জ্ঞান হওয়ার পর থেকে শুনে আসছি, হলুদের উপকারিতা ও গুণাগুণ (Turmeric Benefits) সম্পর্কে। দিদিমা-ঠাকুরমাদের বলতে শুনেছি, সকালে উঠে খালি পেটে মধুর সঙ্গে এক কুচি কাঁচা হলুদ খেলে নাকি হরেক মুশকিল আসান হয়ে যায়। শরীর স্বাস্থ্য (Health) তো ভাল হয়ই, স্কিনও ভাল হয়। এই যেমন- সরস্বতী পুজোর সকাল মানেই হলুদবাটা মেখে স্নানের পরে ভিজে চুলে পাটভাঙা শাড়িতে অঞ্জলি। আগেকার দিনে তো এতো ফেয়ারনেস ক্রিম অথবা অ্যান্টি অ্যাকনে ক্রিম পাওয়া যেত না। তাই রূপচর্চায় হলুদই ছিল ভরসা (Benefits Of Turmeric)। কম-বেশি সব মেয়েই প্রায় ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর জন্য হলুদের নানা রকম প্যাক ব্যবহার করত। এখনও অনেকেই এটা করে থাকেন। আবার আজকাল বাজারে যে সব স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, তার মধ্যেও থাকে হলুদ (Turmeric)! মানে বুঝতেই পারছেন, হলুদের উপকারিতা (Kacha Holud Benefits)। স্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, স্কিনের নানা সমস্যাতেও একই ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলুদ। প্রত্যেকের হেঁশেলের সঙ্গী এই হলুদ। মাছের ঝোল, মাংসের ঝোল থেকে শুরু করে নানা রকম ভাজাভুজিতেও শুধু এক চিমটি হলুদ! আর তাতেই কামাল! শুধু মশলা হিসেবেই নয়, হলুদ ভেষজ উপাদান হিসেবেও বহু প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখনও কিন্তু ঘরোয়া টোটকা হিসেবেই হলুদের ব্যবহার!
আরো পড়ুনঃ শরীর সুস্থ রাখতে জায়ফলের উপকারিতা
স্বাস্থ্যের জন্য হলুদের উপকারিতা
হলদি দুধের রেসিপি (Golden Milk Recipe)
হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্কের ও (Golden Milk) গুণাগুণ দারুণ। দুধের সঙ্গে হলুদের পেস্ট মিশিয়ে খেলে শরীর থাকবে সুস্থ আর ত্বকও হবে উজ্জ্বল। রাতে শুতে যাওয়ার আগে রোজ হলদি দুধ খেলে উপকার পাবেন। এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ (Turmeric) গুঁড়ো এবং চিনি মেশান। এর পর অল্প আঁচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ফুটানোর সময় সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। ঠান্ডা হতে দিন এবং ইষদুষ্ণ গরম হলে পান করুন।
তবে হ্যাঁ, কয়েকটা বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। হলুদের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের জন্য যাঁদের গলব্লাডারের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা খাবেন না এবং ডায়াবিটিসের রোগীরা হলুদ খেতে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন কারণ হলুদ ওষুধের সঙ্গে মিশে অনেক সময় হাইপো-গ্লাইসিমিয়া হতে পারে। এ ছাড়া অনেকের হলুদের অ্যালার্জি থাকতে পারে, তাই যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরা খাবেন না। ডায়েরিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নন ফ্যাট মিল্ক ব্যবহার করে হলদি দুধ (Golden milk) বানান।
আরও পড়ুনঃ গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা
স্বাস্থ্যের জন্য হলুদের উপকারিতা (Turmeric Health Benefits)
১। সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে (Anti-Inflammatory)
হলুদে কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান থাকে, যা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালিকে রক্ষা করে (Benefits Of Turmeric)। আমরা রোজ যে খাবার খাই, তার মধ্যে অনেক সময়ই নানা জীবাণু থেকে যেতে পারে। খাবারে কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করলে তা খাদ্যনালিকে ক্ষতিকারক জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচায় ও খাদ্যনালির প্রদাহের সম্ভাবনা কমায়।
২। খাবার পরিপাকে সাহায্য করে (Helps In Digestion)
খাদ্য পরিপাকে হলুদের উপকারিতা অনেক। কাঁচা হলুদের (Kacha Holud Benefits) মধ্যে গ্যাস্ট্রো-প্রোটেক্টিভ কিছু গুণ থাকে, যা খাবার পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে হজমের গোলমাল, গ্যাসের সমস্যার ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ খুবই উপকার দেয়।
৩। হাড়ের জন্য উপকারী (Promotes Bone Health)
