রসিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার চল গত হয়েছে। সবাই এখন এতটাই ব্যস্ত যে কোনও মতে নাকে মুখে গুঁজে ছুটে চলেছে। তাই তো দিনে দিনে নানা মুখরোচক পদের নাম ভুলতে বসেছে বাঙালি। কচু শাকের ঘন্ট যেখানে এককালে খাদ্যরসিক বাঙালিদের পাতে প্রায়ই জায়গা করে নিত, সেখানে আজ অনেকেই কচু শাকের নামই জানে না। গোত্র হারিয়েছে ওল এবং ওলকপির মতো সবজিও। শুধু পরে রয়েছে ভগ্ন শরীর আর নস্ট্যালজিয়া। নিশ্চয়ই ভাবছেন, শরীরের সঙ্গে এই সব শাক-সবজির কী সম্পর্ক? (health benefits of conventional bangali vegetables)
আসলে কী জানেন, এককালে ঠাম্মার তৈরি কচু চিংড়ি বা পিসির তৈরি কাঁঠালবিচির চচ্চড়ির স্বাদে নিমেষেই যেমন আট থেকে আশির জিভে জল এসে যেত, তেমনই শরীরেরও হরেক রকমের উপকার হত। কারণ, এই সব সবজি এবং শাকে এত রকমের উপকারী উপাদান মজুত রয়েছে যে, মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ক্ষমতা বাড়ে, যে কারণে ছোট-বড় নানা রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তাই তো বলি, সুস্থ থাকতে যদি চান, তা হলে হারিয়ে যাওয়া কিছু বাঙালি পদকে আবার ফিরিয়ে আনুন। তাতে রান্নার সময় একটু ঝক্কি বাড়বে বই কী! কিন্তু রসনা তৃপ্তির পাশাপাশি শরীরও যে চাঙ্গা হয়ে উঠবে (health benefits of conventional bangali vegetables), তাতে কোনও সন্দেহ নেই!
কচু
কচু চিংড়ির কাবাব, কচু ইলিশ বা সরষে বাটা দিয়ে তৈরি কচুর লতি কখনও খেয়েছেন নাকি? না খেয়ে থাকলে ঝটপট রেসিপিটা জেনে নিয়ে কোনও এক ছুটির দিনে তৈরি করে ফেলুন। দেখবেন, খেতে মন্দ লাগবে না! এই শাকটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ,বি ও সি। সঙ্গে মজুত রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজও, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে যেমন বিশেষ ভূমিকা নেয়, তেমনই রক্তাল্পতা এবং হজমের সমস্যাও দূর হয়। সঙ্গে ফাইবারের মাত্রা বাড়ার কারণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে শুরু করে। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, কচু শাকে উপস্থিত ফলেট এবং থিয়ামিনও নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।
ওল
ওল চিংড়ি বা ওলের ডালনা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই উপকারীও বটে। কারণ, এই সবজিটি নানা ভিটামিন এবং মিনারেলে ঠাসা, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানা পেটের রোগের প্রকোপ কমতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। দাঁতের ব্যথার মতো সমস্যাও দূর হয়। খিদে বাড়ে এবং প্রোটিন-কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতিও মেটে। এমনকী, নিয়মিত ওল ভাতে খেলে নাকি পাইলসের সমস্যাও (health benefits of conventional bangali vegetables) কমে যায়। কমে আমাশয়ের প্রকোপও।
কাঁঠালের বীজ
কাঁঠাল গাছের কোনও কিছুই ফেলনা যায় না! ফল যেমন সুস্বাদু, তেমনই ফলের বীজও শরীরের নানা উপকারে লাগে। বিশেষ করে কাঁঠালের বীজে উপস্থিত ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম একদিকে যেমন ত্বকের পরিচর্যায় কাজে আসে, তেমনই স্ট্রেস কমাতে এবং অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। তাই বুঝতেই পারছেন, সুস্থ থাকতে যদি চান, তা হলে ঝটপট ঠাম্মা বা দিদাকে ফোন লাগিয়ে কাঁঠালের বীজ দিয়ে তৈরি হরেক স্বাদের পদ কীভাবে তৈরি করতে হয় তা জেনে নিন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!