
বেঁচে থাকার জন্য, ভাল কাজ করার জন্য মনের জোরটাই আসল। অনেকেই আমরা মুখে এই কথাটা বলি হয়তো। কিন্তু সত্যিই বিশ্বাস করি ক’জন? বাস্তব এসে যখন সামনে দাঁড়ায়, তখন আদৌ ততটা মনের জোর কি দেখাতে পারি আমরা? অনেকেই পারেন না। আবার অনেকেই মনের জোরেই কাটিয়ে দেন সারা জীবন। তেমনই একজন মালবিকা (malvika) আইয়ার।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে গ্রেনেড হামলায় (Bomb Blast) নিজের দুটো হাত হারিয়ে ফেলেছেন মালবিকা। কিন্তু তা জীবনের লড়াই থামিয়ে দিতে পারেনি। একাধারে পিএইচডি স্কলার, অ্যাকটিভিস্ট, মোটিভেশনাল স্পিকার মালবিকার সেই ১৩ বছরের স্মৃতি দুঃস্বপ্নের মতো। আবার ওই ঘটনাই তাঁর বেঁচে থাকার তাগিদ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল মালবিকার জন্মদিন। আর সেদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জীবনের ঘটনা শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক বক্ত্তায় নিজের জীবনের ঘটনার কথা শেয়ার করেছিলেন তিনি। তাই এবার তুলে ধরেছেন সোশ্যাল ওয়ালে। গ্রেনেড হামলার ফলে বাদ যায় তাঁর হাতের কিছুটা অংশ। চিকিৎসকদের ভুল ছিল। কিন্তু সেই ঘটনার জন্য আজ আর কাউকে দোষারোপ করতে চান না মালবিকা।
মালবিকা লিখেছেন, “বোমায় যখন হাত উড়ে গেল, চিকিৎসকদের চিন্তা ছিল, কী করে আমায় বাঁচাবেন। তাই তড়িঘড়ি তাঁরা কেটে বাদ দেন দু’টো হাতই। একইসঙ্গে সেলাই করার সময় আমার হাতের হাড় যে বেরিয়ে রয়েছে, খেয়াল করেননি। ফলে, সেলাই হল ভুল জায়গায়। বেরিয়ে থাকল হাতের হাড়।” চিকিৎসকদের সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে মালবিকাকে। যন্ত্রণার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে এরপর ওই হাড়কে রুপোর পাতলা পাতে মুড়ে দেন তিনি। সেই হাড় মালবিকার উড়ে যাওয়া হাতের আঙুলে রূপান্তরিত। যা দিয়ে তিনি কি-বোর্ডে বা ফোনে টাইপ পর্যন্ত করতে পারেন! এ ভাবেই শেষ করে ফেলেছেন তাঁর পিএইচডি-ও।
জন্মদিনে সোশ্যাল অডিয়েন্স শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মালবিকাকে। কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর লড়াই করার শক্তিকে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল তাঁর পোস্ট। আসলে মালবিকা যেন আরও অনেকের বেঁচে থাকার রসদ পৌঁছে দিলেন। তাঁর অদম্য লড়াই, বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছের কাহিনি আসলে অনুপ্রেরণার কাজ করল। শুধুমাত্র মনের জোরে যে জীবনের বাজি জিতে নেওয়া যায়, তার উদাহরণ হয়ে থাকলেন মালবিকা। হাত না থাকার কারণে কোনওদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখেননি মালবিকা। পিছিয়ে থাকেননি কোনও কাজে। গোটা পৃথিবীর কাছেই নিজের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এমনকি যে চিকিৎসকদের ভুলে তাঁর হাত বাদ পড়েছিল, তাঁদেরও ক্ষমা করেছেন তিনি। নতুন করে বেঁচে থাকার পাঠ শিখেছেন নিজেই। নিজের শর্তে জীবন বেঁচে নিতে চাওয়া মেয়েকে তো সাধুবাদ জানাতেই হবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!