আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়ম করা, শরীরের যত্ন করা যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন সঠিক আহার। আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত বাতাসের সঙ্গে যত দূষণ ঢোকে, খাবারের দ্বারাও কিন্তু তততাই দূষণ আমাদের শরীরে ঢুকে যায়। কাজেই, আমরা কী খাচ্ছি তা দেখে নেওয়া খুব জরুরি। আমাদের শরীরে যদি পরিমাণমতো অক্সিজেনের জোগান না থাকে, তাহলে আমরা অসুস্থ হতে বাধ্য। কাজেই অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার (oxygen riched foods) খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কোন কোন খাবারে অক্সিজেন পাবেন, তাই ভাবছেন তো? আমরা জানাচ্ছি।
ব্রোকলি
যদিও শীতকালে বেশি পাওয়া যায় এই সব্জিটি, তবে আপনি ফ্রিজে বেশ কিছুদিন স্টোর করে রাখতে পারেন। অন্যান্য সব্জির মতোই এতেও প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন রয়েছে (oxygen riched foods) এবং ব্রোকলি কিন্তু বাড়তি ওজন কমাতেও (weight loss) সাহায্য করে।
রসুন
সকালে উঠে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দেন। এতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনের জোগান থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু কিন্তু ফ্যাট কাটার। অর্থাৎ নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ (fat) কমে, বাড়তি ওজনও (weight loss) কমে। মিষ্টি আলু নানা প্রাকৃতিক খনিজে ভরপুর। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেনও (oxygen riched foods) রয়েছে যা আমাদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতিপূরণ করতে সাহায্য করে।
পালং শাক
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে (ছবি – শাটারস্টক)
আমরা সবাই জানি পালং শাকে আয়রনের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে যাদের শরীরে আয়রন কম এবং রক্তাল্পতায় যারা ভোগেন তাঁদেরকে পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে পালং শাকে কিন্তু অক্সিজেনও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
বাদাম
এক মুঠো বাদামে যে কত গুণ তা আপনি কিছুদিন না খেলে বুঝতে পারবেন না। রোজকার খাবারে একমুঠো বাদাম যোগ করুন। সন্ধের সময়ে খিদে পেলে কয়েকটা বাদাম বা কাজু-কিশমিশ খান, তেলেভাজা বা প্রসেস করা খাবার না খেয়ে। এতে শরীরে পুষ্টিও হবে এবং একইসঙ্গে অ্যালকালাইন ও অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে।
অঙ্কুরিত ডাল
অঙ্কুরিত ডাল বা কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভাল। যেহেতু এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে কাজেই ভিতর থেকে শরীর সুস্থ রাখতে অঙ্কুরিত ছোলা সাহায্য করে। এছাড়াও টক্সিন বার করতে সাহায্য করে এবং শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি আমাদের শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা সঠিক করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব তো হয় না, উপরন্তু শরীরের বাড়তি মেদ কমে ও শরীর ঝরঝরে লাগে।
টক দই
দইয়ের পি এইচ ভ্যালু ৪.৪ থেকে ৪.৮-এর মধ্যে হলেও টক দই খেলে কিন্তু অম্বল হয় না। বরং পেটের সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করতে সাহায্য করে টকদই। প্রতিদিন খাবারে এক বাটি টক দই যদি আপনি যোগ করেন তাহলে আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনও পৌঁছয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!