বহু প্রাচীন কাল থেকেই কাঁচা হলুদকে (Benefits Of Turmeric) হাড়ের নানা রকম রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ছোটবেলা থেকে নিশ্চয়ই দেখে আসছে, বাড়িতে কারও হাত বা পা মচকে গেলে চটজলদি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে চুন-হলুদ লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা হলুদ বেটে ভাঙাহাড়ের জায়গায় লাগালে সেটাও উপকার দেয়। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ব্যথা, প্রদাহকে কমায় এবং হাড়ের টিস্যুগুলিকে রক্ষা করে ও ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে সাহায্য করে। এ দিকে, কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ আর মজবুত রাখে। মেনোপজের সময় মহিলাদের যে হাড়ের ক্ষয় হয়, তা থেকেও কাঁচা হলুদ বাঁচায়।
৪। আরথ্রাইটিসের দাওয়াই (Fights Inflammatory Arthritis)
যাঁরা বাতের ব্যথায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও হলুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হলুদে থাকা কারকিউমিন নানা রকম ভাবে আরথ্রাইটিসের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। কাঁচা হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে (Kacha Holud Benefits) ও তা হাড়ের কোষকে রক্ষা করে। ফলে যাঁরা রিউম্যাটয়েড আরথ্রাইটিসে ভোগেন, দেখা গিয়েছে সাধারণ ফিজিওথেরাপির সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা যদি নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান, তা হলে তা ব্যথা কমায় ও হাড়ের জয়েন্টের মুভমেন্টে সাহায্য করে।
৫। স্ট্রেস কমায় (Reduces Stress Level)
ট্রমাটিক ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে যে সব খারাপ, ভয়ের নানা স্মৃতি থাকে, হলুদে থাকা কারকিউমিন তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ স্ট্রেস বা চাপ, উদ্বেগ থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
৬। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে (Controls Diabetes)
হলুদ ও হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচা হলুদ ইনসুলিন হরমোনের ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে আর অগ্ন্যাশয়কে সুস্থ রাখে।
৭। ক্যান্সার প্রতিহত করে (Prevents Cancer)
কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন মারণ রোগ ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে (Benefits Of Turmeric)। কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাদের মৃত্যু ঘটায়। ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। বিভিন্ন স্টাডি থেকে জানা গিয়েছে যে, নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে প্রায় ৫৬ রকম ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে।
৮। স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায় (Promotes Heart Health)
হলুদের উপকারিতা জানতে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে। এ ছাড়া কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ স্ট্রোকের পরবর্তী চিকিৎসাতেও অনেক উপকার দেয়। কাঁচা হলুদ হার্টকেও বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে (Kacha Holud Benefits)। এ ছাড়া অপারেশনের পরে যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে, তা-ও কাঁচা হলুদ কমাতে সাহায্য করে।
৯। দাঁতের যত্নে কাজে লাগে (Useful For Dental Care)
কাঁচা হলুদ দাঁতের উপরে থাকা এনামেলের আস্তরণকে রক্ষা করে ও ক্ষয় থেকে দাঁতকে বাঁচায়। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি থাকায় তা জীবাণুর থেকেও দাঁতকে রক্ষা করে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন টুথপেস্টে হলুদকে আবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কমাতে ও মুখের ভেতরে ক্ষত সারাতে কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খাওয়া যেতে পারে।
১০। ওজন কমাতে সাহায্য করে (Helps In Weight Loss)
ওজন বাড়ছে? চিন্তা নেই! হলুদ তো আছেই! কারণ কাঁচা হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ওবেসিটি প্রপার্টি। তাই নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে তা শরীরে মেদ জমতে বাধা দেয় ও মেটাবলিজমের হারও বাড়িয়ে দেয়।
১১। সর্দি-কাশি দূর করে (Treats Cough And Cold)
হলুদে থাকা কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায় আর সর্দি-কাশি থেকে আরাম দেয়। কাঁচা হলুদে (Kacha Holud Benefits) থাকা ভিটামিন সি-ও সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে।
১২। অ্যানিমিয়া রুখে (Treats Anemia Naturally)
কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ অ্যানিমিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। মেয়েদের সাধারণত অ্যানিমিয়া হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাই মেয়েদের পক্ষে কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খাওয়া খুবই উপকারী। এ ছাড়া, হলুদে থাকা কারকিউমিন লোহিত রক্তকণিকাকে রক্ষা করে। হলুদে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তে আয়রনের ঘাটতিকেও মেটাতে সাহায্য করে।
১৩। অ্যালঝাইমার্স নিয়ন্ত্রণে (Treats Alzheimer’s)
অ্যালঝাইমার্স সারা দুনিয়াতেই এখন মারাত্মক রোগের আকার ধারণ করেছে। হলুদে থাকা কারকিউমিন (Benefits Of Turmeric) অ্যালঝাইমার্সের চিকিৎসায় সাহায্য করে। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ, স্মৃতিকে রক্ষা করার ক্ষমতা অ্যালঝাইমার্সের চিকিৎসায় কাজে লাগে। দেখা গিয়েছে, নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে তা এই রোগের সম্ভাবনাকে অনেকটাই কমায়।
১৪। হাঁপানি নিরাময়ে (Treats Asthma)
হলুদে থাকা কারকিউমিন শ্বাসনালীর পথে থাকা বাধাকে দূর করে ও শ্বাস নেবার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে হাঁপানি থাকলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেয়ে দেখুন, সহজে উপকার পাবেন।
১৫। হেপাটাইটিস থেকে রক্ষা করে (Prevents Hepatitis)
কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ হেপাটাইটিসের সময় যকৃতের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া হেপাটাইটিস ভাইরাসের থেকেও হলুদ রক্ষা করে। কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খেলে তা যকৃতকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ও যকৃতের স্বাভাবিক কাজকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১৬। থাইরয়েডের সম্ভাবনা কমায় (Reduces The Frequency of Thyroid)
নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খাওয়া আমাদের গলগণ্ডের সম্ভাবনা কমায়। এ ছাড়া থাইরয়েডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে হলুদে থাকা কারকিউমিন সাহায্য করে।
১৭। মেনোপজে (Helps In Menopause)
হলুদ গাছকে ফাইটো-ইস্ট্রোজেন বা ইস্ট্রোজেন হরমোনের উদ্ভিজ্জ উৎস বলা হয়। ইস্ট্রোজেন মেয়েদের দেহে থাকা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। কাঁচা হলুদের ব্যথা কমানোর ক্ষমতা, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ডিপ্রেশন কাটানোর ক্ষমতা মেনোপজের সময় সাহায্য করে।
১৮। ক্ষত সারাতে (Heals Wounds)
কাঁচা হলুদ অ্যান্টি-বায়োটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বিভিন্ন ক্ষত তাড়াতাড়ি সারাতে সাহায্যে করে (Kacha Holud Benefits) ও ক্ষতের জায়গায় নতুন চামড়া জন্মাতে সাহায্য করে। অপারেশনের পরে ব্যথা কমাতে ও পোড়ার ক্ষত কমাতে কাঁচা হলুদ খুবই উপকারী।
১৯। মাথা ব্যথা কমাতে (Prevents Migraine)
সাইনাস বা যে কোনও রকম মাথা ব্যথায় কষ্ট পেলেই এ বার থেকে এক গ্লাস হলদি দুধ খেয়ে নেবেন। দেখবেন, নিমেষে মাথা যন্ত্রণা উধাও! কারণ হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের ভিতরের প্রদাহ কমায় (Benefits Of Turmeric)। ফলে মাথা যন্ত্রণা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শুধু মাথা যন্ত্রণা নয়, যে কোনও ধরনের ব্যথা কমাতেই এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শীতকালে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই সময় হলুদ-দুধের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা মাস্ট!
