আর ক’দিন পরেই শীতকাল, আর শীতকাল আসা মানেই ত্বকে একটা টান ভাব। শুধু ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে ত্বকের এই টান ভাব কমে না। যাঁদের ত্বকের ধরন নর্মাল, তাঁদেরও এই সময়ে রুক্ষতা স্পর্শ (dry skin) করে। ফলে ত্বকের একটু বেশিই যত্ন নিতে হয়। সেক্ষেত্রে এক কাজ করতে পারেন, ফেস অয়েল (benefits of face oil for various skin type) ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এক এক ধরনের ত্বকের জন্য কিন্তু এক এক রকমের ফেস অয়েল ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ, নরমাক স্কিনের জন্য যে ফেস অয়েল ব্যবহার করবেন, ড্রাই স্কিনে কিন্তু তা লাগালে কাজ দেবে না। তবে, ফেস অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা কী, সে সম্বন্ধে আগে একবার জেনে নিন।
ফেস অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ফেস অয়েল (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)
১। আপনার ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেন, আপনি ফেস অয়েল লাগাতে পারেন। আমাদের অনেকেরই ধারণা আছে যাঁদের ত্বক শুষ্ক, কেবলমাত্র তাঁদেরই ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সত্যি বলতে কী, যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদেরও কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত খেয়াল রাখা দরকার। আর ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য ফেস অয়েল (benefits of face oil for various skin type) দারুণ কার্যকরী।
২। ফেস অয়েল মুখে একটা আলাদা জেল্লা এনে দেয়। একবার ফেস অয়েল লাগালে দেখবেন ত্বকের টেক্সচারই বদলে যায়। ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং মখমলের মত মোলায়েম হয়ে ওঠে।
৩। ফেস অয়েল (benefits of face oil for various skin type) কিন্তু মেকআপের বেস হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। প্রাইমারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ফেস অয়েল মিশিয়ে নিন এবং মেকআপের বেস হিসেবে ব্যবহার করুন। প্রাইমার ও ফেস অয়েল – দুটো প্রোডাক্টই ত্বক মসৃণ করবে। আর ফেস অয়েল ব্যবহার করার ফলে ত্বকে একটা আলাদা জেল্লাও দেখা যাবে, ফলে অতিরিক্ত মেকআপ লাগানোর দরকার নেই।
৪। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের কিন্তু সারা বছরই ফেস অয়েল দিয়ে মাসাজ করা প্রয়োজন। শুধু ময়শ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে না। যদি আপনাকে বাইরে বেরতে হয়, সেক্ষেত্রে বেরনোর কিছুক্ষণ আগে ফেস অয়েল লাগান এবং তারপর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন রক্ষা হবে, তেমনই সূর্যের ক্ষতিকর ইউ ভি রশ্মির হাত থেকেও ত্বক বাঁচবে।
কেমন ত্বকে কীরকম ফেস অয়েল লাগাবেন
শুষ্ক ত্বকের জন্য অলিভ অয়েলযুক্ত ফেস অয়েল ভাল (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)
ক) যদি আপনার ত্বক অয়েলি বা তৈলাক্ত হয় সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনি অনায়াসে ফেস অয়েল (benefits of face oil for various skin type) লাগাতে পারেন। অনেকেই ভাবেন যে তৈলাক্ত ত্বকে আবার কেন তেল মাখবেন। আসলে আমাদের ত্বকে সেবাম নামে একটি গ্রন্থি রয়েছে যেখান থেকে অয়েল সিক্রেশন হয়, ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। কিন্তু ত্বকের অয়েল ব্যালান্স সঠিক না থাকলে, অর্থাৎ আর্দ্রতা কমতে শুরু করলে সেবাম বেশি নিঃসৃত হয় এবং ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। কাজেই যদি আপনার ত্বক অয়েলিও হয়, সেক্ষেত্রেও মিনিমাম ময়শ্চারাইজেশন জরুরি। কাজেই যে-কোনও লাইট ওয়েট ফেস অয়েল আপনি লাগাতে পারেন। জোজোবা অথবা গ্রেপসিডযুক্ত ফেস অয়েল লাগাতে পারেন।
খ) যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় সেক্ষেত্রে একটু ভারী ফেস অয়েল (benefits of face oil for various skin type) লাগান যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে। আমন্ড অয়েল রয়েছে এমন কোনও ফেস অয়েল আপনি ময়শ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন এবং প্রতিদিন দু’বার করে তা মুখে মাসাজ করুন। দেখবেন ড্রাই স্কিনের সমস্যা উধাও হয়ে যাবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!
Read More From রূপচর্চা ও বিউটি টিপস
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA