ওজন কমাতে এক্সারসাইজ চলুক। সঙ্গে ডায়েটিং মাস্ট! তবেই না মেদ ঝরে রোগা হবেন! আর যদি অতিরিক্ত কয়েক কিলো ওজন কমাতে চান, তাহলে যে একটু চেনা ছকের বাইরে গিয়ে অন্য রাস্তা নিতে হবে। কী রাস্তা শুনি? এক্সারসাইজ-ডাইটিংয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে বিশেষ কয়েক ধরনের চান পান শুরু করুন। তাতে কী হবে? এই সব চায়ে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যা দেহের মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়াটিকে আরও ত্বরান্বিত করে, যে কারণে ওজন কমে তরতরিয়ে। সঙ্গে বহু রোগ-ব্যাধিও ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তাই কী সিদ্ধান্ত নিলেন, চা খেয়ে ওজন কমাতে চান তো?
১. দারচিনি দিয়ে তৈরি চা
বাঙালির হেঁসেলে দারচিনি থাকবে না, তা কখনও হয় নাকি! এই দারচিনিকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে তার জন্য দারচিনি দিয়ে তৈরি চা নিয়মিত খেতে হবে, তাহলেই দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে দারচিনিতে থাকা নানা উপকারী উপাদানের গুণে digestive system-এর ক্ষমতা বাড়ে, যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই সব উপকারী উপাদানের কারণে যে কোনও ধরনের ব্যথা, বিশেষ করে menstrual pain কমে নিমেষেই। এখন প্রশ্ন হল, দারচিনি দিয়ে কীভাবে চা তৈরি করতে হয়, তা জানা আছে কি? এক্ষেত্রে এক কাপ জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে চামচ তিনেক চারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে পান করুন। সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলে আরও উপকার মিলবে।
২. জবা ফুল দিয়ে তৈরি চা
এই ফুলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করা মাত্র প্রদাহের মাত্রা কমতে শুরু করে। মূলত এই কারণেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। আচ্ছা, দেহের প্রদাহের সঙ্গে কি ওজন বৃদ্ধির যোগ রয়েছে? আলবাত রয়েছে! বেশ কিছু স্টাডির পরে একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়লে নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই ওজন বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো নিয়ম করে জবা ফুল দিয়ে তৈরি চা পান করা জরুরি। তাছাড়া নিয়ম করে এই পানীয় পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, স্ট্রেসের প্রকোপ কমে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতেও সময় লাগে না। তাই বুঝতেই পারছেন, সুস্থ থাকতে গেলে এই পানীয় পান করা মাস্ট! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জবা ফুল দিয়ে চা তৈরির একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এক্ষেত্রে একেবারে প্রথমেই এক কাপ জল ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে এক চামচ hibiscus tea অথবা শুকনো জবা ফুলের গুঁড়ো মিশিয়ে মিনিটপাঁচেক অপেক্ষা করে পান করুন। ব্রেকফাস্টের সময়, নয়তো বিকালের দিন এই চা খেতে পারেন। তবে দিনে কাপ তিনেকের বেশি খাবেন না যেন! কারণ, বেশি খেলে নানা রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
৩. Chamomile Tea
চটজলদি ওজন কমিয়ে ফেলার চেষ্টায় রয়েছেন নাকি? তাহলে দিনে বার কতক ক্যামোমিল চায়ে চুমুক মারতে ভুলবেন না যেন! তাতে কি সত্যিই উপকার মিলবে? একাধিক স্টাডিতে দেখে গেছে এই পানীয়ে রয়েছে anti-obesity properties, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ক্যামোমিল চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সহ নানা উপকারী যৌগের গুণে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটি তো কমেই, তার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, অনিদ্রার সমস্যা দূর হয় এবং সার্বিক ভাবে শরীরকে সুস্থ থাকে এই পানীয়টি তৈরি করার সময় খেয়াল রাখবেন ফুটন্ত জলে কম করে চামচ দুয়েক ক্যামোমিল পাতা মেশাবেন, তবেই উপকার মিলবে।
৪. পুদিনা চা
এক কাপ জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে কম-বেশি খান দশেক পুদিনা পাতা মিনিটপাঁচেক ভিজিয়ে নিন। তারপর সেই জলটা পান করুন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের সময় এই চা পান করলে ওজন (Weight Loss) কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে না। কারণ, পুদিনা পাতায় মজুত menthol, menthone, hesperidin সহ একাধিক কার্যকরী উপাদান প্রদাহের মাত্রা কমায়, যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, পুদিনা চায়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তবে এত সব উপকার পেতে ব্রেকফাস্টের সময়, নয়তো রাতে শুতে যাওয়ার ঘন্টা দুয়েক আগে এই পানীয় পান করতে হবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এই দশকটি আমরা শেষ করতে চলেছি #POPxoLucky2020-র মাধ্যমে। যেখানে আপনারা প্রতিদিন পাবেন নতুন-নতুন সারপ্রাইজ। আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার আগামী বছরটা POPup করে ফেলুন!