প্রতিবেদনের শিরোনাম পড়ে কি চিন্তায় পড়ে গেলেন? Hair Porosity – এই ব্যাপারটা কী সেটাই ভাবছেন তো! কথা বলব আমরা সে-বিষয়ে। তবে তার আগে কয়েকটি প্রশ্ন আছে –
- আপনার কি চুল খুব বেশি রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে?
- হেয়ার মাস্ক, প্যাক, অথবা নানা ট্রিটমেন্ট করানোর পরেও অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছে না?
- যে শ্যাম্পুই ব্যবহার করুন না কেন চুল ফ্রিজি হয়েই থাকছে?
ওপরের প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটির উত্তরও যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তা হলে কিন্তু সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ আপনার hair porosity-র মাত্রা অত্যন্ত বেশি। কীভাবে বুঝবেন, কীভাবেই বা তার থেকে মুক্তি পাবেন সব উপায়ই জানিয়ে দেব কিন্তু তার আগে জেনে নেওয়া দরকার hair porosity ব্যাপারটা কী!
Hair Porosity কী?
আপনার চুলের কিউটিক্যাল কতটা ময়শ্চার গ্রহণ করতে পারে এবং তা ধরে রাখতে পারে তা থেকেই বোঝা যায় আপনার চুলের ধরন কেমন। আপনি যদি আপনার চুলের ধরন বা hair porosity-র মাত্রা বুঝতে পারেন তা হলে সেভাবেই আপনি চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রোডাক্ট বাছতে পারবেন এবং অজান্তেই চুলের ক্ষতি করা বন্ধ করবেন। সাধারনত চুলের ধরন বা hair porosity-র মাত্রা তিন প্রকার হয় –
লো হেয়ার পোরোসিটি (Low Hair Porosity)
চুলের কিউটিক্যাল খুব ঘনভাবে একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে এবং চুলে বাইরে থেকে ময়শ্চার ঢুকতে পারে না এবং চুলের স্বাভাবিক ময়শ্চারের কাজ করার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়, ফলে এই ধরনের চুলে কোনও রকম ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার প্রোডাক্ট কাজ করে না এবং স্ক্যাল্পেই সব প্রোডাক্ট জমতে থাকে আর চুলের সঙ্গে স্ক্যাল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মিডিয়াম বা নর্মাল হেয়ার পোরোসিটি
এই ধরনের চুলে বাইরে থেকে ময়শ্চার অনায়াসে ঢুকতে পারে এবং ময়শ্চার ধরে রাখতেও পারে। এর ফলে চুল হয়ে ওঠে নরম, জেল্লাদার এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। নানা ধরনের হেয়ার ট্রিটমেন্ট এবং প্রোডাক্টও এরকম চুলে ভালই কাজ করে।
হাই হেয়ার পোরোসিটি
এই রকম চুল বাইরে থেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ময়শ্চার গ্রহণ করে ফেলে ফলে চুল সব সময়ে নেতিয়ে থাকে এবং কোনও ভলিউমই দেখা যায় না। চুল নেতিয়ে থাকলেও রুক্ষ হয়ে থাকে, নরম এবং শাইনি হয় না।
কীভাবে বুঝবেন আপনার চুলের ধরন কেমন
আপনার হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা কম না বেশি নাকি একদম পারফেক্ট, কীভাবে বুঝবেন সেটাই ভাবছেন তো? বাড়িতে বসে খুব সহজে আপনি জেনে নিতে পারেন যে, আপনার hair porosity-র মাত্রা কতটা। একটি পরিষ্কার কাচের গ্লাসে জল নিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন জল যেন ঠান্ডা বা গরম না হয়, তা যেন রুম টেম্পারেচরেরই হয়। কয়েকটি চুল নিয়ে ওই জলে ফেলে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। এই সময়টা খুব ভালভাবে লক্ষ্য করুন যে যখন আপনি চুল জলের মধ্যে ফেলছিলেন তখন চুলগুলো গ্লাসের নীচ পর্যন্ত কতটা সময় ধরে পড়ছিল। যদি খুব তাড়াতাড়ি চুল জলের নীচে চলে যায় তা হলে বুঝতে হবে আপনার hair porosity-র মাত্রা বেশি। যদি দেখেন যে ধীরে-ধীরে চুল গ্লাসের নীচে যাচ্ছে তা হলে বুঝবেন আপনার হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা মিডিয়াম এবং চিন্তার কোনও কারণ নেই। আর যদি চুল জলে ভাসে অথবা গ্লাসের নীচ পর্যন্ত না পৌঁছয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনার hair porosity-র মাত্রা খুবই কম বা লো।
Low Hair Porosity যুক্ত চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন
এই ধরনের চুলে যেহেতু বাইরে থেকে ময়শ্চার ঢুকতে পারে না কাজেই এই ধরনের চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখা খুব প্রয়োজন। যখনই চুলে তেল লাগাবেন সামান্য গরম করে নিন। নারকোল তেল, জবাফুলের তেল বা আরগন অয়েল আপনি এই ধরনের চুলে মালিশ করতে পারেন।
অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল এবং পাকা কলা একসঙ্গে মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে দু’সপ্তাহে একবার করে চুলে লাগান।
খুব একটা রাসায়নিক পদার্থযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যাতে স্ক্যাল্প থেকে ময়লা দূর করতে সুবিধে হয়। প্রয়োজনে কোনও মাইল্ড শ্যাম্পু প্রতিদিনও ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর কিন্তু অবশ্যই খুব ভাল করে মাথা ধোবেন যাতে কোনও প্রোডাক্ট স্ক্যাল্পে থেকে না যায়।
High Hair Porosity যুক্ত চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন
এই ধরনের চুল আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ময়শ্চার গ্রহণ করে এবং নেতিয়ে থাকে, কিন্তু শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়েই থাকে যেহেতু এই ধরনের চুলের কিউটিক্যাল একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে না। এরকম চুলে কিন্তু স্প্লিটএন্ডস-এর সমস্যাও দেখা যায়।
একদিন অন্তর একদিন চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে চুল শুস্ক না হয়ে যায়।
নারকেল তেল, জবাফুলের তেল অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে মালিশ
চুলে নানা ধরনের স্টাইলিং করা অর্থাৎ স্ট্রেটনিং, কার্ল, রঙ করা ইত্যাদি বন্ধ করুন, কিছুদিনের জন্য হলেও।
হেয়ার সিরাম, হেয়ার স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From Care
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA