একে তো অঝোরে রক্তপাত। লেজুড় আবার কোমরে-পিঠের ব্যথা। সঙ্গে মাসল ক্র্যাম্প তো লেগেই রয়েছে। এই অবস্থায় অফিস-বাজার সামলাতে গিয়ে মেজাজ সপ্তমে ওঠাটা তো স্বাভাবিক। তাই তো পিরিয়ডের (period) দিনচারেক সবারই যে মন-মেজাজ বেজায় খিটখিটে হয়ে যায় (mood swing), সে খবর রাখি আমরাও। তাই তো মাসের এই বিশেষ কয়েকটা দিন মন-মেজাজ চাঙ্গা রাখার সহজ কিছু টিপস দিতে চলেছি এবার। এই নিয়মগুলি অক্ষরে-অক্ষরে মানলে উপকার পাবেই পাবেন।
আসলে কী জানেন, পিরিয়ডের সময় estrogen এবং progesterone হরমোনের ক্ষরণ এক্কেবারে নিয়ম নেমে হয় না। সেই সঙ্গে ‘ফিল গুড’ হরমোন নামে পরিচিত serotonin এবং endorphin-এর লেভেলও কমতে শুরু করে। ফলস্বরূপ মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। উপরন্তু পিরিয়ডের কষ্ট তো রয়েছেই। তাই কোনওভাবে যদি এই হরমোনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা হলেই আর মেজাজ সপ্তমে উঠবে না। আর এই কাজটা করতে যে-যে টিপসগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল…
এক্সারসাইজ করুন
পিরিয়ডের সময় নিয়মিত অল্পবিস্তর এক্সারসাইজ করা মাস্ট! শরীরচর্চা করার সময় endorphin হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে মনের খিটখিটে ভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। সঙ্গে মাসল ক্র্যাম্প এবং bloating-এর মতো সমস্যাও দূরে পালায়, যে কারণে পিরিয়ডের কষ্ট কমতে শুরু করে। এই সময় মিনিটকুড়ি হাঁটাহাঁটি বা সাইক্লিং করলেও উপকার পাবেন।
ক্যালসিয়াম খান
পিরিয়ডের আগে পরে তো বটেই, সেই সঙ্গে পিরিয়ডের সময়ও ভাত-রুটির পাশাপাশি বেশি করে দুধ, দই, পনির তো খেতে হবেই। সঙ্গে ডাল, পোস্ত এবং আমন্ডের মতো খাবারকেও বাদ দিলে চলবে না।
এমন পরামর্শ কেন, তাই ভাবছেন নিশ্চয়ই? আসলে বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, পিরিয়ডের সময় এই খাবারগুলি খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে পিরিয়ড সংক্রান্ত মানসিক অবসাদ এবং ক্লান্তি দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কথায়-কথায় রাগ হওয়া এবং মন-মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে।
স্ট্রসকে বলুন বাই বাই
পিরিয়ডের সময় স্ট্রেস লেভেল বাড়লে আরও বিপদ! তাই তো এই সময় মন-মেজাজ চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে আধ ঘণ্টা deep breathing exercises, বিশেষ করে যোগাসন এবং প্রাণায়াম করলে বেশি উপকার মিলবে। তাছাড়া নিয়মিত যোগাসন চালিয়ে গেলে পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সব শারীরিক সমস্যার প্রকোপও কমবে বই কী!
অল্প করে কিন্তু বারে বারে খান
আমরা ব্রেকফাস্টে সাধারণত হাতে গড়া রুটি বা পাউরুটি, লাঞ্চে ভাত-ডাল-মাছ, আর রাতে ভাত, নয়তো রুটি খেয়ে থাকি। সঙ্গে এক বাটি সবজি বা তরকারি থাকে। খেয়াল করে দেখবেন বাঙালিদের রোজের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একটু বেশি পরিমাণে থাকে।
পিরিয়ডের সময় দিনে তিন বার অনেক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে শরীরে হঠাৎ করে সুগার লেভেল বিগড়ে যাওয়ার কারণে মন-মেজাজ আরও খিটখিটে হয়ে যায়। তাই তো মাসের এই কয়েকটা দিন, দিনে তিন বারের পরিবর্তে অল্প-অল্প করে ছ’বারে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাতে হঠাৎ করে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই সুগার লেভেলও ঠিক থাকতে বাধ্য হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!