অফিসে কাজের চাপ বা খুব ইম্পর্ট্যান্ট একটা মিটিং চলছে। তার মাঝখানে আচমকাই মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) শুরু হল। কিন্তু উঠে যে বেরিয়ে যাবেন, তারও উপায় নেই। সপ্তাহের শেষে হয়তো বা কোনও রেস্তরাঁয় গিয়েছেন। প্রিয় মানুষটার সঙ্গে একটু কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন। কিন্তু সেখানেও আচমকা মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain)। ব্যস! সব কিছু পণ্ড! মাইগ্রেনের কারণে মাথায় যে যন্ত্রণা (migraine pain) হয়, তা যখন-তখন শুরু হয় আর প্রায় সব বয়সেই এটা হতে পারে। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই মাইগ্রেনের প্রবণতা বেশি। আর মাইগ্রেনের ব্যথাটা (migraine pain) শুরু হয় মাথার একপাশে। কিন্তু তা ক্রমে মাথার চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এটা আসলে এক ধরনের নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। যার ফলে তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে সঙ্গে থাকে বমি ভাব, তীব্র আলো ও শব্দ সহ্য করতে না পারা, চোখে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা- এমন সব উপসর্গ। তবে এর কোনও স্থায়ী সমাধান নেই। ফলে ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো পেইন কিলার (pain killer) খাচ্ছেন। আর এ ভাবে কিন্তু নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। কিন্তু জানেন কী, পেইনকিলার (pain killer) না খেয়েও ঘরোয়া টোটকার (naturally) সাহায্যে কমানো যায় মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain)।
কোল্ড প্যাক (cold pack)
মাইগ্রেন থাকলে কোল্ড প্যাক (cold pack) থেরাপি খুবই কার্যকর। একটা টাওয়েলে বা প্লাস্টিকে বরফ নিয়ে সেটা মিনিট পনেরো কপালে চেপে ধরে থাকুন। তা ছাড়াও ঠান্ডা জলে চট করে স্নান করে নিলেও ব্যথা (migraine pain) থেকেও খানিকটা রেহাই মিলবে।
আলগা চুলে
খুব টাইট করে মাথার পিছনে পনিটেল বাঁধেন বা খুব উঁচুতে টাইট করে চুল বাঁধেন? তা হলে সেটা এই মুহূর্তে বন্ধ করুন। কারণ এতে আপনার স্ক্যাল্পে চাপ পড়ে। এমনকি টাইট টুপি, হ্যাট, হেডব্যান্ড থেকেও মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) বাড়ে। স্টাডিতেও দেখা গিয়েছে, প্রচণ্ড যন্ত্রণার সময় যাঁরা টাইট করে বাঁধা চুল খুলে দিয়েছেন, তাঁদের ব্যথা কমে গিয়েছে।
তীব্র আলো নয়
অনেক সময় দেখা গিয়েছে, কম্পিউটার স্ক্রিনের আলো থেকেও মাইগ্রেনের যন্ত্রণা (migraine pain) শুরু হয়। কিন্তু কাজের সময় আর কী করা যাবে? সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারে অ্যান্টি-গ্লেয়ার স্ক্রিন লাগাতে পারেন। জানলায় ভারী পর্দা লাগান। আর বাইরে বেরোলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
মাসাজ (massage)
মাইগ্রেনের অ্যাটাক (migraine pain) হলে কাউকে দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে মাসাজ (massage) করান। এতে মাথায় ও ঘাড়ে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ফলে মাইগ্রেনের ব্যথাও (migraine pain) কমে যায়।
আঙুরের রস (grapes)
আঙুরের রস মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) উপশম করতে সাহায্য করে। কারণ আঙুরে (grapes) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। তা ছাড়াও আঙুর (grapes) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সাইট্রাস সমৃদ্ধ ফল, যা মাইগ্রেন উপশমকারী ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পরিচিত। একটি ব্লেন্ডারে কয়েকটা তাজা আঙুর (grapes) আর অল্প জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে পান করুন। দিনে দু’বার খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) থেকে মুক্তি পাবেন।
আদা (ginger)
মাইগ্রেন দূর করতে আদা অত্যন্ত কার্যকর। মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) উঠলে লেবু ও আদার রস বা আদা (ginger) দিয়ে চা বানিয়ে খান। তা হলে দেখবেন অনেকটা আরাম মিলবে।
দারচিনি (cinnamon)
দারচিনি (cinnamon) তো যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়ায়। তবে এটাও জেনে রাখুন, মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) কমাতেও এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে কপালে মেখে আধঘণ্টা বসে থাকুন। তার পরে গরম জলে ধুয়ে নিলে মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) কমে যায়।
ক্যাফেইন (caffeine)
মাইগ্রেনের ব্যথা (migraine pain) শুরু হওয়ার সময় অত্যন্ত সামান্য পরিমাণ ক্যাফেইন (caffeine) জাতীয় কিছু খেয়ে নিন। যেমন ধরুন, এক কাপ কফি। তাতে ব্যথা কমে যাবে। তবে অবশ্য যাঁরা ক্যাফেইনে (caffeine) আসক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে এই টোটকা কাজ করে না।
আরও পড়ুন –
Home Remedies of Migraine in Hindi
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
Read More From ডি আই ওয়াই বিউটি টিপস
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA