জ্বালা-পোড়া গরমের পরে প্রথম বৃষ্টির মজাটাই আলাদা। কিন্তু সেই মজা পণ্ড করে দিতে যে বৃষ্টির পিছু পিছু এসে হাজির হয় হাজার রকমের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও। আর সেগুলি যদি কোনও ভাবে জল বা খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরের মধ্যে ঢুকে যায়, তা হলেই বিপদ! তখন নানা রোগ-ব্যাধির জ্বালায় জীবন জর্জরিত হয়ে যেতে সময় লাগে না। তাই তো বছরের এই সময়ে অতিরিক্ত সাবধান থাকাটা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল সাবধান হবেন কী করে?
বর্ষার সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে যদি আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়, তা হলেই কেল্লা ফতে! কারণ ইমিউনিটি বেড়ে গেলে কোনও জীবাণুর পক্ষেই শরীরের ক্ষতি করে ওঠা সম্ভব হয় না। ফলে ছোট-বড় রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। আর ঠিক এই কারণেই বছরের এই সময়ে (monsoon) বিশেষ কিছু খাবারকে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দিতে হবে, তা হলেই শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না। কিন্তু কী-কী খাবার খেলে ইমিউনিটি বাড়বে, সে সম্পর্কে জানা আছে কি? জানা না থাকলে জেনে নিন আমাদের কাছে থেকে।
বর্ষাকালে খেতেই হবে এই খাবারগুলি
১. লেবুজাতীয় ফল
বর্ষাকালে বেশি করে খেতে হবে পাতি লেবু এবং মৌসম্বি লেবুর মতো ফল। কার, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা নিমেষে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। সেই সঙ্গে এই সব ফলে উপস্থিত নানা অ্যাসিড, শরীরের ভিতরে alkaline-এর মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলে, যে কারণেও রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। সঙ্গে দেহের ভিতরে প্রদাহের মাত্রাও কমে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না।
২. আমন্ড (কাঠবাদাম)
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলিকে শরীর থেকে বের করে দেয়, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে, কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই একাধিক মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। তাই বর্ষাকালে যদি সুস্থ থাকতে হয়, তা হলে নিয়মিত এক মুঠো করে আমন্ড খেতে ভুলবেন না।
৩. খেজুর
বর্ষাকালে প্রতিদিন খেতে হবে খেজুর। কারণ, এই সব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা শরীরের কোষে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যাতে শারীরিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে কথায়-কথায় অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
৪. রসুন
নিয়মিত এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করলে শরীরে T-cell-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা নিমেষে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এবং জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
৫. হলুদ
এক গ্লাস দুধে চামচদুয়েক হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন। তাতে শরীরের ভিতরে curcumin নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে, যা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নিমেষে খতম করে দেয়। সঙ্গে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৬. জায়ফল
এক গ্লাস দুধে এক চিমটে জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তা হলে শরীরে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার পক্ষেই ক্ষতি করে ওঠা সম্ভব হয় না।
৭. গ্রিন টি
এতে রয়েছে polyphenols নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অল্প সময়ের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার এবং জীবাণুদের মেরে ফেলে। তাই বর্ষাকালীন নানা রোগ-ব্যাধিকে যদি দূরে রাখতে হয়, তাহলে প্রতিদিন দু’কাপ করে গ্রিন টি পান করতে ভুলবেন না যেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!