চুম্বন! কত ছোট্ট শব্দ দেখো। কিন্তু ভালোবাসা প্রকাশের এর থেকে ভালো উপায় কি আর কিছু হতে পারে? মনে তো হয় না এই নিয়ে কারও মনেই কোনও সন্দেহ রয়েছে বলে! কারণ জীবনের প্রথম কিস যে কেউই ভুলতে পারেনি, তা তো বলাই বাহুল্য! সেই টেনশন, সেই সময়কার অনুভূতি সত্যিই কথায় প্রকাশ করা যাবে না।
কিন্তু কেমন ভাবে চুম্বন করলে প্রেমিকের মন এক সেকেন্ড জয় করে নিতে পারবে, সে সম্পর্কে জানা আছে কি? উত্তর যদি না হয়, তাহলে এই লেখাটা একবার পড়ে ফেলতেই হবে। কারণ এই প্রবন্ধে নানা ধরনের কিস নিয়ে যেমন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, তেমনি কিস করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখাটা জরুরি, এমনকী নিয়মিত প্রিয় মানুষটিকে চুম্বন করলে কী কী শারীরিক উপকার মিলতে পারে, সেই সব বিষয়ের উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে। তাই তো বলি, এই লেখাটা না পড়লে কিন্তু…
চুম্বন এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
যেমনটা আগেও বলেছি, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য চুম্বনের থেকে ভালো কোনও বিকল্প আর আছে নাকি! কিসই তো সম্পর্কের গভীরে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ কি তাই তো! আর ঠিক এই কারণেই চুম্বনের মতো অনুভূতিকে কম নম্বর দিলে কিন্তু ভুল করবে। তবে কিস যে শুধু সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে, তা নয়। বরং বিজ্ঞান বলছে কিসের অনেক শারীরিক উপকারও আছে (different types of kisses)। যেমন ধরো…
১. শারীরিক মিলনের ইচ্ছা জন্মায়:
প্যাশনেট কিসই যে শারীরিক মিলনের ইচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! আসলে কিস করার সময় আমাদের শরীরের ভিতরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে সেক্সের ইচ্ছা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
২. মনের কথা সহজে পৌঁছে যায় প্রিয় মানুষের কাছে:
তুমি তোমার প্রেমিককে কতটা ভালোবাসো, তা হয়তো সব সময় কথার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নাও হয়ে উঠতে পারে। তাই তো যখনই মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে ইচ্ছা করবে, তখনই কিস করো, দেখবে তোমার প্রিয় মানুষটি ঠিক তোমার মনের কথা বুঝে যাবে। তাহলে বলো, চুম্বনের থেকে ভালো বার্তাবাহক আর কিছু হতে পারে নাকি!
৩. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:
একেবারেই ঠিক শুনেছো! বাস্তবিকই লিপ কিসের (lip kiss) সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। আসলে ঠোঁটে চুম্বন করার সময় মস্তিষ্কের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যার প্রভাবে অক্সিটসিন, ডোপামাইন এবং সরোটোনিন মতো “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ যায় বেড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যাওয়ার কারণে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না বললেই চলে।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন, আর তা হল একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে সময় থাকতে থাকতে যদি মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তাকে বাগে আনতে না পারা যায়, তাহলে একদিকে যেমন হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার ভয় থাকে, তেমনি অ্যাস্থেমা, ডায়াবেটিস, বারে বারে মাথা যন্ত্রণা হওয়া এবং নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বলি, এবার থেকে সুযোগ পেলেই বয়ফ্রেন্ডকে কিস করতে ভুলো না যেন! এমনটা করলে দেখবে ভালোবাসার পাশাপাশি শরীরও মজবুত হয়ে উঠবে।
২. মন আনন্দে ভরে উঠবে:
এবার থেকে মন খারাপ করলেই জীবনসঙ্গীকে একটু কাছে টেনে নিতে দেরি করো না যেন! কারণ ২০১৬ সালে স্প্রিঞ্জার লিঙ্ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক স্টাডি অনুসারে লিপ কিস করা মাত্র আমাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের ভিতরে একাধিক রাসায়নিকের ভারসাম্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে, যার প্রভাবে নিমেষে মন খারাপ দূরে পালায়। ফলে দুখি মন আবারও প্রাণ ফিরে পায় (effect of kissing on lips)।
৩. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
