আমার বন্ধু প্রিয়দর্শিনী, ওর ৩ বছরের বাচ্চা (child) আর আমি গত শনিবারে বেরিয়েছিলাম একটু আনন্দ করতে। অনেকদিন প্রিয় বন্ধুর সাথে আড্ডা মারা হয়না, তাই ভাবলাম যে বাইরে লাঞ্চ করি, তারপরে সিনেমা আর শপিং সেরে বাড়ি ফিরব; কি মজাই না হবে! কিন্তু যা যা সব অভিজ্ঞতা হল, তারপরে সবটা আনন্দই মাটি হয়ে গেল। প্রিয়দর্শিনীর মেয়ে যে এতো জেদি (stubborn) সেটা বুঝতেই পারতাম না যদি না সেদিন একসাথে অতটা সময় কাটাতাম। গাড়িতে উঠেই তার বায়না আরম্ভ হল একটা বড় চকলেটের বার তাকে দিতে হবে। মা না করতেই চিৎকার করে কান্না শুরু হয়ে গেল। তারপরে গাড়ি থেকে নেমে একটা খেলনার দোকান দেখে দাঁড়িয়ে পড়ল। আমি ভাবলাম বাচ্চা মানুষ (child), তাই হয়ত খেলনা কিনতে ইচ্ছে হয়েছে। ঢোকা হল টয় শপে। সে মেয়ে তো যা দেখে সেটাই তার লাগবে। আর আমার বন্ধুও কিছু বলতে পারছে না সবার সামনে। সত্যি বলতে কি আমারও একটু বিরক্তই লাগছিল। কিন্তু সমস্যাটা হল তারপরে, যখন ওর মা রেগে গিয়ে একটা থাপ্পর কষালো বাচ্চাটির (child) গালে। সেও দেখি উল্টে মা কে কামড়ে দিল আর আঁচড়েও দিলো খানিক। মাঝখান থেকে আমি একটা বিশ্রী পরিস্থিতিতে! এরপর আর বেড়ানো, শপিং মাথায় তুলে যে যার বাড়ি ফিরে গেলাম।
এই ঘটনাটা আপনারও কি চেনা চেনা মনে হচ্ছে? হতেই পারে, কারণ অনেকের সাথেই এরকম ঘটনা ঘটে। অনেক মা-বাবাই (parents) অভিযোগ করেন যে তাঁদের সন্তান নাকি ভীষণ জেদি (stubborn)। আর তার সাথে আরও একটা অভিযোগ যুক্ত হয় যে বাচ্চা নাকি কথা শোনে না। না, শুধু মা-বাবার (parents) না, বাড়ির কিম্বা বাইরের কারও কথাই নাকি শোনে না। কিন্তু একটা কথা বলুন তো, সব দোষ কি ওই বাচ্চাটার (child) নাকি মা-বাবারও (parents) সমান দোষ রয়েছে বাচ্চার জেদি আর অবাধ্য হয়ে ওঠার পেছনে?
আসলে কি বলুন তো, একটা ছোট শিশুকে যা শেখানো হবে, সে তাই শিখবে; যা দেখবে সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করবে; কারন একটা বাচ্চার (child) মধ্যে কোনটা ভালো আর কোনটা ভালো নয়, সেটা বোঝার মতো ক্ষমতা থাকে না। সব মা-বাবাই (parents) চান তার সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করতে, তার কোন রকম অভাব না রাখতে। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই বাচ্চা যখন যা বায়না করে সেটা তাকে দিয়ে ফেলেন। এটা হয়ত নিজের অজান্তেই করে ফেলেন মা-বাআ কিম্বা বাড়ির অন্য সদস্যরা; কিন্তু এটা করে যে কখন বাচ্চা জেদি (stubborn) হয়ে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারেন না।
বাচ্চার জেদ কম করার জন্য কি কি করা উচিত
- বাচ্চাকে দুমদাম চড়-থাপ্পর মারাটা কোন সমাধান নয়, এতে বাচ্চা আরও বেশি জেদি (stubborn) হয়ে যাবে। বরং তাকে শান্তভাবে বোঝান যে সে যে জিনিসটা এই মুহূর্তে চাইছে সেটা তাকে এখন দেওয়া যাবে না।
- রিওয়ার্ড সিস্টেম চালু করুন, অর্থাৎ বাচ্চাকে (child) বলুন যে ১ ঘণ্টা শান্ত হয়ে বসতে এবং একঘণ্টা পর যদি দেখেন যে বাচ্চা শান্ত আছে তাহলে তাকে কোন একটা প্রাইজ দিন। না সব সময়ে যে দামী উপহার দিতে হবে তা নয়, ছোটখাটো কিছু একটা দিন।
- ভুল করেও অন্য বাচ্চাদের সাথে তুলনা টেনে আনবেন না। বর্ধমানের মাসির ছেলে কত ভালো কিম্বা নৈহাটির পিসির মেয়ে কত বাধ্য সে কথা বলতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভাই-বোনের সম্পর্কে রেষারেষি চলে আসতে পারে এবং আপনার বাচ্চা কিন্তু আরও বেশি জেদি (stubborn) হয়ে যেতে পারে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা ও কোটস