খুব ভয়ঙ্কর?

এই ভাইরাসের কারণে চিনে ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। তাই বুঝতেই পারছেন, এই ভাইরাস প্রকৃতিতে বেজায় ভয়ঙ্কর। ২০১২ সালে সৌদি আরব সহ আশেপাশের দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে Middle East respiratory syndrome নামে এক ধরনের রোগে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৮৫৮ জন। ২০১৪ সালে একই রোগের কারণে এক মার্কিন নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ২০১৫ সালে কোরিয়াতে এই রোগে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, করোনা ভাইরাসের কারণে severe acute respiratory syndrome নামও এক ধরনের রোগ হতে পারে, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এত দিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে এই দুই ধরনের রোগের খোঁজ পেলেও এই বছর চিনে যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে, তার চরিত্র নাকি একেবারে আলাদা, যাকে বিজ্ঞানীরা novel coronavirus নাম দিয়েছেন। তাই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কোনও কারণ নেই যে এই ভাইরাসকে যদি এখনই আটকে ফেলা না যায়, তাহলে আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই!

আরও পড়ুন: সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতে ভরসা রাখুন এই সব ঘরোয়া টোটকার উপরে

রোগের লক্ষণ

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত নাক থেকে জল পড়া, সর্দি-কাশি এবং গলায় ব্যথা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। কোনও কোনও সময় রোগীর জ্বরও আসে। খেয়াল করে দেখবেন ঠান্ডা লেগে জ্বর এলেও একই ধরণের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই শুরুর দিকে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। আর তাতে করেই অনেক দেরি হয়ে যায়। তাহলে কী করণীয়? এখন যা পরিস্থিতি তাতে এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা করে দেখে নিন কী কারণে জ্বর এসেছে। আর সেই মতো চিকিৎসা শুরু করুন। এক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করবেন, ততই মঙ্গল।

এমন সব রোগ থেকে বেঁচে থাকার কোনও উপায় আছে কি?

আলবাত আছে! এর জন্য কতগুলি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কী কী নিয়ম মানতে হবে? করোনা ভাইরাসের কোনও vaccine নেই। তাই তো এই ধরনের সংক্রমণকে দূরে রাখতে হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িতে তুলতে হবে। আর তার জন্য নিয়মিত ফল, সবুজ শাক-সবজি এবং মাছ-মাংস খেতে ভুলবেন না। বিশেষ করে যে সব খাবারে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, তেমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখুন। যেমন ধরুন, কিছু সময় অন্তর অন্তর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, আঙুল দিয়ে চোখ এবং নাক চুলকানো যাবে না, কারও সর্দি-কাশি হলে তাঁর থেকে দূরে থাকতে হবে, নিজের রুমাল বা পোশাক কাউকে দেওয়া চলবে না এবং ভিড় জায়গায় গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন: শীতের মরসুম শেষ হল প্রায়! এই সময় কফিতে একটু দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান, উপকার পাবেন

আরও কিছু বিষয় নজরে রাখতে হবে

বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোনও ধরনের ভাইরাল ইনফেকশনকে দূরে রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত, তাতে নাকি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। একই কারণে নিয়মিত আট ঘন্টা ঘুমাতে ভুলবেন না যেন! আসলে দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এমনটা হলে নানা ভাইরাসের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যে বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য!

পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি কলকাতা পুরসভা

কলকাতা পুরসভার আওতায় থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে জরুরী ভিত্তিতে সর্তকতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ে এই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে, তাহলে অবিলম্বে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া মাত্র কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে রোগীর নাম-ঠিকানা পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা রাজ্য সরকারই নেবে।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!

Read More From ওয়েলনেস