একজন শিশুর জীবন শুরু হয় মাতৃগর্ভে। মায়ের শরীর থেকেই বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করে সে। আর ঈশ্বরের আশ্চর্য সৃষ্টিলীলার মাহাত্ম্য দেখুন। জন্মের পরও মায়ের শরীর থেকেই সে আবার বেঁচে থাকার রসদ নিয়ে বেড়ে ওঠে! মানে, মাতৃদুগ্ধ পান করেই সে ধীরে-ধীরে জীবনের আস্বাদ পায়। আমাদের দিদিমা-ঠাকুরমা থেকে শুরু করে ডাক্তাররা, সকলেই বলছেন যে, শিশুর জীবনে অন্য নানা খাবারের চেয়ে মাতৃদুগ্ধ (breastmilk) অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। কিন্তু যে মা দুধের শিশুকে নিয়ে শপিং মলে যান বা অফিসে যান, তাঁর সন্তানের যদি হঠাৎ খিদে পায়, তিনি কী করবেন? সকলের সামনেই স্তন্যদান করবেন নাকি শিশুকে অভুক্ত রেখে বাড়ি চলে আসবেন? এই প্রশ্ন মায়েদের মনে একবার না-একবার আসবেই। আর এই বিষয় নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন। পাবলিক প্লেসে (public place) স্তন্যদান কি আদৌ সম্ভব? আমরা বলছি, হ্যাঁ, সম্ভব। কারণ, স্তন্যদান (breastfeeding) মায়েদের অধিকার।
Table of Contents
- শিশুর জীবনে মাতৃদুগ্ধের ভূমিকা (Importance of Breastfeeding)
- পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান কোনও অপরাধ নয় (Breastfeeding in Public is not a Crime)
- পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় একজন মহিলা কী-কী সমস্যার সম্মুখীন হন?
- পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় কী-কী কথা মাথায় রাখবেন
- মহিলাদের জন্য কোন-কোন জায়গায় ফিডিং রুম থাকা উচিত
- পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে আপত্তি থাকা উচিত নয় কেন
- পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে কিছু জরুরি প্রশ্ন ও তার উত্তর (FAQs)
আরও পড়ুনঃ নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে সন্তানকে বড় করার টিপস
শিশুর জীবনে মাতৃদুগ্ধের ভূমিকা (Importance of Breastfeeding)
শিশুর জীবনে মাতৃদুগ্ধের ভূমিকা অপরিসীম। মাতৃদুগ্ধে আছে ভিটামিন ও প্রোটিন, যা শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। শিশুদের শরীর যেন বিভিন্ন জীবাণু আর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তার জন্য যে অ্যান্টিবডির প্রয়োজন আছে, সেটাও জোগায় মায়ের দুধ। যে শিশুরা এক বছর নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ পান করে, তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বা অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে। ছোট শিশুদের মধ্যে এমনিতে যে ধরনের সমস্যাগুলি হয় যেমন, কানের সংক্রমণ, ডায়রিয়া ইত্যাদি হওয়ার চান্সও অনেক কমে যায় মায়ের দুধ পান করলে।
বিভিন্ন জায়গায় মাতৃদুগ্ধ নিয়ে যে গবেষণা করা হয়েছে, তার থেকে এই তথ্যও জানা গিয়েছে যে, যে শিশুরা ছোটবেলায় দীর্ঘদিন মাতৃদুগ্ধ পান করেছে, তাদের আইকিউ (IQ) বা বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি। তারা ওবেসিটি ও ডায়বেটিস থেকেও অনেক বেশি সুরক্ষিত।
পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান কোনও অপরাধ নয় (Breastfeeding in Public is not a Crime)
একদমই তাই। পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান কোনও অপরাধ নয়। হতে পারে প্রথম মা হওয়ার পর পাবলিক প্লেসে নিজেকে উন্মুক্ত করতে আপনার অস্বস্তি হতে পারে। তবে অপরাধ বোধে ভুগবেন না। পৃথিবীর প্রায় ৫০টি দেশে পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আপনি পাবলিক প্লেসে কেন স্তন্যদান করতে পারবেন, সেটা দেখে নিন।
১| আপনার শিশু আপনার শরীর থেকেই খাবার সংগ্রহ করে। জন্মের পর সে যতদিন না নিজে খেতে পারছে, তার খিদে পেলে তাকে দুধ পান করানোর দায়িত্ব আপনার।
২| নিজেকে আড়াল করে বা যতটা সম্ভব স্তন আড়াল করে শিশুকে স্তন্যদান করার মধ্যে কোনও অশ্লীলতা নেই। এটি একটি প্রাকৃতিক ও অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।
৩| কিছু-কিছু পাবলিক প্লেসে, যেমন অনেক শপিং মলে আলাদা ফিডিং রুমও থাকে। সেখানে গিয়ে শিশুকে অনায়াসে স্তন্যদান করা যেতে পারেন।
৪| কেউ এই বিষয়ে কোনও কটূক্তি করলে, আপত্তি জানালে বা কোনও অশ্লীল আচরণ করলে আইনের সাহায্য নেওয়ার পূর্ণ অধিকার একজন মায়ের আছে।
পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় একজন মহিলা কী-কী সমস্যার সম্মুখীন হন?
বেশিরভাগ মহিলাই পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেকে স্রেফ এই সকলের সামনে স্তন্যদান করতে হবে বলে নানা জরুরি দরকার থাকা সত্ত্বেও ছোট শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে চান না। এই ধরনের সমস্যার শিকড় কিন্তু অনেক দূর পর্যন্ত প্রোথিত হয়ে গেছে। এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের প্রাগৈতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজের গঠন। আসুন, দেখে নিই, পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় সাধারণত কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মায়েদের।
১| সাধারণ জ্ঞানের অভাব
বিদেশের মতো আমাদের দেশে হবু বাবা-মায়ের কোনও মাতৃত্বকালীন প্রশিক্ষণ হয় না। স্কুল বা কলেজেও এই ধরনের কোনও প্রচার না থাকায়, পাবলিক প্লেসে শিশুকে স্তন্যদান করা নিয়ে সকলের মনের মধ্যেই এক অদ্ভুত সঙ্কোচ কাজ করে।
২| কটূক্তি
অনেকেই মনে করেন, এটি একটি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি বই আর কিছু নয়। তাই অনেক মহিলাকেই এই নিয়ে কটূক্তি শুনতে হয়। অনেকে অশ্লীল মন্তব্যও করেন। এমনকী, মহিলারা স্তন্যদান করার সময় অনেকে অসভ্যের মতো মোবাইলে সেই ছবি তোলার চেষ্টা করছেন, এমনটাও দেখা গিয়েছে অনেক সময়!
৩| জায়গার অভাব
সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ! আমাদের দেশে ধূমপান করার জন্য আলাদা করে ঘরের প্রয়োজন নিয়ে লোকে যতটা মাথা ঘামায়, ততটা ব্রেস্টফিডিং রুম নিয়ে ঘামায় না। তাই ফিডিং রুমের কনসেপ্টটাই আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। বেশিরভাগ মহিলাই তা-ই বাইরে বেরিয়ে বুঝে উঠতে পারেন না, কোথায় গিয়ে তিনি শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাবেন।
আরও পড়ুন চাকুরিরতা মায়েদের জন্য ১০টি প্রয়োজনীয় টিপস
পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় কী-কী কথা মাথায় রাখবেন
বেশ কিছুদিন আগে একটি দক্ষিণ ভারতীয় পত্রিকায় স্তন্যদানরত মায়ের ছবি প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছিল। এই ছবিটি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বলা হয়েছিল ছবিটি তথাকথিত “ভারতীয় সংস্কৃতি” র বিরুদ্ধে। তবে ভারতের বুদ্ধিজীবী সমাজের একাংশ চুপ করে থাকেনি। তাঁরা বলেছিলেন, পত্রিকার প্রচ্ছদে নগ্ন মহিলার ছবি অশ্লীল না হয়ে যদি শিল্পসুষমার প্রকাশ হয়, তা হলে একজন মা ও শিশুর কাছে যেটা স্বাভাবিক, সেটা কেন অশ্লীল হবে? অনেকে এ-ও বলেছিলেন যে, প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগ করলে অপসংস্কৃতি হয় না, কিন্তু মা শিশুকে তার স্বাভাবিক খাবার দিলে সেটা ভারতীয় সমাজের কাছে কলঙ্ক? এর সূত্র ধরেই আমরা বলছি, পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় কয়েকটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
১| বুঝে নিন নিজের অধিকার
বাড়িতে এবং পাবলিক প্লেসে শিশুকে স্তন্যদানের অধিকার আপনার আছে। তাই সকলের প্রথমে নিজের অধিকার বুঝে নিতে হবে। আপনাকে কোনও রেস্তরাঁ বা শপিং মলের কর্মচারী বলতে পারেন না যে বাইরে গিয়ে বা বাথরুমে দুধ খাওয়াতে। আপনি যদি একজন ওয়ার্কিং মাদার হন, তা হলে দরকারে অফিসও আপনাকে এই অধিকার দিতে বাধ্য।
২| নিজের কমফর্ট লেভেল মাথায় রাখুন
পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে বলেই আপনাকে স্রেফ বিপ্লবের খাতিয়ে সেটা করে দেখাতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। আগে ভেবে দেখুন যে, আপনি কোনটাতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আর তার জন্য প্রয়োজন পড়লে শিশুর দুধ খাওয়ার একটা সময়তালিকা তৈরি করে নিন। যে-যে সময় তার খিদে পায়, সেটার যদি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকে, তা হলে সেই মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩| ব্রেস্টফিডিং গ্যাজেট
আগে যে সুবিধে ছিল না বা হয়নি এখন প্রযুক্তির কল্যাণে সেটা হয়েছে। বাজারে রয়েছে প্রচুর কাজের ব্রেস্টফিডিং গ্যাজেটস। যেমন ব্রেস্টফিডিং পিলো, ব্রেস্টফিডিং কভার্স ইত্যাদি। এগুলো অনলাইনেও পাওয়া যায়। সেরকম কিছু গ্যাজেটস কিনে নিন। এগুলো পাবলিক প্লেসে দুধ খাওয়ানোর সময় আপনার কাজে লাগবে।
POPxo Recommends Nursing Covers
৪| ওয়াশরুমে স্তন্যদান একেবারেই নয়
যদি দেখেন আপনি যেখানে আছেন, সেখানে কোনও ফিডিং রুম নেই, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত নির্জন জায়গা বেছে নিয়ে শিশুকে স্তন্যদান করবেন। তবে লোকলজ্জার ভয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে কখনওই শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাবেন না। এতে আপনার হয়তো অস্বস্তি কমবে, কিন্তু শিশুর সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে।
৫| ফিডিং চার্ট
আপনাকে যদি দুধের শিশুকে নিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে থাকতে হয়, তা হলে পাম্প করা দুধ বোতলে নিয়ে না যাওয়াই ভাল। কারণ গরমে সেই দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার চেয়ে ভাল হয়, যদি আগে থেকেই শিশুর জন্য কোনও ফিডিং চার্ট করে রাখেন।
৬| অন্য খাবারের ব্যবস্থা
যদি শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি হয়, তা হলে সে মাতৃদুগ্ধ ছাড়াও অন্য খাবার খাওয়ার উপযোগী হয়েছে। তাই ছয় মাসের বেশি শিশুর বয়স হলে তাকে নিয়ে বাইরে বেরনোর সময় আপেল সেদ্ধ, দালিয়ার খিচুড়ি, গলা ভাত বা পাতলা করে সুজি তৈরি করে নিয়ে যেতে পারেন। যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, আপনি তাকে কোনও পাবলিক প্লেসে দুধ খাওয়াতে সক্ষম হলেন না, তা হলে এই খাবারগুলো সে খিদে পেলে খেতে পারবে।
আরও পড়ুন প্রেগনেন্সির পর কীভাবে কমাবেন বাড়তি ওজন
মহিলাদের জন্য কোন-কোন জায়গায় ফিডিং রুম থাকা উচিত
অফিস ছাড়াও যে সব জায়গায় মহিলারা সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করেন, সেসব জায়গায় অবশ্যই ফিডিং রুম থাকা উচিত। তার মধ্যে যে-যে জায়গাগুলোর নাম সবচেয়ে আগে আসা উচিত, সেগুলো হল,
১| বিমানবন্দর ও বড় রেলওয়ে জংশন
২| শপিং মল
৩| বিউটি পার্লার
৪| অফিস
৫| ব্যাঙ্ক ও অন্য সরকারি কার্যালয়
সাধারণত বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা থাকলেও, আমাদের দেশে কোনও রেলওয়ে স্টেশনেই এরকম কোনও ব্যবস্থা থাকে না। এমনকী, চলন্ত ট্রেনেও অনেক মহিলা শিশুকে দুধ খাওয়াতে ইতস্তত বোধ করেন। তাই এই দুটো জায়গায় সবচেয়ে আগে ফিডিং রুমের ব্যবস্থা করা উচিত। অনেক অফিসেই, বিশেষ করে আই টি কোম্পানিগুলোতে বেশ কিছুদিন হল ফিডিং রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ক্রেশেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে মা’র কাছে শিশু থাকতে পারে। তবে সেগুলো এতই হাতে গোনা যে, সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কোনও সুযোগ নেই।
