লাইফস্টাইল

ত্বক ও চুলের সমস্যা থেকে শুরু করে অসুস্থতা – সব সমস্যার একটাই দাওয়াই জবা ফুল (Hibiscus Benefits In Bengali)

Upasana Sarkar  |  Feb 6, 2019
ত্বক ও চুলের সমস্যা থেকে শুরু করে অসুস্থতা – সব সমস্যার একটাই দাওয়াই জবা ফুল (Hibiscus Benefits In Bengali)

ছোটবেলা থেকে চুল নিয়ে আমার একটা খুঁতখুঁতুনি ছিল। আর তাই আমার মা প্রাকৃতিক উপায়েই আমার চুলের যত্ন নিত। তবে আমার চুল কোনও কালেই কালো ছিল না। আমার চুলের রং প্রথম থেকেই একটু গোল্ডেনের দিকে। তাই চুল কালো করার জন্য মা এই টোটকা-সেই টোটকা ব্যবহার করত। মনে পড়ে, সব থেকে বেশি জবা ফুল (Hibiscus Flower) আর জবা গাছের পাতা ব্যবহার করত চুল কালো করার জন্য। শুধু কি তা-ই, মা-দিদিমার মুখে শুনেছি, চুল কালো থেকে শুরু করে স্কিনের যত্নে জবাফুল (Hibiscus Flower) অত্যন্ত উপকারী। আর শুধু কি তা-ই, কোলেস্টেরল কমানো থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা – এই সব রোগের দারুণ টোটকা হিসেবেও জবা ফুলের গুরুত্ব অসাধারণ। কারণ প্রাচীন আয়ুর্বেদে ভেষজ ওষুধ হিসেবেই পরিচিতি রয়েছে এই ফুলের। আর জবা ফুল সহজলভ্যও বটে! কারণ প্রায় সকলের বাড়ির বাগানে জবা গাছের দেখা পাওয়া যায়। আজকাল তো আবার বেশির ভাগই ফ্ল্যাটবাড়ি। তাই বাগান করার সে রকম জায়গা নেই। কিন্তু ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে টবে আর কোনও গাছ থাক বা না থাক, জবা গাছ ঠিক থাকবেই! তাই রূপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা – সব কিছুতেই আপনার সঙ্গী হয়ে উঠবে সেই জবা ফুল (Hibiscus Flower)। আর সব থেকে বড় কথা, এর কোনও সাইড এফেক্টসও নেই।

প্রথমে আসি চুলের যত্নের কথায়। চুলের বৃদ্ধি, খুশকি তাড়ানো, চুল কালো করা, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল-ঝলমল চুলের জন্য জবা ফুলের তেল (Hibiscus Oil) খুবই উপকারী। কারণ জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ আর সি। যা স্ক্যাল্পের বিভিন্ন সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। দেখে নিন কি কি ভাবে জবা ফুল কাজে লাগে আমাদের –

জবা ফুলের উপকারিতা ও আসাধারন গুণাগুণ – Hibiscus Benefits In Bengali

১। চুল পড়া ঠেকাতে (Hibiscus For Hair Fall):

চুল পড়া কমিয়ে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে ব্যবহার করুন জবা ফুলের তেল (Hibiscus Oil)। এর জন্য লাগবে-

উপকরণ:

বানানোর পদ্ধতি:

২। চুল বাড়াতে (Hibiscus For Hair Growth):

বেশ কয়েকটা জবা ফুল (Hibiscus Flower) ও জবা পাতা নিয়ে ভাল করে ধুয়ে তা পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে এক কাপ মতো নারকেল তেল (Coconut Oil) নিয়ে জবা ফুলের পেস্ট দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এই মিশ্রণ চুল ও স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। এটা মেখে সারা রাত রেখে দিলে ভালো হয়। পরের দিন মাইল্ড শ্য়াম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণ একটি এয়ারটাইট জারে ভরে রেখে দিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। চুল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চুলে পুষ্টিও জোগায়।

৩। চুল সাদা হওয়া রুখতে (Hibiscus For Grey Hair):

অকালে চুল পেকে যাওয়া অন্যতম বড় সমস্যা। এই সমস্যা ঠেকাতেও জবা ফুল অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য কয়েকটি জবা ফুল শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এ বার জবা ফুলের গুঁড়ো টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তার মধ্যে জবা ফুলের তেল (Hibiscus Oil) দিন। ভাল করে সব কিছু মিশিয়ে নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মাসাজ করুন। কিছু ক্ষণ রেখে ইষদুষ্ণ গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪। খুশকি তাড়াতে (Hibiscus For Dandruff):

খুশকি তাড়াতে মেথি বীজের সঙ্গে জবা ফুল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগালে দারুণ কাজ হবে। এক মুঠো মেথি বীজ এক রাত জলে ভিজিয়ে রেখে মিক্সারে দিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার তার মধ্যে অলিভ অয়েল ও জবা ফুলের তেল মিশিয়ে নিন। সেই সঙ্গে ওই পেস্টের মধ্যে শুকনো জবা ফুলের গুঁড়ো মেশান। সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে সেটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ পরে শুকিয়ে গেলে ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন এই টোটকা ব্যবহার করলে খুশকির (Dandruff) সমস্যা নিমেষে গায়েব হয়ে যাবে।

