
এই কয়েক মাস হল মুম্বইয়ে নতুন চাকরিতে জয়েন করেছে ঋদ্ধিমা। কিন্তু কিছুই যেন ভাল লাগছে না ওর। কিছুতেই নতুন অফিসের (office) নতুন কলিগদের (coworkers) সঙ্গে নিজেকে অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না। ফলে অফিসটা ভীষণই বোরিং ওর কাছে। ঋদ্ধিমা ভাবে, কলকাতায় ওর পুরনো অফিসটা কত্ত ভাল ছিল! কী সুন্দর সব্বাই ওর কত কাছের হয়ে গিয়েছিল। অথচ সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে কলকাতার অফিসে (office) জয়েন করে ঋদ্ধিমা ভেবেছিল, কী চাপেই না কাজ করতে হবে ও-কে। সহকর্মীরা (coworkers) হয়তো সে ভাবে কথাই বলবে না। আজও মনে পড়ে ওর প্রথম দিনটার কথা। সে দিন তো সে ভাবে কথাই হয়নি কারও সঙ্গে। তার পর ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। অফিস (office) লাইফটা বেশ এনজয়ও করছিল। মাঝেমধ্যেই সহকর্মীদের সঙ্গে শপিং, মুভি দেখতে যাওয়া, খেতে যাওয়াও চলতো। আর অফিস (office) হোক বা ব্যক্তিগত- যে কোনও সমস্যায় সহকর্মীরা (coworkers) সব পাশে থাকত। মানে ওর আগের অফিসটা একটা পরিবার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু মুম্বইয়ের এই নতুন অফিসটার সহকর্মীরা তো কেউ কথাই বলতে চায় না। কেমন যেন একটা ছাড়া-ছাড়া ভাব! এই কয়েক দিনেই হাঁপিয়ে উঠেছে ও!
আসলে অফিসে আমরা দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটিয়ে দিই। আর তাই অফিসে যাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করেন, সেই সহকর্মীদের (coworkers) সঙ্গে যদি বন্ধুত্বের (friendly) সম্পর্ক (relation) গড়ে ওঠে, তা হলে তার থেকে ভাল আর কিছুতে হয় না। এতে আপনার কেরিয়ারেরও উন্নতি হবে সহজেই। টিম-ওয়ার্ক ভাল হবে। কারণ দিনের বেশির ভাগ সময় যে হেতু অফিসে কাটান, আর অফিসের সহকর্মীদের (coworkers) যদি আপনি পছন্দ না করেন, তা হলে গোটা দিনটাই আপনার খারাপ যাবে। আর এর প্রভাব পড়বে আপনার কাজেও। তাই অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ (friendly) সম্পর্কের (relation) ভারসাম্য বজায় রেখে চলা প্রয়োজন।
একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
সব সম্পর্কেই (relation) শ্রদ্ধা-সম্মান থাকাটা খুবই জরুরি। ঠিক সে ভাবেই আপনারও সহকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা থাকাটা জরুরি। সেটা না থাকলে সম্পর্ক কখনও সুন্দর হয় না। মনে রাখবেন, প্রতিটা মানুষ সমান নয়। তাই প্রত্যেকের ভাল লাগা, খারাপ লাগা, পছন্দ-অপছন্দ সবটাই আলাদা। তাই মতের মিল সব সময় না-ও হতে পারে। সেটা সত্ত্বেও শ্রদ্ধা বা সম্মানটা থাকা জরুরি। তাই সহকর্মীর (coworkers) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ (friendly) সম্পর্কের (relation) মূল ভিত্তিই হল একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা।
টিম ওয়ার্ক
কাজের চাপ ভাগ করে নিতে হবে। সব দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে কিন্তু মুশকিল! সহকর্মীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। কাজ বা দায়িত্ব সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলে টিম ওয়ার্কও ভাল হয়। আর সহকর্মীর (coworkers) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ (friendly) সম্পর্ক (relation) আরও মজবুত হয়। আর অন্য দিকে আবার আপনার যে সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ ভাল সম্পর্ক, তাঁদের সঙ্গে কাজও করতে ভাল লাগবে। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু টিম ওয়ার্ক দারুণ হবে।
বস-কর্মী সম্পর্কের ক্ষেত্রে
আপনার বস আর আপনার মধ্যে অনেক কিছু কমন থাকতে পারে। তা-ও আপনাকে মনে রাখতে হবে, অফিসের সম্পর্কে উনি আপনার বস। তবে এটাও নয় যে, বসের সঙ্গে শুধু কাজের আলোচনাই করতে হবে। মানে বসের সঙ্গে কাজের বাইরের নানা রকম আলোচনা করতেই পারেন। একসঙ্গে অফিসের বাইরেও আড্ডা দিতে পারেন।
নিজস্বতা বজায় রেখে
প্রতিটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন নিজস্বতা বজায় রাখাটা মাস্ট, সে রকম অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই। নিজস্বতা বজায় না রাখলে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠবে না। অন্য কাউকে নকল করার চেষ্টা করবেনা না। তা হলে কিন্তু মুশকিল!
ছবি সৌজন্যে: পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA