আমাদের ত্বকের দেখভালের (skincare) জন্য বেশিরভাগ সময়েই আমরা পাড়ার পার্লারের কাকিমা বা দিদি এবং স্পায়ের বিউটিশিয়ানের উপরেই নির্ভর করি। আবার যদি কখনও ত্বকে সমস্যা দেখা দেয় এবং তা বড় আকার ধারণ করে, তখন হয়তো ডারমেটোলজিস্টের কাছে সাহায্য চাই। তবে, এখন করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছে এবং আমাদের অনেক পুরনো অভ্যাস ত্যগ করে নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। ত্বকের দেখভালেও (skincare) তাই এখন নানা রকম ঘরোয়া টোটকাই ভরসা। ইদানিং আমাদের সবার জীবনেই স্ট্রেস এত বেড়ে গিয়েছে যে তার প্রভাব আমাদের ত্বকে স্পষ্ট দেখা যায়। আর স্ট্রেসের ফলে আমাদের ত্বক তার ইলাস্টিসিটি বা বাঁধন হারাতে থাকে এবং ঝুলে পড়ে। তবে চিন্তা নেই, আমাদের কাছে এমন কিছু ঘরোয়া টিপস রয়েছে যা মেনে চললে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ত্বকের ইলাস্টিসিটি (homemade skin tightening facepack) বজায় থাকবে।
ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে ডিমের খোসা
ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখার ক্ষেত্রে ডিমের খোসা খুব ভাল (ছবি – ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে)
আমরা সবাই মোটামুটি ডিম (eggs) খেতে ভালবাসি। ডিমের নানা পদ রান্না করে খেয়ে নিই ঠিকই তবে খোসা ফেলে দিই ডাস্টবিনে। ডিমের খোসা কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষ করে আপনার ত্বকের ইলাস্টিসিটি (homemade skin tightening facepack) ধরে রাখার ক্ষেত্রে ডিমের খোসা খুব ভাল কাজ দেয়। এছাড়া ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করার কাজে ডিমের খোসা খুবই উপযোগী। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ডিমের খোসা দিয়ে কিভাবে ফেস প্যাক তৈরি করা যায় যা ত্বকের বাঁধন সুগঠিত করে।
উপকরণ
- একটি ডিমের খোসা
- ডিমের সাদা অংশ
- এক চা চামচ মধু
- এক চা চামচ দুধ
- গোলাপ জল
- এক চা চামচ গাঁদা ফুলের পেস্ট
- তুলো
কিভাবে তৈরি করবেন ডিমের খোসার ফেস প্যাক
একটি পরিষ্কার কাচের বাটিতে ডিম (eggs) ভেঙে নিন এবং সাদা অংশের থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। অন্য একটি বাটিতে ডিমের খোসা নিয়ে চামচ বা অন্য কিছুর সাহায্যে খোসাগুলো টুকরো করে মিহি করে নিন। এবারে তাতে গোলাপ জল মেশান। এতে ডিমের খোসা বেশ নরম হবে। এবারে যে বাটিতে ডিমের সাদা অংশটি রেখেছেন, চামচের সাহায্যে তা ফেটিয়ে নিন। এই কাজটি করতে একটু ধৈর্য ও পরিশ্রম প্রয়োজন। ডিমের সাদা অংশ ততক্ষণ ফেটাতে হবে যতক্ষণ না তা ফোমি বা ফেনাযুক্ত হচ্ছে। এবারে এই ফোমি ডিমের সাদা অংশে মিহি করে রাখা ডিমের খোসা ও গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ভাল করে মিশে গেলে তাতে দুধ ও মধু ঢেলে আরও একবার ভাল করে মিশিয়ে একটি স্মুদ পেস্ট তৈরি করে নিন। এই ফেস প্যাকটি (homemade skin tightening facepack) বেশ ঘন হবে। যদি দেখেন পাতলা হয়ে গিয়েছে তাহলে সামান্য বেসন মিশিয়ে ফেস প্যাক ঘন করে নিতে পারেন। এবারে এতে গাঁদা ফুলের পেস্ট মিশিয়ে রাখুন। ফেস প্যাকটি লাগানোর এক ঘন্টা আগে ফ্রিজে রেখে দিন।
একটি ফ্ল্যাট ব্রাশের সাহায্যে ফেস প্যাক সারা মুখে লাগিয়ে নিন (ছবি – ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে)
ব্যবহারবিধি
অন্যান্য ফেস প্যাকের মত করে কিন্তু এটি মুখে, গলায় আর ঘাড়ে লাগিয়ে নিলে হবে না। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে গেলে সামান্য পরিশ্রম তো আপনাকেও করতে হবে তাই না? এখানে ডিমের খোসার ফেস প্যাক লাগানোর পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেওয়া হল, দেখ নিন –
১। প্রথমেই নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভাল কোনও এক্সফোলিয়েটরের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এক্সফোলিয়েটর দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে বলার একটাই কারণ, যাতে লোমকূপ থেকেও ময়লা বেরিয়ে যায়।
২। এক্সফোলিয়েশনের পর খালি হাতেই সার্কুলার মোশনে মুখে আলতোভাবে মিনিট দুয়েক মাসাজ করুন।
৩। ঠান্ডা জলে একবার মুখ ধুয়ে নিন। ফ্রিজ থেকে ডিমের খোসা দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক বার করে রুম টেম্পারেচরে আনুন।
৪। এবারে একটি ফ্ল্যাট ব্রাশের সাহায্যে ফেস প্যাক (homemade skin tightening facepack) সারা মুখে লাগিয়ে নিন। গলায় লাগাতেও ভুলবেন না। সম্ভব হলে শুয়ে আধ ঘন্টা রেস্ট নিন।
৫। দুটো কটন প্যাড বা তুলোর বল নিয়ে গোলাপ জলে ভিজিয়ে নিন এবং চোখের উপরে রেখে চোখ বন্ধ করে রাখুন।
৬। ফেস প্যাক শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। নরম ও পরিষ্কার তোইয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে চেপে মুখ মুছে নিন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!