৫। সুস্থ চুল-স্ক্যাল্পের জন্য (Hair And Scalp Treatment):

চুল আর স্ক্যাল্প ভাল রাখতেও নজর দেওয়া উচিত। ৫-৬ চামচ জবা ফুলের তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ আমলা (Amla Powder) পাউডার মেশান। তাতে অল্প লেবুর রস দিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি এ বার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ৪০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন।

৬। ঘন চুলের জন্য (Grow Thicker Hair):

অল্প পরিমাণে জবা ফুলের তেল (Hibiscus Oil) নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো কারি পাতার পাউডার যোগ করে ফুটিয়ে নিন। তেলটা ভাল গরম হয়ে গেলে সেটি স্ক্যাল্পে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলে।

৭। হেয়ার কন্ডিশনার (Natural Hair Conditioner):

হেয়ার কন্ডিশনিংয়েও (Hair Conditioning) গুরুত্ব রয়েছে জবা ফুলের। কয়েকটি জবা ফুল থেঁতো করে নিয়ে অল্প অল্প করে জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা চুল ও স্ক্যাল্পে মাসাজ করে অপেক্ষা করুন। কিছু ক্ষণ পরে ইষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে আরও ঝলমলে করে তুলবে।

৮। ন্যাচারাল শ্যাম্পু (Natural Shampoo):

ক্লিনজিং ন্যাচারাল শ্যাম্পু তৈরি করতেও লাগে জবা ফুল (Hibiscus Flower)। আর বাড়িতেই সহজে বানিয়ে ফেলা যায় এই শ্যাম্পু। কারণ ফুল আর পাতায় রয়েছে ক্লিনজিংয়ের উপাদান। একটি বড় জারে আধ কাপ গরম জল আর তাজা জবা ফুলের পাপড়ি (Hibiscus Petals) ও পাতা ফেলে দিন। কিছু ক্ষণ মানে ওই ১০-১৫ মিনিট মতো রেখে দিন। এ বার ওই মিশ্রণ ব্লেন্ডারে দিয়ে একেবারে মিহি করে পেস্ট বানিয়ে নিন। মনে রাখবেন, মিশ্রণটি যেন কোনও রকম ভাবে দলা পাকানো না থাকে। এ বার এই পেস্টের মধ্যে আধ চা-চামচ অলিভ অয়েল, আধ চা-চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার এই পেস্ট চুল ও স্ক্যাল্পে মাসাজ করে কিছু ক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার হয়ে যাবে।

শুধু চুলই নয়, ত্বক বা স্কিনের (Skin) যত্নেও জবা ফুলের গুরুত্ব রয়েছে। কারণ জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। যা আপনার ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। জবা ফুল (Hibiscus Flower) ন্যাচারাল টোনার (Natuarl Toner) হিসেবেও কাজ করে। যা আপনার স্কিনের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে। আর স্কিনের ইনফ্ল্যামেশন কমাতেও সাহায্য করে জবা ফুল।

৯। অ্যান্টি-এজিং (Anti Aging):

কোনও ফুলে যদি বোটক্স প্রপার্টি (Botox Property) থাকে, তা হলে সেটা জবা ফুল। মুখের স্কিনকে টানটান করে ধরে রাখে আর স্কিনের বয়স কমিয়ে দেয়। কয়েকটা জবা ফুল নিয়ে থেঁতো করে নিন। তার পরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। তবে হ্যাঁ, চোখের চারপাশে যেন ওই মিশ্রণ না লাগে। ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

১০। কালো-দাগ ছোপ রুখতে (Dark Spot Corrector):

মুখে প্রচুর দাগ-ছোপের সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যায় জবা ফুল বেটে লাগিয়ে নিন। কারণ এক মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক ও ম্যালিক অ্যাসিড। যার মধ্যে রয়েছে এক্সফোলিয়েটিংয়ের ক্ষমতা।

১১। শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি (Dry Skin Relief):

ত্বক কি রুক্ষ-শুষ্ক? বা ত্বক ফেটে যাচ্ছে? তা হলে ব্যবহার করুন জবা ফুল। নারকেল তেল বা তিলের তেলের মধ্যে কয়েকটা জবার পাপড়ি (Hibiscus Petals) ফেলে গরম করে নিন। এর পর একটু ঠান্ডা হলে শুষ্ক ত্বকের উপর লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বক (Dry Skin) থেকে মুক্তি মিলবে।

১২। ফেসপ্যাক বানাতে (Hibiscus Face Pack):

জবা ফুলের তৈরি ফেসপ্যাক (Hibiscus Face Pack) ব্যবহার করলে আপনি স্কিনের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। খুবই সহজে বানানো যায় জবা ফুলের ফেসপ্যাক। বেশি করে জবা ফুল নিয়ে সেগুলোকে শুকনো করে গুঁড়ো করে একটি কৌটোয় ভরে রেখে দিন। স্নান করার আগে বা শুতে যাওয়ার আগে জল, দুধ অথবা ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে স্কিন গ্লো করবে আর বলিরেখাও দূর হবে।

১৩। অতিরিক্ত তেল কমাতে (Face Oil Control):

ত্বকের টক্সিন ও অতিরিক্ত তেল কমিয়ে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে ব্যবহার করুন জবা ফুলের প্যাক। জবার পাপড়ি (Hibiscus Petals) পেস্ট করে তার সঙ্গে চালের গুঁড়ো ও জল মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। ১৫-২০ মিনিট মাসাজ করুন ওই পেস্ট। তার পরে ধুয়ে ফেলুন।

এ তো নয় গেল, স্কিন আর চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার শরীর সুস্থ রাখতেও জবা ফুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলস্টেরল থেকে শুরু করে লিভারের সমস্যায় জবা ফুল খুব ভাল দাওয়াই। হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) হল এক ধরনের হার্বাল টি। ফুটন্ত জলে জবা ফুলের শুকনো পাপড়ি (Hibiscus Petals) দিয়ে বানানো এই হার্বাল চায়ে ক্যাফেইন থাকে না। ফলে এই চা আপনার শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।

১৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে (Hibiscus Tea For Blood Pressure):

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে জবা ফুলের তৈরি চা (Hibiscus Tea)। আসলে উচ্চ রক্তচাপের প্রভাব পড়ে আমাদের হৃদযন্ত্রে। যা হার্টকে দুর্বল করে দেয়। ফলে সহজেই হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জবা ফুলের তৈরি চা (Hibiscus Tea) সেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সেই ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। শুধু তা-ই নয়, কোলস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea)।

১৫। লিভার সুস্থ রাখতে (Hibiscus Tea For Liver):

লিভার আপনার শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই লিভারের যত্নে ফাঁক রাখলে আপনারই মুশকিল বাড়বে। তাই লিভার (Liver) সুস্থ স্বাভাবিক রাখার জন্য জবা ফুলের নির্যাস (Hibiscus Extract) খুবই উপকারী। এই টোটকা লিভারের কাজ ঠিকঠাক রাখে।

১৬। ওজন কমাতে (Hibiscus Tea For Weight Loss):

শরীরে মেদ বাড়ছে? ওজন বেড়ে যাওয়ায় নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক কাজ করুন, জবা ফুলের নির্যাস (Hibiscus Extract) বা জবা ফুলের চা (Hibiscus Tea) খেতে শুরু করুন। দেখবেন, মেদ ঝরতে শুরু করেছে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জবা ফুল দিয়ে তৈরি চা বা হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) অতিরিক্ত ওজন কমাতে বা মেদ ঝরাতে কাজে দেয়।

১৭। অনিয়মিত পিরিয়ডসে (Irregular Periods):

আজকাল যা লাইফস্টাইল, তাতে প্রায় প্রত্যেকটা মেয়েই ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন। কোনও কোনও সময় ১-২ মাস হয়তো বন্ধও হয়ে যায়। এমন সমস্যা থাকলে কয়েকটা জবা ফুলের কুঁড়ি আর এক গ্রাম মতো দারচিনি বেটে তাতে জল মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে থাকুন। পিরিয়ডসের ডেটের সময় থেকে পিরিয়ডস স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কয়েক দিন ব্রেকফাস্টের পর এই শরবত খেতে হবে।

১৮। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে (Cure Cancer):

আগেই বলেছি, জবা ফুলে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। যা ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাই জবা ফুলের তৈরি চা বা হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমানো যাবে। আর শরীরও সুস্থ থাকবে।

১৯। হাতের তালুর চামড়া ওঠা রুখতে (Cure Skin Peeling):

আপনার কি হাতের তালু থেকে চামড়া ওঠে? যা আপনাকে লোকসমক্ষে বিড়ম্বনায় ফেলে দিচ্ছে। আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন? তা হলে প্রতিদিন ১টা বা ২টো জবা ফুল হাতের তালুতে ভাল করে ডলে নিন। যে কোনও কাজ করতে করতেই এটা করতে পারেন। তবে হ্যাঁ যত বেশি রাখবেন, তত তাড়াতাড়িই সমস্যার সমাধান হবে।

২০। হজমশক্তি বাড়াতে (Hibiscus Tea For Digestion):

আপনার হজমের সমস্যাতেও সেই জবা ফুল। প্রতিদিন নিয়ম করে হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) খেলে আপনার হজম শক্তি বাড়বে আর আপনি শারীরিক ভাবেও (Health) সুস্থ থাকবেন।

২১। ঠান্ডা লাগলে (Hibiscus Tea For Cold):

আপনার কি একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায়? বা ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লেগে জ্বর আসে, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা হচ্ছে? তা হলে তার উপযুক্ত দাওয়াই হচ্ছে জবা ফুল (Hibiscus Flower)। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন-সি। যা ঠান্ডা লাগাও উপশম করে।

ছবি সৌজন্যে: পিন্টরেস্ট

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!

এগুলোও আপনি পড়তে পারেন

ত্বকের জেল্লা বাড়াতে হলুদের উপকারিতা

Read More From লাইফস্টাইল