Planning

বাঙালি বিয়ের তত্ত্ব তালাশ, তত্ত্ব সাজানোর নানা আইডিয়া ও তত্ত্ব সাজানোর লোকের হদিশ

Doyel Banerjee  |  Nov 26, 2019
বাঙালি বিয়ের তত্ত্ব তালাশ, তত্ত্ব সাজানোর নানা আইডিয়া ও তত্ত্ব সাজানোর লোকের হদিশ

কথায় বলে লাখ কথার পর বিয়ে হয়। আর বিয়ে পাকা হলেই পাত্র আর পাত্রী দু’জনের বাড়িতেই তাড়াহুড়ো লেগে যায়। বিয়ের কার্ডের ডিজাইন বাছা, সেই কার্ড ছাপতে দেওয়া, বিয়েবাড়ির মেনু ঠিক করা। কেটারারের সঙ্গে কথা বলা, বিয়েবাড়ি ভাড়া, কেনাকাটা, আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি নেমন্তন্ন! বাপ রে বাপ! মেলা হ্যাঙ্গাম। আর আত্মীয়স্বজন এলেই আগে তাঁরা ছেলে বা মেয়ের বাড়ি থেকে কীরকম তত্ত্ব এসেছে সেটা দেখতে চাইবেন। আর যেখানে পহলে দর্শনধারী, পিছে গুণ বিচারি বলে একটা কথা আছে, সেখানে ঠিকঠাক করে সুন্দর তত্ত্ব না সাজালে হয়? মেয়েও চাইবে না শ্বশুরবাড়িতে তার মাথা হেঁট হোক, আর ছেলেও চাইবে না শ্বশুরবাড়িতে সবাই ছি-ছি করুক।কারণ তত্ত্ব মানে তো শুধু জিনিসপত্রের আদান প্রদান নয়। এ হল সম্পর্কের বন্ধন। তাই আমরা হাজির হয়েছি বাঙালি (bengali) বিয়ের (wedding) তত্ত্ব (tatta) নিয়ে দু’-চার কথা বলার জন্য। কীভাবে তত্ত্ব সাজাবেন আর কোথায় পাবেন তত্ত্ব সাজানোর লোকের হদিশ সব খুঁটিনাটি রইল এই লেখায়। বিয়ের মরসুম কিন্তু জোর কদমে শুরু হয়ে গেছে। তাই আর দেরি না করে কোমর বেঁধে লেগে পড়ুন!  

তত্ত্ব কাকে বলে?

Instagram

প্রত্যেক মানুষই উপহার দেন ভালবেসে। উপহারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কত স্মৃতি, কত ভাল লাগা। আবার মজার ঘটনাও কিছু কম হয়না। একটি মেয়ে যখন তাঁর নিজের বাড়ি, নিজের বাবা মা এবং চেনা পরিবেশ ছেড়ে নতুন একটি বাড়িতে প্রবেশ করে তখন দুটি বাড়ির মধ্যে গড়ে ওঠে সম্পর্কের সেতু। সেখানে সবাই তাঁর অচেনা। সেখানকার পরিবেশ তাঁর অজানা। তাই সে সবার জন্য উপহার নিয়ে আসে। আবার হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী ছেলের গায়ে যে হলুদ দেওয়া হয়, সেটাই যায় মেয়ের বাড়ি। সঙ্গে যায় নানা উপহার। কারণ নতুন অতিথিকে বরণ করে ঘোরে তোলার আগে তাঁকে নানা উপঢৌকনে সাজিয়ে দেওয়া হয়। মূলত একেই বলা হয় তত্ত্ব।

কেন দেওয়া হয় তত্ত্ব?

Instagram

গায়ে হলুদের তত্ত্ব হল প্রধান তত্ত্ব। কারণ সেখান থেকেই সম্পর্কের সূচনা হয়। ছেলের গায়ে হলুদ হলে সেই হলুদ সহ নানা জিনিস যায় মেয়ের বাড়িতে। সেখানে হবু কনের জন্য তো হরেক রকম জিনিস থাকেই, তার সঙ্গে কনের বাড়ির লোকেদের জন্যও নানা জিনিস থাকে। মেয়ের বাবা মা এবং ছোট বা বড় বোনের জন্য নানা জিনিস থাকে। মূলত ছেলেদের জন্য সেভাবে কিছু দেওয়া না হলেও, অনেক সময় মেয়ের বাবা, কাকা, মামা, ছোট বা বড় ভাইয়ের জন্য পোশাক ও অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়। এই দেওয়া নেওয়া বিয়েতে যোগ করা হয়েছে যাতে দুই পক্ষের মধ্যে এক আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই জন্যই তত্ত্ব দেওয়া হয়। অনেক সময় মেয়ের মা বা ছেলের মা হবু কনে বা হবু বরকে নিয়ে এই কেনাকাটা করেন। যাতে বাড়ির সদস্যদের পছন্দ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। একসাথে কেনাকাটা করলেও আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সব মিলিয়ে তত্ত্ব দেওয়া ও নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল দুই পরিবারকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা।

তত্ত্বের তালিকায় কী কী থাকে

Instagram

তত্ত্ব দেওয়ার সময় তার তালিকা তৈরি করা মূল ব্যাপার। এটা বেশ কঠিন ব্যাপারও বটে। কারণ ছেলের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়িতে কাকে কীরকম তত্ত্ব দেওয়া হবে আবার মেয়ের বাড়ি থেকেও বউভাতের দিন কীরকম তত্ত্ব আসবে তার তালিকা আগে থেকে তৈরি করে নেওয়া হয়। মূলত দুই বাড়ি থেকেই বাবা, মা, ভাই, বোন, বউদি, ভগ্নীপতি, মামিমা, কাকিমা, পিসিমা ও জেঠিমাদের তত্ত্ব দেওয়া হয়। অবশ্যই সবার আগে সুন্দর করে বর ও বউয়ের জন্য তত্ত্বের ডালা। যদি মেয়ে বা ছেলের বাড়িতে কোনও দীর্ঘ দিনের কাজের লোক থাকে, তাহলে তার জন্যও তত্ত্ব আসে।

 

তত্ব কয় প্রকারের হয়

তত্ত্ব বলতে প্রধানত গায়ে হলুদের তত্ত্বকেই বোঝায়। কারণ সেখান দিয়েই তত্ত্বের শুরু হয়। ছেলের গায়ে হলুদ হয়ে গেলে, পেতলের বাটিতে সেই হলুদ সহ অন্যান্য উপহার আসে মেয়ের বাড়িতে। আবার বউভাতের দিন সন্ধেবেলা মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে তত্ত্ব যায়। অনেক বাড়িতে আলাদা করে ছেলে ও মেয়ের আশীর্বাদ হয়। সেখানেও তত্ত্বের আদান প্রদান হয়। অনেক ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিও আলাদা করে মূল বিবাহ অনুষ্ঠানের আগে হয়ে থাকে। তখনও সামান্য কিছু উপহার দেওয়া হয়। তবে আশীর্বাদ ও রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে শুধু কনে বা বরকেই উপহার দেওয়া হয়। তখন বাকিদের সেরকম কিছু দেওয়া হয়না। পাকা দেখা হলে দুই বাড়িতে তত্ত্বের আদান প্রদান হয়ে থাকে। বিয়ের আট দিন পর মেয়ে যখন অষ্টমঙ্গলা সারতে বাপের বাড়ি আসে তখনও তত্ত্ব দেওয়া হয়।প্রথম জামাই ষষ্ঠী এবং যে ঋতুতে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে সেই কথা মাথায় রেখেও তত্ত্বের উপঢৌকন মেয়ের বাড়ি থেকে দেওয়া হয়। অর্থাৎ শীতকালে বিয়ে হলে কম্বল,শীতবস্ত্র ইত্যাদি আবার গরমকালে বিয়ে হলে পাকা আম ইত্যাদি দেওয়া হয়।  

কোন কোন তত্ত্বে কীরকম জিনিসপত্র দেওয়া হয়

বুঝতেই পারছেন গায়ে হলুদের তত্ত্বে মূল বস্তু হল হলুদ। সেটা দেওয়া হয় পিতলের বাটিতে। অবশ্যই নতুন কেনা বাটি। সেটি সুদৃশ্য ট্রে বা ডালার উপর সাজানো থাকে। একটু গোলাপের পাপড়িও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া থাকে মাছ, মেয়ের জন্য শাড়ি, ম্যাচিং গয়না, সাজগোজের জিনিস, স্নানের বিলাস ব্যসন। থাকে মা, ঠাকুমা, দিদিমা, কাকিমা স্থানীয়দের শাড়ি। কনের জুতো এবং তার অন্যান্য পছন্দের জিনিসও থাকে। বাড়ির পুরুষ সদস্যদের জন্য পাঞ্জাবী বা শার্ট থাকে। বাড়ির খুদে সদস্যদের জন্যও নানা জিনিস থাকে। আবার মেয়ের বাড়ি থেকে তত্ত্ব গেলেও মোটামুটি একই রকমভাবে সাজানো হয়। অবশ্যই বরের জন্য যা যা দেওয়া হয় সেটা স্পেশ্যাল হয়। সেখানে বরের জন্য ধুতি পাঞ্জাবী, শেরওয়ানি, কোট, দাড়ি কামানোর সরঞ্জাম, জুতো ইত্যাদি থাকে। অন্যান্য তত্ত্বও একই রকমের হয়। শুধু জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে আলাদা করে তত্ত্ব দেওয়া হয়।

 

তত্ব সাজানোর কিছু আইডিয়া

Instagram

তত্ত্ব সাজানো এমন হবে যার প্রশংসা লোকের মুখে মুখে ঘুরবে। এমনকি বিয়ে হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরেও লোকে বলবে আহা অমুকের বিয়েতে যা তত্ত্ব সাজানো দেখেছিলাম না, চোখ একেবারে জুড়িয়ে যায়। মনে রাখবেন এটা দুই বাড়ির সম্মানের প্রশ্ন তাই সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া আপনার কর্তব্য। আর সবার জন্য সমান যত্ন নিয়ে সাজাবেন। শাশুড়ির ট্রে যতটা যত্ন নিয়ে সাজাবেন, খুড়শাশুড়িরটাও ঠিক ততটাই ভালবেসে করতে হবে। তত্ত্ব পাঠানোর আগে একটা তালিকা করে নিন। বাড়িতে ক’জন সদস্য আছে, তাঁরা কে কেমন জিনিস পছন্দ করেন সেটা আগে বুঝে নেওয়া দরকার। যদি কেউ শাড়ি পরতে পছন্দ না করে তাহলে তাঁকে শাড়ি দেওয়া বৃথা তাই না? প্রথমেই বাড়ির বয়স্ক ও বয়স্কাদের কথা ভাববেন। অর্থাৎ শ্বশুর বা শাশুড়ি স্থানীয় যদি কেউ থাকেন তাঁদের কথা বলছি। সবার জামা কাপড়ের সঙ্গে না হলেও অন্তত বাড়ির ইয়াং ব্রিগেডের জন্য জামার সঙ্গে জুতো, কানের দুল ও পারফিউম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ডালা কমপ্লিট হবে। মাথায় রাখবেন বাড়ির খুদে সদস্যদের কথাও। তাঁদের জামা-জুতোর সঙ্গে ছোট্ট একটা টেডি বেয়ার বা কোনও মজার জিনিস দিয়ে দেবেন, তাঁরা খুশি হবে।

 

ছেলের বাড়ির জন্য

https://bangla.popxo.com/article/best-wedding-planners-in-kolkata-in-bengali

প্রথমে সুন্দর করে একটা তালিকা করে নেবেন। পালকি বা বর-বউয়ের শেপে পুতুল বানিয়ে সেখানে লিখে দিতে পারেন। কার জন্য কোনটা দিচ্ছেন তার পাশে একটা নম্বর দেবেন আর সেই নম্বর অনুযায়ী জিনিসের  উপর স্টিকার লাগিয়ে দেবেন। এতে আপনারও জিনিস গুছিয়ে রাখতে সুবিধা হবে. জামাকাপড়, জুতো, কসমেটিক্স, মিষ্টি ও অন্যান্য ভাজাভুজির জন্য আলাদা-আলাদা করে ডালা সাজাবেন। 

প্রত্যেক ডালার উপরে সেলোফেন পেপার দিয়ে বা কোনও ট্রান্সপারেন্ট কাগজ দিয়ে মুড়ে দেবেন। এতে জিনিসগুলির উপর ধুলো পড়বে না। আর যাঁরা তত্ত্ব দেখতে আসবেন, তাঁরা ডালায় হাত না দিয়েই জিনিসগুলো সব দেখতে পারবেন। মেয়ের যদি বিশেষ কোনও বস্তু পছন্দ থাকে, তাহলে সেটা আলাদা করে সাজিয়ে দেবেন। ধরুন কনে বই পড়তে ভালবাসেন, তাহলে আলাদা ডালায় তাঁর পছন্দের বই সাজিয়ে দিন। ছবি আঁকতে ভালবাসলে আঁকার সরঞ্জাম বা জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ থাকলে নানা রকম জ্ঞানের সিডি দিতে পারেন।

ডালার উপরে নাম্বার ছাড়াও ‘কনের জন্য’, ‘কনের ভাইয়ের জন্য’ বা ‘কনের বউদির জন্য’ এভাবে লিখে দেবেন। এমন ভাবে সেটা করবেন, যাতে এই নিয়ে পরে কোনও কনফিউশন তৈরি না হয়। 

 

মেয়ের বাড়ির জন্য

https://bangla.popxo.com/article/how-to-cope-up-with-new-life-and-family-after-marriage-in-bengali

ছেলের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদে যায় মাছ ও মিষ্টি। মেয়ের বাড়ি থেকেও মিষ্টি আসে। সাধারণত বড় মিষ্টির দোকানে সুন্দর করে মিষ্টির ডালা সাজিয়েই দেওয়া হয়। তবে আপনি চাইলে আলাদা করে সাজাতে পারেন। 

মনে রাখবেন, বাড়ির যদি কারও মধুমেহ বা ডায়বেটিস থাকে তা হলে তাঁর জন্য আলাদা করে সুগারফ্রি মিষ্টির আয়োজন করবেন। মিষ্টি ছাড়াও ফল ও ড্রাই ফ্রুট দেওয়া হয়। এই দুটোতেই আপনি আলাদা করে সাজিয়ে দিতে পারেন। ফলের জন্য সুদৃশ্য ঝুড়ি নিয়ে আসুন। প্লাস্টিক নয়, বেতের ঝুড়িতে ফল দিন। আর ড্রাই ফ্রুটসও সুন্দর র‍্যাপার দিয়ে মুড়ে সোনালি ফিতে দিয়ে বেঁধে দিন। আগেই বলেছি ছেলের বাড়িতে যদি দীর্ঘদিনের কোনও কাজের মাসি থাকেন তাঁর জন্যও তত্ত্ব সাজিয়ে দেবেন। হয়তো তিনি আপনার স্বামীকে কোলে পিঠে মানুষ করেছেন। আপনি নতুন বউ হিসেবে তাঁর জন্য উপহার নিয়ে গেলে তাঁর খুব ভাল লাগবে।

বাড়িতে কোনও ছোট সদস্য থাকলে আলাদা করে নানা রকমের চকোলেট, টফি ও অন্যান্য মিষ্টি জিনিস যা ছোটদের ভাল লাগে সেটা দিতে পারেন। 

 

কলকাতায় তত্ত্ব সাজান যারা

instagram

জানি আপনি নিশ্চয়ই এটা বলবেন যে বাড়ির লোকেরা সবাই মিলে হইহই করে আনন্দ করতে করতে তত্ব সাজাবে, সেটাতেই তো অনেক বেশি আনন্দ। হক কথা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে পরিস্থিতি সব সময় এই ব্যাপারে সহায়ক হয়না। এখন আর একান্নবর্তী পরিবারের চল নেই। পরিবার এখন শুধু বাবা মা আর সন্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। হ্যাঁ, আত্মীয় স্বজনরা বিয়ের সময় একত্রিত হন ঠিকই, কিন্তু অতিথির মতো। তাই তাঁদের হাতে সব দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্তে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা যায়না। এখন উপায়? উপায় একটাই। যারা পেশাদার ভাবে তত্ত্ব সাজান তাঁদের সাহায্য নেওয়া। না এতে লজ্জার কিছু নেই। লোকবল না থাকায় অনেকেই এটা করে থাকেন। কারা কারা এই শহরে তত্ব সাজান সেটা দেখে নেওয়া যাক।

Instagram

১) ইন্দ্রাণীজ ব্রাইডাল অ্যান্ড তত্ব ডেকোরেশন

২৪ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন ইন্দ্রাণী মজুমদার। তোয়ালে দিয়ে রাধা কৃষ্ণ বা গণেশ তৈরি হোক বা মশলা দিয়ে জগন্নাথ, সব কিছুতেই তিনি সিদ্ধহস্ত। খরচ পড়বে ট্রে পিছু ১০০ টাকা। যোগাযোগ ৯৮৩৬৩৫৪৭৯৫

২) ক্ল্যাসিকাল টাচ

তন্নিষ্ঠা রাহার বিশেষত্ব হল তোয়ালে দিয়ে তৈরি ওয়েডিং কেক এবং রাজহাঁস। দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। এছাড়া তিনি চকোলেট দিয়ে খুব সুন্দর গোলাপের বাগানও তৈরি করতে পারেন। খরচ পড়বে ট্রে পিছু ২০০ টাকা।যোগাযোগ ৭২৭৮৮৭৭৩১৯

৩) সৃষ্টি ক্রিয়েটিভ

অনিন্দিতা দাস রীতিমতো শৈল্পিক ভাবে তত্ব সাজান। আঁকা ছবি, কাঠের কাজ, পুতুল কিনা থাকে সেখানে। শোলা দিয়ে তৈরি ময়ূর, গিটার ইত্যাদি আকারের ট্রেগুলোও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। খরচ ট্রে পিছু ২০০ টাকা। যোগাযোগ ৯০৬২৪৮৮০১৮

৪) ডেকোরেশন ল্যাব

সুদিপ্তা কুণ্ডু চৌধুরীর কাছে আপনি আধুনিক থেকে ঐতিহ্যশালী, সব রকমের তত্ব সাজানোর সুলুক সন্ধান পাবেন। ছোট ছোট জিনিস যেমন সাজগোজের ট্রেতে ছোট্ট ড্রেসিং টেবিল বা গ্রামের দৃশ্য এইসব তুলে ধরতে তার জুড়ি নেই। কন্যা বা পাত্রপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ তত্ত্ব সুচিও তৈরি করে দেন তিনি। খরচ ট্রে পিছু ১২০ টাকা। যোগাযোগ ৯৮৩১৫৩২৮২২

৫)হস্ত শিল্প

সাগরিকা রায় খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দেন মাছের ট্রে। এছাড়া তিনি শাড়ি, তোয়ালে ইত্যাদি দিয়ে মঙ্গল ঘট থেকে শুরু করে জাহাজ, প্রজাপতি সব কিছু তৈরি করে দিতে পারেন। খরচ ট্রে পিছু ১০০ টাকা। যোগাযোগ ৯০৬২৪৮৮০১৮

৬)ড্রিম ক্রিয়েটরজ

মানালি মুখার্জি করেন থিম বেসড তত্ত্ব। পুজোর সময় যদি থিম হয় তাহলে বিয়ের সময় কেন হবে না বলুন? আপনার পছন্দের রূপকথা হোক বা হিমাচলের পাহাড়, আপনার পছন্দের ছাঁদেই সাজানো হবে তত্ত্ব। মানালির বিশেষত্ব হল লেহেঙ্গা ও বেনারসির প্যাকিং। খরচ ট্রে পিছু ২০০ টাকা। যোগাযোগ ৮৬৯৭৯৩১৬২৬

৭)মেল বন্ধন

মাত্র চার বছর আগে মেল বন্ধনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি বেশ জনপ্রিয়। কর্ত্রী এম রয়ের হাতে তৈরি পান আকৃতি ট্রে বা মিনিয়েচার গণেশ বেশ আকর্ষণীয়। খরচ ট্রে পিছু ১২০ টাকা। যোগাযোগ ৯৮৩৬৫৮৯৪১

 

তত্ত্ব সাজানো নিয়ে কিছু জরুরি প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১)তত্ত্ব সাজানোর সময় সবচেয়ে জরুরি জিনিস কী?

উত্তর:  অবশ্যই তত্ত্বের সূচী। কী, কী দেওয়া হয়েছে এবং কাকে কোনটা দেওয়া হয়েছে এর থেকেই জানা যাবে।

প্রশ্ন ২)ছেলের এবং মেয়ের বাড়ির তত্ত্বে কি কোনোরকম পার্থক্য আছে?

উত্তর হ্যাঁ। ছেলের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদের তত্ত্ব আগে যায়।

প্রশ্ন ৩)বাঙালি বিয়েতে তত্ত্ব তালাশ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর:  উপহারের মাধ্যমে দুই পরিবারের মধ্যে যাতে নিবিড় সখ্যতা গড়ে ওঠে সেইজন্য।

প্রশ্ন ৪)পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের জন্য কীভাবে তত্ত্ব আলাদা করবেন?

উত্তর: কেনার সময় বয়স ধরে কিনবেন। সেইমতো সাজিয়ে স্টিকার লাগিয়ে দেবেন এতে গোছাতে সুবিধা হবে।

প্রশ্ন ৫)বাড়ির খুব ছোট সদস্যদের কি কিছু দেওয়া উচিত তত্ত্বে?

উত্তর: এরকম কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে কনের ভাইঝি, বোনঝি বা ছেলের ভাগ্নে বা ভাগ্নি থাকলে তাঁদের জন্য কিছু উপহার দিতে পারেন। এতে দুই পক্ষেরই মনে হবে আপনি সবাইকে মনে রেখেছেন।  

 

Main Image courtsey: biyer tattoo sajano Paro’s , Shankaraas and Chatterjeeneepa

 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…

 

 

Read More From Planning