আচ্ছা আপনারা লভ স্টোরি (love story) বা প্রেমের গল্প শুনতে ভালবাসেন? আমি কিন্তু খুব ভালবাসি! থ্যাঙ্কস টু যশ চোপড়া। আমার শৈশব কেটেছে রোম্যান্টিক হিন্দি ছবি দেখে। মনে আছে সেই হিন্দি ছবির নায়ক কী দারুণভাবে নায়িকাকে প্রেম নিবেদন করতেন। বিশ্বাস করুন, তখন থেকেই ভাবতাম, আমাকেও একদিন কেউ হয়তো এভাবেই প্রেম নিবেদন (propose) করবে গোটা পৃথিবীর সামনে! কিন্তু প্রেম যখন জীবনে এল, তখন একদম চুপিসাড়ে প্রেম নিবেদন করলেন তিনি। আর সেদিনই বুঝতে পারলাম, প্রত্যেকটা প্রেমের গল্পই নিজের নিজের মতো করে স্পেশ্যাল।
আজ আপনাদের সঙ্গে এরকমই কয়েকটা ছোট্ট ছোট্ট অথচ খুব স্পেশ্যাল প্রেমের গল্প ভাগ করে নেব। আপনারা চাইলে আমাদের সঙ্গে নিজের প্রেমের গল্পও ভাগ করে নিতে পারেন…
প্রেমের গল্প ১ # সে’বারের বেড়ানো
মন দেওয়া নেওয়ার সঙ্গেই আংটিবদলও হয়ে গেল… (ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক)
আমি আর আমার প্রেমিক বেড়াতে যেতে খুব ভালবাসি। আর আমাদের বেড়ানো মানে কিন্তু বিদেশে বা শহরের অনেক দূরে কোনও পশ জায়গায় বেড়াতে যাওয়া নয়। আমরা দুজনেই বাড়ির কাছেপিঠে দু-তিন ঘন্টার দূরত্বে কোথাও যেতে ভালবাসি। আমরা কোথাও গেলে একসঙ্গেই থাকতাম, কিন্তু সেবার একটু অন্যরকম ঘটনা ঘটেছিল। আমার বাড়িতে কিছু জরুরি কাজ ছিল বলে আমি ওকে বলেছিলাম যে আমি পরে যাব। আমার বাবার শরীর খারাপ ছিল আর বাবাকে একা ফেলে জেতেও ইচ্ছে করছিল না… কিন্তু আমার বোন আর মা যখন বলল যে ওঁরা বাবার খেয়াল রাখবে, তখন আমি গেলাম। আমার প্রেমিকের সঙ্গে যখন দেখা হল, আমি সবার আগে ওকে জড়িয়ে ধরলাম… কেঁদে ফেলেছিলাম আমি সেদিন… ও কিন্তু আমাকে চুপ করালো না। আমাকে কাঁদতে দিল। আমি কেঁদেই চললাম আর ও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে গেল… কান্না থামার পর আমাকে এক গ্লাস জল দিয়ে আমাকে একটা কার্ড দিল। এতক্ষনে আমিও নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়েছিলাম। দেখলাম সারা ঘরে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো, ফেয়ারি লাইট লাগানো আর একটা বিশাল বড় টেডি! কার্ডটা একটু অবাক হয়েই খুললাম। লেখা ছিল, “আমার সঙ্গে সারাজীবন থাকবে?”
প্রেমের গল্প ২ # অ্যারেঞ্জড লাভ
ভালবাসি বলতে কিছুই লাগে না, একটা গোলাপই যথেষ্ট (ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক)
আমাদের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের ছ’মাস আগে পর্যন্তও আমরা একে অন্যকে ভালভাবে চিনতাম না। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে আমাদের যোগাযোগ হয় এবং সেখান থেকেই কথাবার্তা এগোয়। বিয়ের পর আমার এবং আমার বরের কাজের চাপে আমরা হনিমুনে যেতে পারিনি। কিশোরীবেলা থেকেই খুব ইচ্ছে ছিল একজন রোম্যান্টিক পুরুষ আমার জীবনসঙ্গী হবে… আর সেখানে আমি বউ হলাম এক কাজপাগল মানুষের। বিয়ের মাস তিনেক পর ছুটি পেলাম আমরা আর তখনই গেলাম হনিমুনে। বালি। আমার সমুদ্র খুব ভাল লাগে, সেজন্যই যাওয়া। আমরা যখন বালিতে শপিং করছিলাম, আমি নিজের খেয়ালেই ছিলাম, কিন্তু হঠাৎ বুঝতে পারলাম যে আমার বর আমার সঙ্গে নেই। আমি কী করব কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না। বিদেশে একা একা কীভাবে কোথায় যাব! আমার ফোনটাও আমি হোটেলেই ফেলে এসছিলাম। আমি ঘাবড়ে গিয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছিলাম, আমার সদ্যবিবাহিত স্বামীকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। রাস্তায় লোকজন আমাকে অবাক হয়ে দেখছিল। হঠাৎ দেখি বাবু আসছেন হাসতে হাসতে। দেখে আমার প্রচণ্ড মাথা গরম হয়ে গেছিল। মনে মনে ভাবলাম বেশ করে কথা শোনাবো। কিন্তু আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হঠাৎ করে ও আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলল, “জানি আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও তো আমি তোমাকে প্রেম নিবেদন করতেই পারি, তাই না?” বলে আমারই পছন্দ করা একটা আংটি আমার সামনে ধরল…
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!