Diet

ত্বক বা চুলের ক্ষেত্রে আমলকীর রস কীভাবে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে জানেন?

Swaralipi Bhattacharyya  |  Dec 3, 2019
ত্বক বা চুলের ক্ষেত্রে আমলকীর রস কীভাবে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে জানেন?

আমলা (Amla) বা আমলকী খুব সাধারণ একটি ফল। কিন্তু ত্বক বা চুলকে ভাল রাখতে এর ভূমিকার কথা জানলে সত্যিই অবাক হতে হয়। আমলকী গাছ ৮ থেকে ১৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে, পাতা ঝরা প্রকৃতির। হালকা সবুজ পাতা ১/২ ইঞ্চি লম্বা হয়। হালকা সবুজ স্ত্রী ও পুরুষফুল একই গাছে ধরে। ফল হালকা সবুজ বা হলুদ ও গোলাকৃতি ব্যাস ১/২ ইঞ্চির কম বেশি হয়। কাঠ অণুজ্জল লাল বা বাদামি লাল। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা যায়। আমলকী নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওপোরোসিস রোগে আমলকীর রস কিছু কাজ করে। কয়েক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধেও এর কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগেও আমলকী কার্যকর বলে ইঁদুরের উপর চালিত গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে। প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়) -এর ক্ষত সারাতে আমলকী কার্যকর। আমলকীর ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনির রোগ। আমলকী মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল-মাত্রা হ্রাস করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে। এত গুণ যে ফলের তা প্রতিদিন ব্যবহার করার আগে দেখে নিন কীভাবে আপনার কাজে লাগতে পারে।

 

আমলার পুষ্টিগুণ (Amla Nutrition)

পুষ্টিগুণে ভরপুর আমলা। সে কারণেই ত্বক বা চুলের জন্য এত উপকারি। ১০০ গ্রাম আমলার মধ্যে ফাইবার থাকে ৩.৪ শতাংশ। প্রোটিন ০.৫ শতাংশ। ফ্যাট ০.১ শতাংশ। কার্বোহাইড্রেট ১৩.৭ গ্রাম। ক্যালসিয়াম ৫০ শতাংশ। আয়রন থাকে ১.২ মিলিগ্রাম। 

 

কীভাবে বাড়িতে আমলার রস তৈরি করবেন (How To Make Amla Juice At Home)

Instagram

কীভাবে বাড়িতে আমলার রস (juice) তৈরি করবেন, দেখে নেওয়া যাক।

উপকরণ: এক কেজি আমলা। এক কাপ জল। এক টেবিল চামচ মধু। এক চিমটে নুন। ব্লেন্ডার। ছেঁকে নেওয়ার জন্য পরিষ্কার কাপড়।

প্রণালী: প্রথমেই আমলা পরিষ্কার জলে ধুয়ে মাঝ বরাবর কেটে ফেলুন। এতে ভিতরের বীজ বের করা যাবে সহজে। এবার ওই আমলা গুলি গুঁড়িয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিন। ওই ঘন মিশ্রণটি এবং ছাঁকনির উপরে থাকা অংশ ব্লেন্ড করে নিন মিক্সারে। কিছুক্ষণ পরে এক কাপ জল যোগ করে ফের ব্লেন্ড করুন। তৈরি আমলা জুস। ১৫ দিন পর্যন্ত এটা ফ্রিজে রেখে খেতে পারবেন। পরিবেশন করার আগে ফ্লেভার যোগ করার জন্য একচিমটে নুন এবম এক টেবিল চামচ মধু যোগ করতে পারেন। ঠাণ্ডা পরিবেশন করলে খেতে ভাল লাগবে।

খালি পেটে আমলার রস খাওয়ার উপকারিতা (Benefits Of Drinking Amla Juice On Empty Stomach)

খালি পেটে আমলা জুস খাওয়ার অনেক উপকারিতা। কী কী ভাবে আপনি উপকার পেতে পারেন, দেখে নেওয়া যাক।

১) ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে (Bolsters Immunity)

আমলাকে ভিটামিন সি-এর পাওয়ার হাউজ বলা যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রকাশ, আমলা দেহে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। ডিটক্স করে। প্রতিদিন আমলা খেলে যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় শরীরের।

২) লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় (Improves Liver Function)

Instagram

আমলার মধ্যে যে অ্যাডিসিক কম্বিনেশন অর্থাৎ গুণাগুণ রয়েছে, তার ফলে লিভার সুস্থ থাকে। লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, সামগ্রিক ভাবে এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে।

৩) ইনসুলিন ক্ষরণ (Secretes Insulin)

কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজমকে রেগুলেট করতে সাহায্য করে ক্রোমিয়াম নামের একটি মিনারেল। এটি আমলার মধ্যে প্রচুর রয়েছে। যা দেহের ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে। যে সব কোষ দেহে ইনসুলিন তৈরি করে তার ক্ষতিও আটকায় আমলা।

৪) অন্ত্র ভাল রাখে (Gut Health)

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পেটের সমস্যা হলে আমলা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ত্বককে ডিটক্স করে ত্বক দেহ থেকে যাবতীয় বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকে, তাহলে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস আমলা জুস খেলে উপকার পাবেন।

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আমলার উপকারিতা (Benefits Of Amla For Treating Various Health Conditions)

Instagram

আমলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কোন কোন সমস্যায় কীভাবে আমলার মাধ্যমে আপনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে। 

১) ডায়াবেটিসের জন্য আমলা (Amla For Diabetes)

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ট্র্যাডিশনাল এবং অসাধারণ প্রাকৃতিক ওষুধ হল আমলা। ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখে আমলা। ভিটামিন সি পাওয়ারফুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। আমলার জুস খাওয়া সবচেয়ে ভাল। তা না হলে ট্রাই করতে পারেন আমলা মোরোব্বা।

২) হাইপারটেনশনের জন্য উপকারি আমলা (Amla For Hypertension)

গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ আমলা খেলে রক্তচাপ কমে। যার ফলে কার্জিওভাসকুলার বিভিন্ন রোগের থেকে দূরে থাকা যায়। আমলার ভিতরে থাকা ভিটামিন, মিনােল ক্লোলেসটোরল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস আমলার রসে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

৩) পিসিওএস-এর জন্য আমলা ( Amla For PCOS)

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী আমলা মেয়েদের ফার্টিলিটির সমস্যা দূর করে। হরমোনের ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল ঠিক রাখে। ওবেসিটিকে প্রতিহত করে আমলা। দেহের বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্ছিত রোমও হবে না নির্দিষ্ট পরিমাণ আমলা খেলে। হালকা গরম জলে প্রতিদিন আমলার রস খেলে ওজন কমে বলে দাবি চিকিৎসকদের।

৪) ওজন কমাতে আমলার ব্যবহার (Amla For Weight Loss)

কাঁচা আমলা খেতে পারেন। আমলা পাউডার জলে গুলে খেতে পারেন। আবার হালকা গরম জলে মধুর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। ফ্যাট কমবেই। ওবেসিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। ওজন কমতে সাহায্য করবে।

৫) ত্বকের জন্য আমলা (Amla For Skin Conditions)

প্রাকৃতিক ভাবে রক্তকে বিশুদ্ধ করে তোলে আমলা। ব্রণ বা যে কোনও রকম দাগের সমস্যা দূর করতে আমলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আমলা পাউডার জলের সঙ্গে গুলে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। যে কোনও রকম ত্বকের ক্ষেত্রেই এটা ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বকের জন্য আমলার রসের উপকারিতা (Benefits of amla juice for skin)

Instagram

শুষ্ক, তৈলাক্ত বা সাধারণ- আপনি যে ধরনের ত্বকের অধিকারী হোন না কেন, ট্রাই করতে পারেন আমলা। ত্বককে ভিতর থেকে ভাল করতে সাহায্য করে এই ফল। পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেও কাজে লাগে। 

১) বয়স ধরে রাখে আমলা (Preserves youthful Skin)

আমলা জুস প্রত্যেকদিন খেলে আপনার ত্বক থাকবে সজীব। সহজে বয়স বোঝা যাবে না। আর এটাও সেই ভিটামিন সি-এর উপকারিতা। ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দাগ, ছোপ দূর করতে সাহায্য করে আমলা।

২) ত্বককে উজ্জ্বল করে (Lightens Complexion)

ভিটামিন সি ছাড়াও আমলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। মধু যোগ করে আমলার জুস খেলে ত্বক মোলায়েমও হবে। 

 

৩) পিগমেনটেশনের সমস্যা দূর করে (Treats Pigments)

পিগমেনটেশন ছাড়া গ্লোয়িং ত্বক পেতে চাইলে আজ থেকেই আমলা খাওয়া শুরু করুন। যে কোনও রকম দাগ, ছোপ দূর করতে ওষুধের মতো কাজ করে। তুলোয় করে আমলা জুস নিয়ে সরাসরি মুখেও লাগাতে পারেন। অবশ্যই এ সময় চোখ বন্ধ রাখবেন। একই রকম উপকার পাবেন।

৪) রোমকূপ পরিষ্কার রাখে (Tightens Pores)

আমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে টানটান এবং মেদহীন রাখতে সাহায্য করে। টোনড রাখতে প্রতিদিন খান আমলা। রোমকূপের মুখ পরিষ্কার রাখে। এতে ত্বকের ভিতরে জমে থাকা ময়লা বাইরে এসে ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ থাকে।

৫) দাগ দূর করে (Treats Acne Scars)

মুখে ব্রণর দাগ রয়েছে? ওই নির্দিষ্ট জায়গায় আমলা পেস্ট লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পর পর কয়েকদিন করলে ম্যাজিকের মতো উপকার পাবেন। প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক হিসেবে কাজ করে আমলা। আসলে প্রতিদিন আমলার রস খেলে আপনার রক্ত এতটাই পরিষ্কার থাকবে, যে ব্রণ আর হবেই না। 

৬) ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর সুরাহা (Damaged Tissues)

প্রতি মুহূর্তে শরীরে টিস্যু ভাঙছে, আবার গড়ছেও। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি। আমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আপনার ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর সুরক্ষাকবচ। কাঁচা আমলা খেতে না পারলেও রস করে মধু মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। উপকার গ্যারান্টি।

চুলের উপকারিতায় আমলার প্রয়োজনীতা (Amla juice for Hair Care)

Instagram

শুধু ত্বক নয়, আমলা চুলও ভাল রাখতে সাহায্য করে। চুলের কোন কোন সমস্যার সমাধান আমলা করতে পারে, দেখে নিন একনজরে। 

১) চুলের বৃদ্ধি (Hair growth)

ভিটামিন সি এবং মিনারেল সমৃদ্ধ আমলা স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে চুল পড়বে কম। লম্বাতেও যেমন বাড়বে, তেমন ঘনও হবে চুল।

২) খুশকির সমাধান (Treats Dandruff)

সাধারণত ত্বক শুষ্ক হলে খুশকির সমস্যআ বেশি হয়। আমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে আর্দ্র করবে। পাশাপাশি খুশকির সমস্যায় ব্যাকটেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে আমলা।

৩) চুল সাদা হওয়া রোধ করবে (Reduces graying of hair)

আমলা দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর ঠাণ্ডা করে। চুলে পাক ধরতে শুরু করলে এখন থেকেই আমলা ট্রাই করুন। উপকার পাবেন।

৪) জট পাকানো চুলের সমাধান (Prevents frizzy hair)

চুল শুষ্ক হয়ে গেলে, আর্দ্রতার অভাব দেখা দিলে অনেক সময় জট পাকিয়ে যায়। এর থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে আমলা। মাথার তালুর মরা কোষও দূর করতে সাহায্য করে। 

৫) হেয়ার কন্ডিশনার (Serves as a natural hair conditioner)

শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার লাগানোর প্রয়োজন। আমলা চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করবে। শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে কাঁচা আমলা সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন আমলা পাউডার।

আমলার রসের উপকারিতা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর (Q/A)

Instagram

আমলার রসের উপকারিতা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর দেখে নিন এক নজরে। 

১) প্রতিদিন কতগুলি আমলা খাওয়া যেতে পারে?

একটি কাঁচা আমলা খেতে পারেন। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ টি আমলা নিয়ে রস করে খেতে পারেন প্রতিদিন।

২) দিনের কোন সময় আমলা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী?

চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মতে, দিনের যে কোনও সময় আমলা খেতে পারেন আপনি। কিন্তু সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে আমলা খেলে সবচেয়ে ভাল উপকার পাওয়া যায় বলে মন অনেকের।

৩) রাতে আমলা খাওয়া কেন উচিত নয়?

চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মতে, রাতে আমলা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। এতে পেটে এবং বুকে ব্যথা হতে পারে। সে কারণে রাতে আমলা না খাওয়াই ভাল। 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..

Read More From Diet