ভারতীয় রান্নায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে তেজপাতা (Bay Leaves)। এর ব্যবহার ভারতীয় রান্নায়, বিশেষ করে বাঙালি রান্নায় হয় ফোড়ন হিসেবে। ডাল রান্নার সময় অনেকেই এটি দিয়ে থাকেন। অনেক বাড়িতে সুজির হালুয়া তৈরি করার সময় তেজপাতা দেওয়া হয়। পোলাও বা মাংসের কোর্মা এই জাতীয় পদেও তেজপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। ভারতে এর বহুল ব্যবহার হলেও আদতে এর জন্ম হচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। সেখান থেকে ব্যবসার মাধ্যমে এই পাতা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। ইতিহাস বলছে, প্রাচীন গ্রিসে বীর যোদ্ধা আর জ্ঞানী গুণী মানুষদের এই পাতার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হত সম্মান দেখানোর জন্য। পরে দেখা যায় এই পাতার আরও অনেক গুণ (Benefits of Bay Leaves In Bengali) আছে। এখনও বিভিন্ন দেশে বেলিফ টি পান করার প্রথা প্রচলিত আছে। রান্নায় তেজপাতা বা বেলিফ যোগ করলে তার স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ে। ত্বক, চুলের যত্নে ও স্বাস্থ্যরক্ষায় এই পাতা যথেষ্ট কাজে দেয়। তেজপাতার (Bay Leaves) বিভিন্ন গুণাবলী (Benefits) ও তার পার্শ্বপ্রতিক্রয়া (Side Effects) নিয়েই আজকের এই লেখা।
Table of Contents
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন নিম পাতা খেলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা
তেজপাতার ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর
তেজপাতায় কী কী উপাদান আছে? (Bay Leaf/Tej Patta Nutrition Facts)
তেজপাতায় আছে এমন কিছু দরকারি উপাদান যা নানা ভাবে নানা কাজে আসে। যেমন এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এছাড়াও এই পাতায় আছে এনজাইম বা পাচক উপাদান। যার গুণে আপনি যে প্রোটিন খাচ্ছেন, সেটা তাড়াতাড়ি ভেঙে গিয়ে সহজপাচ্য হয়ে যায়।
তেজপাতার ব্যাবহার (Uses of Bay Leaves)
আগেই বলেছি, এই পাতার অনেক গুণ। ফলে বিভিন্নভাবে এই পাতা ব্যবহার হয়। রান্নায় এই পাতা যোগ করলে তার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ে। এই পাতা দিয়ে চা করলে, এর সুগন্ধের জন্য সেই চা পান করতে অতি সুস্বাদু হয়।এছাড়া অনেক বাড়িতে তেজপাতা গুঁড়ো করে আলমারিতে রেখে দেওয়ারও চল আছে। এর গন্ধের জন্য পোকামাকড় থাবা বসাতে পারে না।
তেজপাতার সেরা তিনটি উপকারিতা (Top 3 Bay Leaf Benefits)
তেজপাতা যেহেতু মূলত রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়, সুতরাং স্বাস্থ্যরক্ষাতেই এর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। তবে এর বাইরেও ত্বক ও চুলের যত্নেও এর ভূমিকা আছে। শুনতে অবাক লাগলেও, তেজপাতা বা বেলিফ সত্যিই চুল ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। এবার আমরা একে একে দেখে নেব, এই তিনটি ক্ষেত্রে তেজপাতা কীভাবে আমাদের কাজে আসে।
স্বাস্থ্যরক্ষায় তেজপাতা (Health Benefits of Bay Leaf)
প্রথমেই আমরা দেখে নেব, আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় কীভাবে কাজে আসে তেজপাতা। কথিত আছে, প্রতিদিনের খাবারে তেজপাতা থাকলে সেটা আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। কীভাবে স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজ দেয় এই পাতা আসুন দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে হলুদের উপকারিতা
১| মধুমেহ রোগ সারাতে (Good For Diabetes)
যাঁদের টাইপ টু ডায়বেটিস আছে, তাঁদের জন্য এই পাতা খুব কার্যকরী। যেহেতু এই পাতায় সুগন্ধ আছে, সেটি রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজ ভেঙে দিয়ে শরীরের গ্লুকোজ ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এটি ব্যাড কোলেস্টরল কমিয়ে গুড কোলেস্টরলের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যা টাইপ টু ডায়বেটিক রোগীদের প্রয়োজন।
২| পেটের রোগ সারায় (Protects the Stomach Health)
যারা ক্রনিক পেটের সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষ করে যাঁদের পেটে জ্বালা ও হজমের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এই পাতা রোগ নিরাময়ের কাজ করে। এই পাতায় এমন কিছু এনজাইম আছে, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং পেটে কোনও জ্বালা বা ব্যাথা হলে তার উপশম করে।
৩| ক্যানসার প্রতিরোধ করে (Provides Immunity Against Cancer)
পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে বেলিফ বা তেজপাতার নির্যাস পান করলে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। বিশেষ করে কোলোন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, এবং ব্লাড ক্যানসার প্রতিরোধে এই পাতা খুব কাজে দেয়।
৪| ছত্রাক সংক্রমণ কম করে (Treats Fungal Infection)
ছত্রাক জনিত সংক্রমণ রোধ করে এই পাতা। বিশেষ করে ক্যানডিডা সংক্রমণ রোধে এর জুড়ি নেই। এই পাতা ত্বকের কোষের উপর একটা আস্তরণ তৈরি করে যাতে ছত্রাক ত্বকের মেমব্রেন ভেদ করে ভিতরে ঢুকতে না পারে।
৫| ক্ষত নিরাময় করে (Heal Wounds Faster)
বিভিন্ন প্রাণীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তেজপাতা বেটে ক্ষতের উপর লাগালে ক্ষত ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।
৬| ওজন কমাতে সাহায্য করে (Reduces Weight)
তেজপাতা ফোটানো জল পান করলে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আগেই বলা হয়েছে, এতে যে এনজাইম আছে তা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। এই এনজাইমই অতিরিক্ত মেদ গলিয়ে দিতে সাহায্য করে।তেজপাতা খেলে মেটাবলিক রেট বেড়ে যায় ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
৭| দাঁতের দাগছোপ দূর করে (Whiten Teeth)
এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে, যা দাঁতের দাগছোপ দূর করতে সক্ষম। তেজপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটি দিয়ে দাঁতে ঘষলে দাঁত অনেক পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে এই গুঁড়োর সঙ্গে একটু পেয়ারা পাতা গুঁড়ো মিশিয়ে নিলে আরও ভাল ফল পাবেন।
ত্বকের যত্নে তেজপাতা (Bay Leaf Skin Benefits)
যেহেতু এতে ভিটামিন আছে সেহেতু এটি যে ত্বকের যত্নেও কাজ দেবে সেটা বিলক্ষণ বোঝা যাচ্ছে। দেখে নেওয়া যাক কী কী ভাবে কাজে লাগতে পারে এই পাতা।
১| ত্বক পরিষ্কার করে (Cleanse Your Skin)
তেজপাতা বেটে যদি পেস্ট করে নেন এবং সেই প্রলেপ তুলোয় করে নিয়ে মুখে আলতো করে ঘষেন তাহলে ত্বক পরিষ্কার করে। কারণ এর মধ্যে যে উপাদান আছে সেটি ত্বকের ভিতরে জমে থাকা ধুলো ময়লা বের করে দেয়।
২| কাজ করে টোনার হিসেবে (Tones the Skin)
তেজপাতা ফুটিয়ে সেদ্ধ করে তার জল ছেঁকে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। পরে সেই জল তুলোয় করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩| ত্বক কোমল করে (Makes Skin Smooth and Soft)
প্যাকের মধ্যে তেজপাতা দিলে সেটি ত্বক কোমল করতে সাহায্য করে।
৪| ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে (Detoxify Your Body)
তেজপাতার এই উপকারিতা সরাসরি ত্বকের কাজে না লাগলেও, আপনাদের জানিয়ে রাখি এটি একটি দারুণ ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। তেজপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে পাউডার তৈরি করে সেটা জলে মিশিয়ে পান করতে পারেন আবার স্নানের জলেও ব্যবহার করতে পারেন। অল্প কিছু তেজপাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া করলে সেই ধোঁয়াতেও রিল্যাক্সেশান হয়।