POPxo Recommends Breast Pads and Shiled
পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে আপত্তি থাকা উচিত নয় কেন
রাষ্ট্রপুঞ্জ বা ইউএন অনেক আগেই পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে সচেতনতার প্রসার করেছে। এই জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ এক সপ্তাহব্যাপী মাতৃদুগ্ধ দিবস সপ্তাহ বা ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং উইকও পালন করেছে। বিশ্বের বহু উন্নত দেশ, যেমন নরওয়ে এবং জাপান ব্রেস্টফিডিংকে মানবিকতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং এর জন্য আলাদা ব্যবস্থাও করেছে। একই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিল, পেরু, ফিলিপিনসেও। সুতরাং, এই নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়।
POPxo Recommends Breastfeeding Pillow
পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে কিছু জরুরি প্রশ্ন ও তার উত্তর (FAQs)
১| প্রশ্ন: এমন কোনও সংস্থা আছে কি, যারা পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান নিয়ে প্রচার করে?
উত্তর: হ্যাঁ, বিদেশে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক সংস্থা আছে । অ্যাকাডেমি অফ ব্রেস্টফিডিং মেডিসিন, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স ইত্যাদি সংস্থা এই কাজ করে।
২| প্রশ্ন: কত দিন পর্যন্ত একজন শিশুকে স্তন্যদান করা উচিৎ?
উত্তর: একটি শিশুর কাছে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব কতটা, সেই বিষয়ে প্রথমেই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওয়র্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশান বা ডব্লিউএইচও (WHO) সারা বিশ্বের মায়েদের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছে যে, শিশুর জন্মের পর অন্তত টানা ছয় মাস তার মায়ের দুধ পান করা উচিত। তবে এক বছর পর্যন্ত দুধ পান করালে সেটা শিশুর জন্য ভাল হয়।
৩| প্রশ্ন: স্তন্যদানের সময় কি আড়াল করে বসা উচিত?
উত্তর: আড়ালেই বসতে হবে তার কোনও বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই। সেটা নির্ভর করবে আপনি কোথায় আছেন এবং আপনার কমফর্ট লেভেলের উপর। তবে কিছুটা আড়াল করে রাখলে সংক্রমণ ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
৪| প্রশ্ন: পাবলিক প্লেসে স্তন্যদান করতে হলে কি লজ্জিত বোধ করা উচিত?
উত্তর: না, একজন মায়ের এটা অধিকার। সুতরাং এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।
৫| প্রশ্ন: স্তন্যদান করায় অসুবিধা থাকলে কি পাম্প করে আগে থেকে মাতৃদুগ্ধ বোতলে রাখা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, করা যায়। তবে তার জন্য আগে থেকে কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়। যে পাম্প আপনি ব্যবহার করছেন এবং যে বোতলে রাখছেন সেটা যেন পরিষ্কার থাকে। পাম্প করে নেওয়া দুধ এক ঘণ্টার বেশি বোতলে না রাখাই ভাল।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!