ত্বকের যত্নে হলুদের গুনাগুণ (Turmeric Skin Benefits)
ত্বককে জেল্লাদার বানানোর জন্য হলুদের জুড়ি মেলা ভার। কারণ স্কিনের (Skin) যে কোনও রকম সমস্যায় হলুদ (Turmeric Skin Benefits) অত্যন্ত উপকারী। সে স্কিন ট্যান হোক, বা স্কিনের দাগ-ছোপ দূর করার জন্যই হোক!
১। কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে, সেই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন ফেস প্যাক হিসেবে। নিয়মিত লাগালে বলিরেখা দূর হয়।
২। কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলার খোসা একসঙ্গে বেটে সেই মিশ্রণ স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে পারে এই স্ক্রাবার।
৩। যাঁরা ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কাছে কাঁচা হলুদ দারুণ উপকারী একটি জিনিস। কাঁচা হলুদ বাটা, আঙুরের রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগান। একটু পরে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ মিলিয়ে যাবে এবং এতে ইনফেকশনেরও ভয় থাকবে না।
৪। সূর্যের তাপে ত্বকে ট্যান হয়েছে। এক কাজ করুন, কাঁচা হলুদ বাটার মধ্যে দই মিশিয়ে লাগান। পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে।
৫। আয়ুর্বেদিক মতে, হলুদ নাকি রক্ত শুদ্ধ করে। তাই হলুদের ফুলের পেস্ট চর্ম রোগ দূর করতে সাহায্য করে বলে শোনা যায়।
৬। ত্বকের ভিতরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও স্বাভাবিক ভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে হলুদ আর মধুর মিশ্রণ মুখে লাগান। ভাল ফল পাবেন।
৭। উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে অল্প লেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন।
হলুদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side Effects of Turmeric)
এতো গেল হলুদের গুণাবলি। কিন্তু হলুদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও (Turmeric Side Effects) রয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। তাই হলুদের গুণ শুনে বেশি করে হলুদ খেলেন, সেটা কিন্তু ঠিক হবে না। তাই জেনে নিন, হলুদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড এফেক্টস।
১। শরীরকে সুস্থ রাখতে হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ খেতে বলা হয়। তবে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে কিন্তু মুশকিল। সে ক্ষেত্রে পেট খারাপ, ডায়েরিয়া, বমি-বমি ভাব হতে পারে। তাই এ সব সমস্যা আগে থেকে থাকলে হলুদ খেলেও কম খাবেন।
২। গর্ভবতী মহিলা বা যাঁরা ব্রেস্ট ফিড করেন, তাঁরাও হলুদ খাওয়া এড়িয়ে যান। আর খেলেও খুবই কম পরিমাণে।
৩। হলুদ অতিরিক্ত খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। হয়তো তরকারিতে দীর্ঘ দিন ধরে হলুদ খেলেও সেটা বোঝা যাবে না। কিন্তু যখন হলুদ আলাদা ভাবে খেতে শুরু করবেন, তখন স্কিনে অ্যালার্জি দেখা দেবে। তাই তখন হলুদ খাওয়া বন্ধ রাখুন।
৪। অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এর মধ্যে থাকে অক্সালেটস। যা কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
ছবি সৌজন্যে: পিন্টরেস্ট
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA