Family

পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা কতটা ভাগ করে নেওয়া যায়? সীমারেখাই বা কোথায় টানবেন

Doyel Banerjee  |  Dec 10, 2019
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা কতটা ভাগ করে নেওয়া যায়? সীমারেখাই বা কোথায় টানবেন

কোনও একটা সমস্যায় পড়লেই মন তার সমাধান খোঁজে। সাধারণ সমস্যা হলে আমরা নিজেরাই তার সমাধান খুঁজে নিয়ে থাকি। কিন্তু স্পর্শকাতর কোনও বিষয় হলে বা ব্যক্তিগত (personal) কোনও সমস্যা (problems) হলে মনে হয় পরিবারের (family) কোনও কাছের জন বা প্রিয় কোনও বন্ধুর (friends) সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু কিছু-কিছু সমস্যা এতটাই ব্যক্তিগত, এতটাই জটিল এবং গভীর হয় যে সব সময় সেটা মন খুলে সবার কাছে বলা যায় না। ইচ্ছে থাকলেও বলা যায় না। মনে কুণ্ঠা দেখা দেয়। বারবার মনে হয় যে যাকে ভরসা করে এত কথা বলছি, তিনি আবার অন্য কাউকে এগুলো বলে দেবেন না তো? আমরা আপনাকে গাইড করে দিচ্ছি এই বিষয়ে। কী বলবেন আর কতটা বলবেন এবং সীমারেখাটাই বা কোথায় টানবেন, সেটা জেনে নেওয়া খুব প্রয়োজন। 

বন্ধুদের আগে মা বা দিদিকে সমস্যার কথা বলুন

প্রথমত আপনাকে আগে বুঝতে হবে যে সমস্যাটা ঠিক কতটা ব্যক্তিগত। এটার সমাধান আপনার দ্বারা বা আপনাদের দ্বারা সম্ভব হয় কিনা সেটা আগে দেখে নিন। আর যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে সেটাই আগে করুন। খামোখা নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা কেন অন্যকে বলতে যাবেন। 

যদি সমস্যার কথা কাউকে বলতেই হয় তাহলে আগে নিজের পরিবারের মানুষদের সঙ্গে সেটা ভাগ করে নিন। কারণ বন্ধুদের চেয়ে তাঁরা আপনাকে অনেক বেশি ভাল করে চেনেন। আর পরিবারে এরকম সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার কথা উঠলেই যার কথা সবার আগে মাথায় আসে তিনি হলেন আপনার মা। সবচেয়ে বিস্বস্ত এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা হলেন তিনি। 

সবার সঙ্গে আলোচনায় অনেক সময় সমাধান পাওয়া যায়

যদি মনে হয় ব্যক্তিগত সমস্যা কোনও এক বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করে নিতে চান, তাহলে এমন কাউকে বেছে নিন যিনি খুব একটা আবেগপূর্ণ মানুষ হন। কারণ যারা স্বভাবে খুব ইমোশানাল হন তাঁরা আবেগের কথা মাথায় রেখে সমস্যার সমধান করার চেষ্টা করেন। বাস্তবজ্ঞান তাঁদের কম থাকে। তাছাড়া আবেগপূর্ণ মানুষরা চট করে সহজ সিদ্ধানে এসে উপনীত হন। তাই এসব ক্ষেত্রে সঠিক বন্ধুর নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। হতে পারে আপনার একজন প্রিয় বান্ধবী আছেন। কিন্তু তিনি খুব আবেগের জোয়ারে ভাসেন। তাহলে তাঁর পরামর্শ নয়, যিনি কম আবেগের মানুষ তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। 

একবার যদি সমস্যার সমাধান পেয়ে যান তাহলে চেষ্টা করবেন পরের বার থেকে এইসব সমস্যার সমাধান নিজেরা করে নিতে। বারবার একই সমস্যা নিয়ে সবার কাছে গেলে কিছুদিন পর সবাই আপনাকে এড়িয়ে চলবেন। 

সমস্যা যদি খুবই গভীর হয় যেমন গায়ে হাত তোলা, বাজে বা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা, শ্লীলতাহানি বা যৌন হেনস্থা ইত্যাদি, তাহলে সবার আগে উকিল, মানবাধিকার, পুলিশ বা মনোবিদের সাহায্য নিন। কারণ এসব ক্ষেত্রে এঁরাই আপনাকে বেশি সাহায্য করতে পারবে। 

Cover Picture Credit: Sreemoyi teleserial star jalsha 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়

Read More From Family