ওয়েলনেস

চুল ঝলমলে করে তোলা থেকে বাড়তি মেদ ঝরানো – আদার কত উপকারিতা জানেন? (Ginger Health Benefits)

Debapriya Bhattacharyya  |  Aug 8, 2019
চুল ঝলমলে করে তোলা থেকে বাড়তি মেদ ঝরানো – আদার কত উপকারিতা জানেন? (Ginger Health Benefits)

সর্দি-কাশি হলে এক কাপ গরম গরম আদা-চা পেলে গলায় বেশ আরাম লাগে তাই না? আবার দেখুন, রান্নাবান্নায়ও আমরা বেশিরভাগ সময়েই আদা ব্যবহার করি, তা সে নিরামিষ রান্না হোক বা আমিষ। অনেকে আবার গলায় ব্যথা হলে বা গলা খুশখুশ করলে শুকনো আদা সামান্য নুন দিয়ে চিবিয়ে নেন, আদার রস গলায় গেলে গলার এই খুশখুশভাব দূর হয়। যারা আবার একটু বেশিই স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা কিন্তু তাঁদের ডিটক্স ওয়াটারেও আদা মেশান। মোট কথা, আদা আমরা নানা কাজে নানা সময়ে ব্যবহার করে থাকি, কারণ আদার মধ্যে রয়েছে নানা গুণ যা আমাদের নানা উপকার (benefits of ginger) করে। তা, কী-কী উপকারে আদা লাগে, সেটা একবার জেনে নেওয়া যাক, কী বলেন?

চুলের যত্নে আদা (Ginger Benefits For Hair)

ভাবছেন তো, আদা আবার চুলের যত্নে কীভাবে কাজে আসবে? বহুকাল ধরেই কিন্তু রূপচর্চার ক্ষেত্রে আদা ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও একথা বলা আছে। নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে মাথার তালুর যে-কোনও ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করা – আদার ব্যবহার সর্বত্রই!

শাটারস্টক

১। শুষ্ক স্ক্যাল্প মেরামত করতে আদার ব্যবহার (Repairs Dry Scalp)

চুল শুষ্ক তখনই হয় যখন তা যথেষ্ট পরিমাণে ময়শ্চার পায় না। তাছাড়া নানা রকমের স্টাইলিং করার ফলে এবং যথাযথভাবে স্ক্যাল্পে তেল না লাগানোর ফলেও চুল ও মাথার তালু রুক্ষ হয়ে যায়। আদা সেক্ষেত্রে ন্যাচারাল কন্ডিশনারের কাজ করে এনং স্ক্যাল্প ও চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২। খুশকির সমস্যা দূর করতে আদার ব্যবহার (Controls Dandruff)

স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে খুশকির সমস্যা আসবেই, এবং খুশকির সমস্যা থেকে আরও একটি বড় সমস্যা তৈরি হয় তা হল অকালে চুল ঝরে যাওয়া। আদা কিন্তু স্ক্যাল্প থেকে মরা কোষ দূর করে চুলের ভেতর পর্যন্ত পুষ্টি যোগায়।

৩। স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন সঠিক ভাবে করতে সাহায্য করে (Improves Blood Flow)

জিঞ্জারোল নামে একটি এনজাইম রয়েছে আদায় যা রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে তুলতে সাহায্য করে। ফলে স্ক্যাল্পে যদি আদার রস লাগানো যায় সেক্ষেত্রে হেয়ার ফলিকল পুষ্টি পায় এবং নতুন চুল গজায় ও চুল তাড়াতাড়ি লম্বাও হয়।

৪। চুলের পুষ্টিতে আদার ব্যবহার (Nourishes Hair)

এক চা চামচ গ্রেড করা আদা, দুই চা চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ করে নারকেলের দুধ ও তেল এবং তিন কোয়া রসুন ভাল করে বেটে নিন এবং একটি পেস্ট তৈরি করুন। না, রান্না করার জন্য নয়, চুলে লাগানোর জন্য! চুলের গোড়ায় গোড়ায় এই মাস্কটি লাগান এবং ডগা পর্যন্ত নিয়ে আসুন। এবারে ৪৫ মিনিট মতো রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে পুষ্টি জোগাতে কিন্তু প্রতিটি উপকরণেরই জুড়ি নেই।

৫। নতুন চুল গজাতে আদার ব্যবহার (Helps To Grow New Hair)

আদায় কিন্তু ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও নানা ভিটামিন রয়েছে আদায় যা চুল পড়া বন্ধ করে।

চুলের যত্নে আরও কীভাবে আদা ব্যবহার করা যায়? (How Does Ginger Help In Hair Growth)

আরও অনেক উপকরণ রয়েছে যেগুলো আদার রসের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুলের এবং স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্তি পাওয়া যায়। দেখে নিন কী কী সেগুলো –

শাটারস্টক

১। লেবুর রসের সঙ্গে আদা (Ginger And Lemon Juice)

স্ক্যাল্প যদি শুষ্ক থাকে তাহলে খুশকি হওয়া অবধারিত। আর খুশকি থেকে চুলের আরও নানা সমস্যাও হতে পারে, যেমন, চুল ঝরে যাওয়া, নতন চুল না গজানো, স্ক্যাল্পে ইনফেকশন, চুলকানি – অনেক কিছুই। দুই টেবিল চামচ গ্রেট করা আদা, তিন টেবিল তামচ তিল তেল এবং আধ চা চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ফেটাতে থাকুন। ফেটাতে ফেটাতে যখন একটি ঘন পেস্ট তৈরি হয়ে যাবে ভাল করে ওই পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে নিন এবং আধঘন্টা রেখে দিন। পরে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’বার এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করুন।

২। নারকোল তেল এবং আদার রস (Coconut Oil And Ginger)

অনেকেই হয়তো জানেন না, কিন্তু আদা চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ কাজ করে! নানা কারণে আমাদের মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। অনেকেরই স্বাভাবিকভাবেই শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা থাকে আবার অনেকের এই সমস্যা হয় অযত্নের কারণে। সেক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ আদার রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ভাল করে স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। মিনিট দশেক ভাল করে মাসাজ করার আধঘন্টা পর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই তেলটি ব্যবহার করলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা দূর হবে।

৩। আদা বাটা (Ginger Paste)

শাটারস্টক

আদার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং হেয়ার ফলিকল মেরামত করতে সাহায্য করে। দুই টেবিল চামচ আদার পেস্ট স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মাসাজ করুন। যদি স্ক্যাল্পে কোনও ইনফেকশন থাকে বা ঘা থাকে তাহলে এটি লাগাবেন না। ঘন্টাখানেক পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন, সেদিন আর শ্যাম্পু করবেন না। যদি খুব বেশি চুল ওঠে তাহলে সপ্তাহে দু’বার আদা বাটা লাগান মাথায় তা না হলে একবার যথেষ্ট।

৪। পেঁয়াজের রস এবং আদার রস (Onion And Ginger)

আমাদের মোটামুটি সবারই চুল পড়ে, কিন্তু নতুন চুলও গজায়। তবে আপনার যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে এবং তা সমাধান করার জন্য আপনি আদার রস ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু! একটি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ নিয়ে তা গ্রেড করে রস বার করে নিন এবং তার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ আদার রস মিশিয়ে নিন। এবারে যেমনভাবে মাথায় তেল লাগান সেভাবেই পেঁয়াজ এবং আদার রস মাথার তালু থেকে শুরু করে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। প্রয়োজনে তুলোর বলের সাহায্যেও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। মিনিট ২০ রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই নিজের চোখে তফাৎটা বুঝতে পারবেন।

৫। অলিভ অয়েল এবং আদা কুচি (Olive Oil And Ginger)

একটি ছোট শিশির মধ্যে খানিকটা অলিভ অয়েল ভরে নিন এবং তিন টেবিল চামচ আদা কুচি তার মধ্যে রেখে দিন দু’দিন। শিশির মুখ কিন্তু খুব ভাল করে বন্ধ করবেন যাতে বাইরে থেকে হাওয়া না ঢোকে। এবারে আদা কুচি মেশানো অলিভ অয়েল সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্ক্যাল্পে এবং চুলে মাসাজ করুন। এতে চুল মোলায়েম তো হবেই, উপরন্তু চুলের ভেতরেও পুষ্টি যাবে, ফলে চুল ভেতর থেকে মজবুত হবে।

শরীর সুস্থ রাখতে আদার উপকারিতা (Health Benefits Of Ginger)

সর্দি-কাশি হলে বা গলা খুশখুশ করলেই আকছার আমরা এক টুকরো আদা গালে ফেলে চিবোই অথবা আদা দিয়ে চা খাই, কিন্তু এছাড়াও আদা কিন্তু আরও নানাভাবে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনকি শ্বাসকষ্ট নিরাময় করা থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা – অনেক উপকারেই লাগে এই শেকড়টি।

১। শ্বাসকষ্ট কমাতে আদা (Helpful For Asthmatic Problem)

শাটারস্টক

আদার মধ্যে অ্যান্টিহিস্টামাইন প্রপারটিস রয়েছে যা যে-কোনও ধরনের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে বায়ু-বাহিত জীবাণুসংক্রমণ থেকে শরীরকে প্রোটেক্ট করতে সাহায্য করে। অনেকেরই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে যদি নিয়মিত আদা খাওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা রোধ করা সম্ভব।

২। হজমে সাহায্য করে আদা (Improves Digestion)

আদা কিন্তু হজম করতেও সাহায্য করে। রান্নায় আদা ব্যবহার করতে পারেন, আবার কাঁচা আদাও একটু নুন বা বিটনুন দিয়ে খেতে পারেন যদি পেটের কোনও সমস্যা থেকে থাকে তাহলে। গ্যাসের সমস্যা, পেট ব্যথা বা পেট ফোলার মতো সমস্যার সমাধানেও আদা সাহায্য করে।

৩। মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি (To Get Relief From Morning Sickness)

অনেক সময়েই গর্ভবতী মহিলাদের সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি হয় বা বমিভাব হয়। একে মর্নিং সিকনেস বলা হয়। আদায় ভিটামিন বি৬ রয়েছে যা মর্নিং সিকনেসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে গর্ভাবস্থায় আদা খাবার আগে একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াটা ভাল।

৪। পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি (Treatment Of Menstrual Cramp)

শাটারস্টক

অনেক মহিলারই ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেটে, কোমরে বা পায়ে ব্যথা হয়। সেক্ষেত্রে যদি আদা চা খাওয়া যায়, তাহলে এই পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঋতুস্রাবের সময়ে আদা চা খাওয়ার সময়ে অবশ্য খেয়াল রাখবেন মিষ্টত্ব বজায় রাখার জন্য যেন ব্রাউন সুগার ব্যবহার করা হয় কারণ সাদা চিনি ব্যবহার করলে ব্যথা আরও বাড়তে পারে। চাইলে আপনি চিনির বদলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।

৫। ওজন কমাতে সাহায্য করে আদা (Promotes Weight Loss)

আজকাল অতিরিক্ত ওজন বোধয় আমাদের সবারই একটা সমস্যা আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেকসময়ে নানা পন্থা অবলম্বন করি। যদি অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকতে চান তাহলে ব্যায়াম এবং সুষম আহারের সঙ্গে আদা খাওয়া শুরু করুন। আদা কিন্তু একটু দারুণ প্রাকৃতিক ফ্যাট বারনার।

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কীভাবে আদা ব্যবহার করবেন? (Ginger Uses To Get Rid Of Various Physical Problems)

আমরা তো নানারকম শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য ওষুধ খাই, কিন্তু ওষুধেরও অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেক্ষেত্রে আবার অনেকেই ঘরোয়া টোটকার ওপরেও ভরসা করেন। নানা শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিন্তু আদাও একটি দারুণ ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কাজ করে। রান্নাঘরেই পেয়ে যাবেন এমন আরও অনেক উপকরণ যার সঙ্গে আদা মেশালে সেগুলোই কিন্তু মহৌষধি হয়ে উঠতে পারে।

১। পেটের গোলমাল কমাতে (Cure Stomach Problems)

অল্প এক টুকরো আদা নিয়ে কুঁচিয়ে নিন এবং সামান্য নুন মাখিয়ে নিন। সারাদিন ধরে একটু একটু করে আদা কুচি চিবোতে থাকুন। দেখবেন পেটের গোলমাল থেকে কিন্তু তাড়াতাড়িই রেহাই পাবেন।

২। পেট ফাঁপা কমাতে (Reduce Bloating)

শাটারস্টক

অনেক সময়েই খাওয়া-দাওয়ার সমস্যার জন্য আমাদের গ্যাস হয়ে যায় এবং পেট ফুলে ওঠে। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই ঘরোয়া টোটকাটি কাজে লাগাতে পারেন। এক চা চামচ করে গোলমরিচ গুঁড়ো, শুকনো আদা গুঁড়ো, ড্রাই মিন্ট পাউডার এবং ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে একটি এয়ারটাইট কাচের বোতলে ভরে রাখুন। প্রতিদিন সকাল-বিকেল এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ ওই পাউডার গুলে খেয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যেই পেট ফাঁপার সমস্যা কমবে।

৩। পেট ব্যাথা কমাতে (Reduce Stomach Ache)

অনেক সময়ে আমাদের হজমে সমস্যা হলে পেট ব্যথা হয়। এক চা চামচ আদার রসের সঙ্গে আধ চা চামচ ঘি মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন এই মিক্সচারটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরাম পাবেন।

৪। পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমাতে (Relief Period Cramps)

আগেই যেমন বললাম, মেনস্ট্রুয়াল পেইন কমাতে আদা চা পান করা যেতে পারে। আপনা ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে থেকে অথবা প্রথম দিন থেকেই যদি আপনি অন্তত দু’কাপ আদা চা পান করেন তাহলে কোমর এবং তলপেটে ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

৫। গলা ব্যথা কমাতে (Ease Your Sore Throat)

সামান্য আদা কুচিয়ে নিন এবং তা রোদে শুকিয়ে নিন। অল্প নুন মাখিয়ে এয়ারটাইট কোনও বোতলে রেখে দিতে পারেন। গলা ব্যথা বা খুশখুশ করলে অথবা শুকনো কাশিতে এই আদা খেলে আরাম পাবেন।

আদার উপকারিতা সংক্রান্ত কয়েকটি জরুরি প্রশ্নোত্তর (FAQs)

১। প্রতিদিন কি আদা দিয়ে চা খাওয়া উচিত?

শাটারস্টক

উত্তর: আপনি প্রতিদিনই আদা চা পান করতে পারেন কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে আদা চা পান করার সময়ে সম্ভব হলে লিকার চা পান করুন অর্থাৎ দুধ চায়ে আদা না দিয়ে লিকার চায়ের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে পান করুন, এতে বেশি উপকার পাবেন।

২। যে-কোনও ব্যথা কমাতে কি আদা সাহায্য করে?

উত্তর: গাঁটের ব্যথা কমাতে আদা খুবই উপকারী। যে-কোনও ধরণের বাতের ব্যথা যেমন অস্টিওআরথ্রাইটিস, রিউমেটিক ব্যথা ইত্যাদি উপশম করতে সাহায্য করে আদা।

৩। কিডনির সমস্যা সমাধান কি আদা করতে পারে?

উত্তর: আদার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপারটিস রয়েছে যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরে টক্সিন জমতেও দেয় না। যেহেতু কিডনি আমাদের শরীরের টক্সিন বার করার অন্যতম একটি রাস্তা কাজেই অনেক ডাক্তার পরামর্শ দেন, কিডনির সমস্যা হলেও আদা খাওয়া যেতে পারে।

৪। আদার কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

উত্তর: আদার যেমন নানা গুণ রয়েছে, তেমনই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যাঁদের হেমোফোলিয়া রয়েছে তাঁদের আদা না খাওয়াই ভাল। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলারা এবং সদ্য প্রসূতিরা আদা না খেলেই ভাল কারণ আদা শরীরে অনেকসময়ে রক্ত পাতলা করে দিতে পারে। যদি কারও গলব্লাডারে ঘা অথবা স্টোন থাকে তাঁদেরও আদা খাওয়া উচিত নয়।

৫। বেশি আদা খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে?

উত্তর: একদম উল্টো! আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন আদা খেতে পারেন, তবে তা খাওয়ার নিয়ম আছে। এক কাপ জলে দু’তিন টুকরো আদা ফেলে ফুটিয়ে নিন এবং চায়ের মতো ওই জলটি প্রতিদিন পান করুন।

আরও পড়ুন – 
Benefits of Ginger for Skin in Hindi

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From ওয়েলনেস