গতবছর লিংকডইনের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৫৫% ভারতীয়রা অফিসজনিত বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে থাকেন। এমনকি সেখান থেকে তারা অবসাদে চলে যান! গবেষণাতে দেখা গেছে তাঁরা মূলত তিনটি কারণে খুব দুশ্চিন্তায় থাকেন (how to deal with work stress and anxiety)
- তারা পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে ব্যালেন্স কিভাবে রাখবেন তা বুঝতে পারেন না।
- তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী তারা পেমেন্ট পান না কোম্পানি থেকে।
- যত তাড়াতাড়ি তারা ভেবেছিলেন উন্নতি করবেন কোম্পানিতে তত দ্রুত উচ্চ পদে যেতে পারেন না।
আজ তাই কিছু টিপস বলব আপনাদের যাতে অফিসজনিত দুশ্চিন্তা থেকে আপনি মুক্ত হন এবং মন দিয়ে কাজ করে নিজেকে যোগ্যভাবে গড়ে তুলতে পারেন।
শুরুটা ভাল করুন
আপনি অফিস আসার আগে কি করেন? ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেন, কর্মরতা মা হলে বাচ্চা এবং পরিবারের জন্য রান্না, টিফিন বানান, স্কুলের জন্য বাচ্চাকে তৈরি করেন, তারপর ভিড় বাসে ঠেলাঠেলি সামলে বা জ্যামে দাঁড়াতে দাঁড়াতে অফিসে আসেন। ফলে আপনার মেজাজ যে কোথায় চড়ে থাকে তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে আপনি কি জানেন ঠিক এই মুডের জন্য আপনার কাজের বা অফিসের কথা ভাবলেই অবসাদ চলে আসে। তাই দিনের শুরুটা ভাল করে করুন, আগে থেকে প্ল্যান করে রাখুন। তাহলে অনেক পরিপাটি ভাবে সব হয়ে যাবে আর আপনি অফিসে দুশ্চিন্তাও কম করবেন। (how to deal with work stress and anxiety)
গোছানো হন
কোন কাজটি আগে করতে হবে, কোন কাজের গুরুত্ব এই মুহূর্তে কতটা সেটা পরিষ্কার ভাবে আগে জেনে নিন তারপর সেই কাজগুলিকে পরপর গুছিয়ে করার চেষ্টা করুন। অফিস ডেস্কে একটা টাইম টেবিল মেনটেন করুন আর একটা করে কাজের পরে টিক দিতে থাকুন। দেখবেন কাজ কমতে থাকলে দুশ্চিন্তাও কমতে থাকবে।
মাল্টিটাস্কিং মিথ
আপনি যদি প্রাইভেট জব করেন তাহলে মাল্টিটাস্কিং কথাটি আপনি কতবার শুনেছেন তা আমি আন্দাজ করতে পারছি। তবে শুনে সেটিকে খুব সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই বরং আপনি একটি করে কাজ মন দিয়ে ভালভাবে শেষ করলে সেটি অনেক বেশি পেশাগত ভাবে সঠিক আর দায়িত্বপূর্ণ কাজ হবে। সাথে বাকিরা করছে আমি কেন পারছি না বলে অকারণ দুশ্চিন্তাটাও আপনার কমবে। (how to deal with work stress and anxiety)
পারফেকশনিস্ট হতে হবে না
আপনার কাজ আপনি সময়ে এবং যেমনটি চেয়েছে সেই অনুযায়ী করে জমা দিয়ে দিন। সব কাজ করার সময় কিভাবে এটি পারফেক্ট হবে যাতে সবাই প্রশংসা করে সেটা বারবার ভাবতে হবে না। এতে আপনি নিজেকে চাপে ফেলবেন শুধু ব্যস। কাজকে খুব ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে যাবেন না, একটু প্রফেশনাল থাকুন।
এগুলো হল বেসিক টিপস যা মেনে চললে দেখবেন অনেক রিল্যাক্স ভাবে আপনি থাকবেন। আগের থেকে অনেক ভাল থাকবেন আর অবশ্যই বাড়িতে কাজ নিয়ে আসবেন না। পরিবারের সাথে সময় কাটান বাড়ি ফিরে, আপনার মনের রিচার্জ হয়ে যাবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও! বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্টেড হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPx আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!o App