এক টুকরো পেয়ারায় অল্প করে চাট মশলা ছড়িয়ে খেয়েছো কখনও? উফফ কী স্বাদ তার। খাওয়া মাত্র যেন স্বর্গ! তবে অসময়ে যদি প্রকৃত স্বর্গে যেতে না চাও, তাহলে নিয়মিত একটা করে পেয়ারা (guava) খাওয়া মাস্ট!
আসলে এই ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (guava nutrition)। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এ,ই,কে, থিয়ামিন,নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, ফলেট,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সহ আরও একাধিক উপকারি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করে যে তার প্রভাবে নানাবিধ শারীরিক উপকার (health) মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। যেমন…
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ সংক্রমণ যেমন দূরে থাকতে বাধ্য হয়, তেমনি ছোট-বড় কোনও রোগ-ব্যাধিই ধারে কাছে আসার সাহস পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর রোগ মুক্ত হয়ে ওঠে (health benefits of guava)।
২. ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ দূরে থাকে:
নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে শরীরে লাইকোপেন, ভিটামিন সি এবং ফলিফেনল সহ আরও নানাবিধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা শরীরের কোনায় কোনায় উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। বিশেষত, ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারকে দূরে রাখতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সম্প্রতি ভারতের প্রায় ১০০ টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে এদেশে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তে সংখ্যা ক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এই রেটে যদি ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে, তাহলে আগামী দিনে হার্ট অ্যাটাকের পরে এই রোগটির কারণেই সবথেকে বেশি সংখ্যক ভারতীর মৃত্যু ঘটবে। তাই তো বলি, এমন রোগের খপ্পরে যদি পড়তে না চাও, তাহলে নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খেতে ভুলো না যেন!
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:
প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে এই ফলটি খাওয়া মাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তেমনি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না।
৪. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে:
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বেই মহিলাদের মধ্যে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। আর ঠিক এই কারণেই তো পেয়ারা (guava and heart) খাওয়ার প্রয়োজনও বেড়েছে। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র একদিকে যেমন সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখার মধ্যে দিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে, তেমনি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে ফেলে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজও ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের আশঙ্কাও আর থাকে না।
৫. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:
এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, একদিকে যেমন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, তেমনি ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো যারা দৈনিক ৫-৬ ঘন্টার বেশি সময় কম্পিউটারের সামনে কাটায়, তাদের নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খাওয়া মাস্ট!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!