না, কথাটা কুইনোয়া নয়। প্রকৃত উচ্চারণ হল কিনোয়া (Quinoa)। যার উচ্চারণই এত খটমট, তার ব্যবহার নিয়ে যে খুব কম লকেই জানবে সেতো বলাই বাহুল্য। তবে জানার কোনও শেষ নেই বলে হাত পা গুটিয়ে চুপচাপ বসে থাকার তো কোনও মানে হয় না। পৃথিবী পাল্টে গেছে। তার সঙ্গে-সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে আমাদের জীবনযাত্রার ধরন ও খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস। আর এই পাল্টে যাওয়া দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে আপনার দরকার এমন কিছু যা আপনাকে সুস্থ (health) রাখতে সাহায্য করবে। ভাল রাখবে আপনার ত্বক (skin), সুন্দর রাখবে আপনার চুল (hair)। আর সেই জন্যই আমরা নিয়ে এসেছি কিনোয়ার গুণাবলী। দেখুন আর বুঝে নিন কেন, আপনার প্রয়োজন এই আশ্চর্য বস্তু! তবে তার আগে কিনোয়া সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
কিনোয়া আসলে কী?
কিনোয়া হল বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সুপারফুড বা সুপারগ্রেন। যাঁরা স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁদের কাছে কিনোয়ার গুণ অজানা নয়। তবে সুপারগ্রেন বলা হলেও এটি কিন্তু দানাশস্য নয়। কিনোয়া হল একটি ফলন্ত গাছ, যার বীজ খাওয়া যায়। কিনোয়ার গুণাবলী বলতে প্রকৃতপক্ষে এর বীজেরই গুণ বোঝায়।
কেন এত জনপ্রিয়?
এই কিনোয়া বীজ গ্লুটেন মুক্ত। এই বীজ হল প্রোটিনে ভর্তি। ঠিক যেভাবে আপনি সাধারণ চালের ভাত রাঁধেন, সেই ভাবেই এই বীজ রান্না করা হয় বলে একে কিনোয়া রাইসও বলে। প্রোটিন ছাড়াও এতে আছে ন’টি অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ এবং ভিটামিন বি ও ই।
কীভাবে সাহায্য করে?
১) ওজন কমায়
এতে আছে এমন ফাইবার যা চট করে দ্রবীভূত হয়ে যায়। ফলে যাঁরা জিম করেন বা যাঁরা করেন না, প্রতিদিন কিনোয়া রাইস খেলে (১০০ গ্রাম মতো) ওজন কমবেই।
২) হাড়ের সমস্যা কমায়
এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজ হাড়ের জন্য খুব ভাল। তাই যাঁদের হাড়ের সমস্যা আছে. তাঁরাও কিনোয়া খেতে পারেন।
৩) হার্ট সুস্থ রাখে
এতে যে দ্রবীভূত ফাইবার আছে সেটা আগেই বলেছি। কিনোয়া খেলে ব্যাড কোলেস্টরল কমতে থাকে। ফলে নিয়মিত কিনোয়া খেলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।
৪) ত্বকের যত্নে কাজে দেয়
আপনি হয়তো ভাবছেন শুধু স্বাস্থ্য রক্ষাতেই কাজে আসে কিনোয়া। আসলে তা নয়। আপনার ত্বকের নানা সমস্যাও দূর করে এই সুপারফুড। এতে আছে ভিটামিন বি। যা ত্বকে এজ স্পট বা বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল রাখে। ভিটামিন বি ছাড়াও এতে আছে ভিটামিন এ। যা ত্বকের বলিরেখা কমায়। ত্বক ভাল রাখতে আপনি ভাতের মতো কিনোয়া রান্না করেও খেতে পারেন আবার কিনোয়া সেদ্ধ করে তার মধ্যে ডিমের সাদা অংশ ও এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে প্যাক তৈরি করেও লাগাতে পারেন।
৫) চুলের ফলিকল মজবুত করে ও খুশকি প্রতিরোধ করে
কিনোয়ায় আছে প্রোটিন যা ভিতর থেকে হেয়ার ফলিকলের যত্ন নেয় এবং চুল পড়া বন্ধ করে। এর মধ্যে কিছু জলীয় ও আর্দ্র বস্তু আছে যা চুলে আর্দ্রতা যোগায় ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই আর্দ্র বস্তু চুলের উপর একটি কোটিং ফেলে দূষণ থেকে চুল রক্ষা করে। এর মধ্যে যে অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে তা চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। কিনোয়ায় আছে ভিটামিন ই যা চুলের ডগা ফাটা রোধ করে এবং স্ক্যাল্প থেকে নিঃসৃত তেল নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও এর মধ্যে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা ধরে রেখে খুসকি প্রতিরোধ করে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!