বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বইয়ে তো বটেই, সেই সঙ্গে বেশ কিছু আধুনিক গবেষণাতেও এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে সোনার নথ পড়া মাত্র (benefits of wearing gold nose rings) দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে একাধিক শারীরিক উপকার মিলতে সময় লাগে না। বিশেষত, স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই ধাতুটি (gold) নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয়, সোনা দিয়ে তৈরি যে কোনও গয়না দেহের সংস্পর্শে আসা মাত্র সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ নাকি এতটা বেড়ে যায় যে প্রতিটি অঙ্গ চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরো…
১. সাইনাসের কষ্ট দূর হয়:
মাঝে মধ্যেই কি সাইনাসের সমস্য়া মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে? তাহলে তো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করো না! আর সেই সঙ্গে যদি চটজলদি একটা সোনার নোলক (nose ring) পড়ে ফেলতে পারো, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ নোস রিং পড়া মাত্র সাইনাস পয়েন্টের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে, যে কারণে সাইনুসাইটিসের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে একেবারেই সময় লাগে না।
২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:
সোনার নথ পড়লে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু খেলা শুরু হয় যে তার প্রভাবে ব্রেন পাওয়ার তো বাড়েই, সেই সঙ্গে নানাবিধ মস্তিষ্কঘটিত রোগও ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তাই তো বলি, যাদের পরিবারে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা চটজলদি একটা নোলক পড়ে ফলতে দেরি করো না যেন!
৩. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়:
হাজারো চেষ্টার পরেও কি রাতে দু চোখের পাতা এক হয় না? তাহলে আজই একটা সোনার নথ কিনে ফেলে পড়া শুরু করে দাও। দেখবে উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নোজ রিং পড়া মাত্র নাকি বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে ঘুম আসতে সময় লাগে না। তবে এই যুক্তির সপক্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও গবেষণা পত্রের সন্ধান কিন্তু মেলেনি।
৪. বারে বারে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে:
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সোনা হল প্রকৃতিতে গরম। তাই তো এই ধাতুটি দিয়ে বানানো কোনও গয়না পড়া শুরু করলে (effect of wearing gold on human body) শরীরের তাপমাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে বারে বারে সর্দি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
৫. নাক,কান এবং গলার নানান সমস্যা দূরে পালায় :
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার নথ বা যে কোনও ধরনের সোনার গয়না পরলে নাক,কান এবং গলা সম্পর্কিত নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। কিন্তু এই বিশেষ ধাতুটি কীভাবে শরীরকে (health) এতটা চাঙ্গা রাখে, সে সম্পর্কে যদিও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ওই যে একটা কথা আছে না, “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর।” তাই সবশেষে সিদ্ধান্ত তোমার, এই সব প্রাচীন ধারণার উপর বিশ্বাস রেখে সোনার নথ পরবে, নাকি…!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!