৫| অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান (Antibacterial)
যদি ত্বকে কোনও ব্রণ ইতাদি থেকে সংক্রমণ হয় তাহলে তেজপাতা ব্যবহার করলে সেরে যাবে। কারণ এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে।
চুলের যত্নে তেজপাতা (Bay Leaves Benefits for Hair)
এই পাতা ত্বকের যত্নে যতটা কার্যকরী, ঠিক ততটাই ফলদায়ক চুলের জন্য। দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে চুলের যত্নে কাজ দেয় এই পাতা।
১| সুন্দর ও উজ্জ্বল চুলের জন্য (For Smooth and Shiny Hair)
তেজপাতা চুলকে করে মসৃণ ও কোমল। তেজপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে ঠাণ্ডা করুন। এবার শ্যাম্পু করার আগে ভেজা চুলে এই জল কনডিশানারের মতো ব্যবহার করুন। দেখবেন চুল নরম ও উজ্জ্বল হয়েছে।
২| স্ক্যাল্পে সংক্রমণ দূর করে (Kills Bacteria and Fungal Infection Over Scalp)
ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণে, টেল, ধুলো, ময়লা ও দূষণের কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় সংক্রমণ দেখা দেয়। তেজপাতার তেল দিয়ে স্ক্যাল্পে মাসাজ করলে এই সংক্রমণ দূর হবে।
৩| খুশকি দূর করে (Clear Dandruff)
তেজপাতা শুকনো করে পাউডার বানিয়ে সেটা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলে দূর হয় খুশকির সমস্যা। তাছাড়া এতে যে ভিটামিনগুলি আছে সেগুলিও চুলে পুষ্টিও যোগায়।
৪| উকুন দূর করে (Helps To Get Rid of Lice)
চুলের অন্যতম একটি বিরক্তিকর একটি সমস্যা হল উকুন। কখন যে এটি আপনার চুলে বাসা বেঁধে আপনার চুলের ভুট্টিনাশ করবে কে জানে। তেজপাতার কিন্তু সেই গুণ আছে যা উকুন দূর করতে পারে। তেজপাতা ফোটানো জল দিয়ে চুল ধুলে উকুনের বংশবৃদ্ধি রোধ হবে।
৫| চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া বন্ধ করে (Stop Hair Fall)
চুলের বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে এই পাতা। কারণ এতে ভিটামিন আছে। এছাড়া অকালপক্কতা প্রতিরোধ করতেও এই পাতার কোনও জুড়ি নেই।
তেজপাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side Effects of Bay Leaves)
যার ভাল আছে তার মন্দও আছে। এটাই জগতের নিয়ম। এত গুণ থাকার পরেও তেজপাতার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। সেগুলো বিষয়ে জেনে নেওয়া ভাল।
১| গর্ভবতী অবস্থায় এবং শিশুকে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময়, এই পাতা না খাওয়াই ভাল। এতে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
২| যদিও তেজপাতা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবু আপনার যদি ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এই পাতা খাবারে ব্যবহার করবেন না।
৩| যেহেতু তেজপাতায় কড়া গন্ধ আছে তাই এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুমণ্ডলকে শিথিল করে দেয়। যা সার্জারি করার সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে। আপনার যদি কোনও সার্জারি হওয়ার কথা থাকে, তাহলে সেটি হওয়ার অন্তত দু সপ্তাহ আগে তেজপাতা কোনও ভাবেই ব্যবহার না করাই ভাল।
তেজপাতার ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
১| প্রশ্ন: তেজপাতা গিলে ফেললে কি কোনও রকম ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর: এমনিতে তেজপাতায় এমন কোনও ক্ষতিকারক উপাদান বা বিষাক্ত উপাদান নেই, যার জন্য এই পাতা গিলে ফেললে বা চিবিয়ে ফেললে কোনও ক্ষতি হতে পারে। তবে এই পাতা সহজে নরম হতে চায়না। উপরন্তু এই পাতা বেশ ধারালো আর তাই এই কারণে আপনার গলায় এটি আটকে যেতে পারে। তাই অকারণে সমস্যা না বাড়িয়ে এই পাতা গিলে বা চিবিয়ে খাওয়ার কোনও দরকার নেই।
২| প্রশ্ন: জন্তু জানোয়ারদের জন্য কি এই পাতা বিষাক্ত?
উত্তর: বেড়াল বা কুকুরের পক্ষে এটি নিরাপদ নয়। এই পাতার কড়া সুগন্ধের কারণে এই পাতা তাঁদের সহ্য হওয়ার কথা নয়। এটি খেলে তারা বমি করতে পারে। তবে অন্য প্রাণীদের উপর এই পাতার কীরকম প্রভাব পড়তে পারে তার কোনও প্রামান্য তথ্য আমাদের হাতে নেই।
৩| প্রশ্ন: তেজপাতা পুড়িয়ে দিলে কীরকম উপকার পাওয়া যায়?
উত্তর: প্রচলিত ধারা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়, এই পাতা পোড়ালে যে সুগন্ধিত ধোঁয়া বেরোয়, তাতে রিল্যাক্সেশান হয়। এই পাতায় আছে একটি বিশেষ উপাদান যার নাম লিনালোল (Linalool)।বিশ্বাস করা এই উপাদান ক্লান্তি ও স্ট্রেস দূর করতে সক্ষম। তবে এটি ঘরোয়া টোটকা হিসেবেই প্রচলিত। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
৪| প্রশ্ন: তেজপাতা থেকে সরাসরি ছাড়াও আর কী কী ভাবে এর উপকার আমরা পেতে পারি?
উত্তর: বাজারে এমনিতেই তেজপাতা মশলা হিসেবে কিনতে পাওয়া যায়। তবে এখন বিভিন্ন দোকানে তেজপাতার চা, তেজপাতার তেল, তেজপাতার ক্যাপসুল ও তেজপাতার পাউডার পাওয়া যায়। আপনি চাইলে নির্ভরযোগ্য কোনও অনলাইন সাইট থেকেও এগুলি কিনতে পারেন।
৫| প্রশ্ন: তেজপাতা কি পোকামাকড় মারতে পারে?
উত্তর: যেহেতু এতে কড়া গন্ধ আছে, সেহেতু অনেকেই এটা মনে করেন। অনেকে এটি ন্যাপথলিনের পরিবর্তে ব্যবহার করেন। অনেকে শুকনো তেজপাতা শাড়ির ভাঁজে বা বইয়ের পাতায় রেখে দেন। অনেকে এই পাতা শুকনো করে সেই গুঁড়োও কাগজে মুড়ে আলমারিতে রেখে দেন। তবে এক্ষেত্রে একটি দরকারি কথা বলে রাখা প্রয়োজন। সেটি হল, এই পাতা কোনও পোকামাকড় মারতে পারে না। তবে কড়া গন্ধ যতদিন থাকে, ততদিন পোকামাকড় আসে না। তবে গন্ধ চলে গেলে এই পাতার কোনও গুরুত্ব নেই।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
চুল ও স্ক্যাল্পের যত্নে ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা
স্বাস্থ্যরক্ষায় কুলেখাড়া পাতার জবাব নেই
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!