পরিবারে কি এমন মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে তো কথায় কথায় লিপ কিস করা উচিত! হঠাৎ এমন পরমার্শ কেন তাই ভাবছো নিশ্চয়? আসলে “কিসিং: এভরিথিং ইউ এভার ওয়ান্টেড টু নো এবাউট ওয়ান অব লাইফস সুইটেস্ট প্লেজার” বইটি অনুসারে চুম্বনের সময় সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, যে কারণে ব্লাড প্রেসার (health) স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না।
গত বছর নভেম্বর মাসে আয়োজিত অ্যানুয়াল কনফারেন্স অব দা কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে বর্তমানে প্রতি ৫ জন কম বয়সি ভারতীয়ের মধ্যে ১ জন হাই ব্লাড প্রেসারের মতো রোগের শিকার, যা বেজায় চিন্তার বিষয় বৈকি! তাই তো বলি, রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখার মধ্যে দিয়ে একাধিক জটিল রোগের খপ্পর থেকে যদি নিজেরে দূরে রাখতে হয়, তাহলে লিপ কিস না করলে কিন্তু চলবে না।
৪. পিরিয়ডের সময়কার কষ্ট কমে:
মাসের এই বিশেষ সময়ে হওয়া যে কোনও ধরনের কষ্ট দূর করতে লিপ কিসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ঠোঁটে চুম্বন করার সময় সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, যে কারণে পিরিয়ড সংক্রান্ত নানাবিধ কষ্ট কমতে সময় লাগে না।
৫. মাথার যন্ত্রণা কমে:
সারাদিন অফিসের পর মাথা যন্ত্রণা, সঙ্গে ক্লান্তি। আর সেই কারণে মাঝে মধ্যেই শারীরিক মিলনে অনীহা, এমন ঘটনা তো প্রায়শই ঘটে থাকে, কি তাই তো? কিন্তু জানা আছে কি মাথা যন্ত্রণার সময় আরও বেশি প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসা উচিত। তাকে কিস করা উচিত! কারণ গবেষণা বলছে মাথা যন্ত্রণার প্রকোপ কমাতে লিপ কিসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে কিস করার সময় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে বিশেষ কিছু হরমনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে মাথা যন্ত্রণার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
ছোট-বড় কোন রোগই ধারে কাছে না অসুক, এমনটা যারা চাও, তারা পাগলের মতো লিপ কিস করতে ভুলো না যেন! কারণ এমনটা করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও অসুখের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
২০১৪ সালে হওয়া এক স্টাডি অনুসারে লিপ কিস করার সময় একাধিক উপকারি ব্যাকটেরিয়া, একজনের শরীরে থেকে আরেকজনের শরীরে গিয়ে বাসা বাঁধে, যে কারণে ইমিউন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
৭. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে:
ভাবতে পারো লিপ কিসের (kiss) সঙ্গে কোলেস্টেরলের যোগও রয়েছে। ২০০৯ সালে ওয়েস্টার্ন জার্নাল অব কমিউনিকেশনে প্রকাশিত এক স্টাডি অনুসারে নিয়মিত বারে বারে কিস করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে বাড়তে শুরু করে উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু জটিল রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়। তাই বুঝতেই পারছো শরীরকে সুস্থ রাখতে চুম্বনের প্রয়োজন কতটা!
৮. দাঁতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
একেবারে ঠিক শুনেছে! সত্যিই নিয়মিত প্রিয় মানুষটিকে লিপ কিস করলে ক্যাভিটির মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। আসলে কিস করার সময় স্যালাইভার উৎপাদন যায় বেড়ে, যে কারণে দাঁতের ফাঁকে আর খাবার জমতে পারে না। ফলে স্বাভাবিভাবেই দাঁতের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ক্যাভিটির মতো সমস্যাও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৯. মুখের পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়বে:
বিশেষজ্ঞদের মতে ঠোঁটে চুম্বন করার সময় আমাদের মুখের প্রায় ২ থেকে ৩৪ টি পেশী একসঙ্গে কাজ করে। তাই কিস যে আসলে ফেসিয়াল মাসলের এক ধরনের ওয়ার্কআউট, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর মুখের পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়়লে কোলাজেনের উৎপাদনও বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
১০. ক্যালরি ঝরে:
বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে প্যাশনেট কিস করার সময় প্রায় ২ থেকে ২৬ ক্যালরি বার্ন হয়। আর এই হারে ক্যালরি ঝরতে শুরু করলে শরীরেরর ইতি-উতি জমে থাকা মেদ কমে যেতেও সময় লাগে না। তাই একথা বলতেই হয় যে অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকো, তাহলে ডায়েটিং এবং এক্সারসাইজের পাশাপাশি নিয়মিত ভালোবাসার মানুষটিকে কিস করতে ভুলো না যেন!
১১. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে:
একাধিক গবেষণাপত্র অনুসারে নিয়মিত যারা লিপ কিস করে, তাদের কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৪৫ শতাংশ কমে যায়। কারণ ঠোঁটে চুম্বন করার সময় সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
লিপ কিস করার সময় আরও একটা ঘটনা ঘটে। এই সময় শরীরের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তেন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য ফিরে আসে, যে কারণেও বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ডিডিজ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
নানান ধরনের চুম্বন:
আগেই কথা দিয়েছিলাম যে আজ তোমাদের শুধু চুম্বনের নানান উপকারিতা নিয়ে জানাবো না, সেই সঙ্গে সারা বিশ্বে যে যে কিসিং স্টাইল বেজায় জনপ্রিয়, সেগুলির উপরও আলোকপাত করা হবে। তাই তো বলি, আর অপেক্ষা কিসের চলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক নানা ধরনের চুম্বন সম্পর্কে…
এস্কিমো চুম্বন:
যখন তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটির নাকের উপর নিজের নাক ঘোষবে, তখন সেই বিশেষ ভঙ্গিকে এস্কিমো চুম্বন বলা হবে। এটা ঠিক যে এস্কিমো চুম্বন একেবারেই প্যাশনেট কিসের তালিকায় পরবে না। তবে প্রকৃত চুম্বনের আগে এস্কিমো কিস করলে যে মন্দ হয় না, তা তো বলাই বাহুল্য!
দা ফ্রেঞ্চ কিস:
লিপ কিস করার সময় একজনের জিহ্বা যখন আরেকজনের জিহ্বা স্পর্শ করে, তখন তাকে ফ্রেঞ্চ কিস বলা হয়ে থাকে।
দা ভ্যাম্পায়ার কিস:
ভালোবাসার সময় অনেক ক্ষেত্রেই আমরা আমাদের প্রিয় মানুষটির ঘাড়ে কিস করে থাকি। এই বিশেষ ধরনের চুম্বনকে ভ্যাম্পায়ার কিস বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল মানুষের শরীরে সব থেকে স্পর্শকাতর জায়গা হল ঘাড়। তাই তো এখানে কিস করলে শারীরিক মিলনের ইচ্ছা জাগতে সময় লাগে না।
দা ইয়ার লোব কিস:
শারীরিক মিলনের আগে এমন কিস করলে সেই অনুভূতি একেবারে আলাদা রকমের হয়। আসলে এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে প্রেমিকের কানের লতিতে কিস করতে হবে। তাই তো এই বিশেষ ধরনের কিসকে “দা ইয়ার লোব” কিস নামে ডেকে থাকে অনেকে।
সিঙ্গেল লিপ কিস:
একইসঙ্গে দুটো ঠোঁটে কিস না করে যদি উপর বা নিচের ঠোঁট চেপে ধরে কিস করা হয়, তাহলে তাকে সিঙ্গেল লিপ কিস বলা হয়ে থাকে।
দা আপসাইড ডাইন কিস:
এ আবার কেমন চিম্বন? আসলে তোমার প্রেমিক শুয়ে থাকার সময় উল্টো দিক থেকে এসে যদি তুমি কিস করো, তাহলে তাকে আপসাইড ডাইন কিস বলা হয়ে থাকে। খেয়াল করে দেখবে স্পাইডারম্যান অনেক সময় এমন ধরনের কিস করে থাকে তার প্রমিকাকে।
দা এঞ্জেল কিস:
চোখের উপর আলতো ঠোঁটের ছোয়া। উফফ…কি অসাধারণ না মুহূর্তটা। কিন্তু জানা আছে কি এই ধরনের চুম্বনকে কী নামে ডাকা হয়ে থাকে? একেবারে ঠিক ধরেছো! এই বিশেষ ধরনের কিসকেই “দা এঞ্জেল কিস” নামে চিনে থাকে অনেকে।
দা টিজার কিস:
কপাল থেকে ঠোঁট হয়ে সারা হাতে চুম্বন করে আবার কপালে গিয়ে কিস করা, এই ধরনের কিসকে দা টিজার কিস নামে ডাকা হয়ে থাকে।
হাতে চুম্বন:
প্রিয় মানুষটির হাত, ঠোঁটের কাছে তুলে নিয়ে অনেকেই চুম্বন করে থাকে। আসলে ভালোবাসার মানুষটি তোমার কাছে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই অনুভূতিপ্রকাশ করতেই এমন কিস করতে পারো।
দা লিজার্ড কিস:
নামটা শুনে একটু আজব লাগছে তো! আসলে এমন কিস করার সময় আমাদের অভিব্যক্তি অনেকটা টিকটিকির মতোই হয়ে যায়। তাই তো এমন নাম। এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছো এমন কিস কীভাবে করতে হয়, তাই তো? তাহলে আজই একবার নিজের জিহ্বা ছুইয়ে নাও প্রেমিকের জিহ্বার সঙ্গে, তাহলেই হয়ে যাবে লিজার্ড কিস!
চোয়ালে চুম্বন:
কিস মানেই তা ঠোঁটে করতে হবে, এমন তো কোনও কথা নেই! ইচ্ছা হলে করতে পারো চোয়ালও, যাকে “দা জ কিস” নামেও অনেকে চিনে থাকে।
কপালে চুম্বন:
এর থেকে মিষ্টি এবং আবেগপ্রবণ কিস আর হয় বলে তো মনে হয় না। ভালোবাসার মানুষটির কপালে আলতো ঠোঁটের স্পর্শে চুম্বন করার অনুভূতি সত্যিই অন্যরকমের।
দা সিপিং:
এ কেমন ধরনের কিস, তাই ভাবছো নিশ্চয়? আসলে মুখে জল বা ড্রিঙ্ক নিয়ে প্রেমিককে কিস করলে সেই চুম্বনকে বলা হবে “দা সিপিং” কিস।
দা ফুট কিস:
ভালোবাসার যদি কোনও সীমানা না হয়, তাহলে চুম্বনের কেন হবে বলো! তাই ঠোঁটে কিস করার পাশাপাশি মাঝে মধ্যে ভালোবাসার মানুষটির পায়েও চুম্বন করা যেতে পারে। আর কখনও যদি এমনটা করো, তাহলে জানবে সেই কিসকে সারা বিশ্ব দা ফুট কিস নামে চিনে থাকে।
বাটারফ্লাই কিস:
এমন কিস করতে কি প্রজাপতির মতো উড়তে হবে? আরে না না, তেমন কিছুই করতে হবে না! বরং কিস করার সময় যদি তোমার চোখের পাতা প্রেমিকের চোখের পাতার সঙ্গে মাঝে মাঝেই লেগে যায়, তাহলে জানবে তুমি “বাটারফ্লাই কিস” করছো।
এয়ার কিস:
এই চুম্বনটি সম্পর্কে তো সবারই জানা আছে নিশ্চয়? আরে সিনেমায় দেখায় না প্রেমিকা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ফ্লাইং কিস করলো, আর নিচে দাঁড়ানো প্রেমিক খপ করে ধরে ফেললো। সেই চুম্বনকেই এয়ার কিস বলে।
দা হিকি:
চুম্বন করার সময় যদি কামড়ে ফেলো, আর শরীরে দাগ হয়ে যায়, তাহলে সেই কিসকে কী নামে ডাকবে জানো? “দা হিকি কিস”!
চুম্বনের সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখতেই হবে:
১. মুখ থেকে যেন বাজে গন্ধ না বেরোয়:
কিস করতে চলেছো আর মুখ থেকে বদ গন্ধ বেরচ্ছে, এমনটা যেন না হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় মুশকিল। তাই এই বিষয়টা খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।
২. অনুমতি নিতে ভুলো না:
চুম্বন যেহেতু ভালোবাসার প্রকাশ। তাই কিস করার সময় পার্টনারের অনুমতি নিতে ভুলো না যেন!
৩. চুইং গাম নৈব নৈব চ:
মুখের গন্ধ দূর করতে কিস করার আগে চুইং গাম খাওয়া চলতে পারে। কিন্তু চুম্বনের সময় মুখে যেন চুইং গাম না থাকে।
৪. ঠোঁটের যত্ন নেওয়াটা জরুরি:
চুম্বন করছো যখন ঠোঁটে, তখন নিজের ঠোঁটের বেহাল দশা হলে কিন্তু মুশকিল। তাই লিপ কিস করার আগে ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুলো না যেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss করলে কি কি শারীরিক উপকার মেলে
ভালোবেসে মনের মানুষটি কে এই ডাকনামে ডাক দিও
রোমান্টিক ডায়লগ যা আপনাকে আপনার পার্টনারের আরও কাছে নিয়ে যাবে
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA