হেয়ার মাস্ক (how to choose the perfect hair mask) ব্যাপারটা কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। প্রাচীন মিশরে মহিলারা নিজেদের চুলের সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য নানা রূপটান ব্যবহার করতেন। প্রাচীন ভারতেও চুলের জন্য নানা কথা আমরা শুনেছি। চুলের যত্ন নিতে নারকোল তেল এবং অলিভ অয়েলের ব্যবহার বহুযুগ ধরেই চলে আসছে। কিন্তু ঠিক কি কি উপকারে এই বস্তুটি কাজে আসে সেটা দেখে নিন –
- চুলের টেক্সচার কোমল এবং ঝলমলে করে তুলতে সাহায্য করে
- ড্যামেজ হয়ে যাওয়া চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে
- প্রতিদিনের ধুলো, ধোঁয়া এবং দূষণ থেকে চুলকে রক্ষা করে
- স্ক্যাল্পের কোনও সমস্যা, যেমন ফাঙ্গাল ইনফেকশন অথবা খুশকি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে
সে তো না হয় বুঝলাম। কিন্তু সব ধরনের চুলের জন্য এবং সব ধরনের স্ক্যাল্পের সমস্যার জন্য কি আলাদা আলাদা হেয়ার মাস্ক রয়েছে? নিশ্চয়ই! আলাদা-আলাদা রোগের যেমন আলাদা-আলাদা ওষুধ, তেমনই চুলের বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রয়োজন আলাদা হেয়ার মাস্ক। কিন্তু কোন হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের জন্য সঠিক, সেটা কীভাবে বুঝবেন?
চুলে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা থাকলে: চুলে রঙ করা থাকলে রঙের এবং চুলের জেল্লা ঠিক রাখতে যেটা দরকার তা হল, চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখা। তা না হলে দু’দিনেই চুলের জেল্লা হারিয়ে যাবে এবং রঙ করানো চুল দেখতে খুব খারাপ লাগবে; চুলের স্বাস্থ্যহানিও যে হবে সেটা বলাই বাহুল্য। সেক্ষেত্রে আপনাকে এমন হেয়ার মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে, যা আপনার চুল ময়শ্চারাইজ করে তার জেল্লা ধরে রাখবে।
যাদের চুল কোঁকড়ানো: অ্যাভোকাডো এবং নারকোল তেলের হেয়ার মাস্ক কোঁকড়ানো চুলের জন্য ভাল। যেহেতু কোঁকড়ানো চুল সামলানো বেশ ঝক্কির ব্যাপার, সেক্ষেত্রে এই ধরনের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে কোঁকড়ানো চুল ম্যানেজ করতে সুবিধে হয়।
শুষ্ক চুলের হেয়ার মাস্ক: শুষ্ক চুলের জন্যও ওই একইরকম হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কেরাটিন সমৃদ্ধ কোনও হেয়ার মাস্ক যদি আপনি ব্যবহার করেন, তা হলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর হবে
তৈলাক্ত চুলের হেয়ার মাস্ক: ক্লে-বেসড যে-কোনও হেয়ার মাস্ক অয়েলি বা তেলতেলে চুলের জন্য ভাল। (how to choose the perfect hair mask)
হেয়ার মাস্ক লাগানোর আগে যে বিষয়গুলো জানা দরকার
১। যদি আপনি অয়েল-বেসড হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন, তা হলে অবশ্যই শুকনো চুলে লাগাবেন, আর যদি জল-বেসড হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন, তা হলে ভিজে চুলে।
২। হেয়ার মাস্ক আপনার চুলে কন্ডিশনারের কাজও করে, অর্থাৎ চুল কোমল ও সাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। কাজেই, হেয়ার মাস্ক লাগানোর পর আলাদা করে কন্ডিশনার নাও লাগাতে পারেন।
৩। অনেকেই ওভারনাইট হেয়ার মাস্ক লাগান। সেক্ষেত্রে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো নেই, তবে কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করছেন এবং কীসের জন্য ব্যবহার করছেন, সেটা দেখার বিষয়। যদি আপনি লেবু বা অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারযুক্ত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন তা হলে কিন্তু ভুলেও নির্ধারিত সময়ের বেশি রাখবেন না।
৪। রোজ হেয়ার মাস্ক লাগাবেন না। সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহে এক দিনই যথেষ্ট।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও! বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন
Read More From Care
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA