যতই চিন-কোরিয়া-জাপান-ইজিপ্ট বলে আদিখ্যেতা করুন না কেন, রূপচর্চায় আমাদের ভারতও (ancient ayurveda for beauty routine) কিছু কম যায় না! গুনে-গুনে এতগুলো বিশ্বসুন্দরীর জন্ম দিয়ে দিলুম আমরা, সেখানে চিনা-জাপানিরা ক’টা দিয়েছে শুনি? আর এত কিছু তো আর এমনি-এমনি হয়নি, বিদেশি কোম্পানির রুজ-পমেটম মেখে হয়নি, হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় কিছু রূপচর্চার রহস্য মেনে। আমাদের দেশের আয়ুর্বেদ, পুরনো জড়িবুটি দিয়ে তৈরি নানা রূপটান যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তা হলেই দাগছোপহীন, ঝলমলে ত্বকের অধিকারিণী হওয়া সম্ভব। আর এই সঠিকভাবে ব্যবহারের রহস্যই আমরা ফাঁস করছি এই প্রতিবেদনে।
বেসন
এই বেসন হচ্ছে এমন একটি উপাদান, যা দিয়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ত্বক উজ্জ্বল করতে, ট্যান দূর করতে, ত্বকে জমা মরা কোষ দূর করতেও বেসনের জু়ড়ি মেলা ভার। দেখে নিন, প্রাচীন ভারতে আরও কী-কী ভাবে এই উপাদানটিকে কাজে লাগানো হত রূপচর্চায়…
রোদে পোড়া জায়গার উপর বেসন আর শসার রস মিশিয়ে লাগান। কয়েকদিনের মধ্যেই পোড়া ভাব চলে যাবে।
দুই টেবিলচামচ বেসনের সঙ্গে মেশান চার-পাঁচটা কাঠবাদামগুঁড়ো, লেবুর রস ও অল্প দুধ। এই পেস্টটি সারা মুখে ভাল করে থুপে-থুপে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন নিয়মিত করতে পারলেই দেখবেন, ত্বক ঝলমলে, দাগছোপহীন হয়ে গিয়েছে।
নিম
নিমপাতা খেতে তেতো হতে পারে, কিন্তু আপনার ত্বকের দেখভালে এটি অমৃতের মতো কাজ করে! যদি কোনওভাবে নিমপাতাটি রোজ ত্বকের দেখভালে কাজে লাগাতে পারেন, তা হলে ত্বক নিয়ে আপনার আর কোনও সমস্যাই থাকবে না।
জলে কয়েকটি নিমপাতা ফেলে তা কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পাতাগুলি ছেঁকে নিয়ে বাকি জলটা একটি শিশিতে ভরে রাখুন। রোজ তাতে তুলো ডুবিয়ে দিনে একবার সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা শতকার ৮০ ভাগ কমে যাবে।
নিমপাতা ও টক দই কিংবা নিমপাতা ও শসা একসঙ্গে মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবেও মুখে লাগাতে পারেন। এতে মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে।
চন্দন
নানা ধরনের ফেস প্যাক থেকে শুরু করে মুখের দাগছোপ দূর করতে চন্দনবাটার ব্যবহারও অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। সাদা এবং লাল, দুই ধরনের চন্দনই রূপচর্চার কাজে লাগে। চন্দনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের কথা তো সকলেই জানেন। এর পাশাপাশি এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক রাখে, ফলে দূষিত রক্ত বেশিক্ষণ শরীরে থেকে ত্বকের বারোটা বাজাতে পারে না।
মিহি করে গুঁড়ো করা আমন্ডের সঙ্গে চন্দনবাটা ও দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। স্নানের আগে এই পেস্টটি সারা শরীরে মেখে ঊষ্ণ গরম জলে স্নান করে নিন। নিয়মিত করতে পারলে ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে বরাবরের মতো মুক্তি পাবেন
হলুদ
হলুদের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু জানেন কি, প্রাচীন ভারতে ফাটা গোড়ালি সারাতে, বলিরেখা কমাতে ও স্ট্রেচ মার্কস দূর করতেও ব্যবহার করা হত এটি?
স্ট্রেচ মার্কস কমাতে হলুদবাটা, বেসন ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে লাগান।
ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে হলুদবাটা মিশিয়ে ফাটা গোড়ালিতে লাগান।
চালের গুঁড়ো, কাঁচা দুধ, টোম্যাটোর রস এবং কাঁচা হলুদবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে লাগান বলিরেখা কম করার জন্য।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!