যে কোনও সম্পর্কেই সঙ্গীর ওপর ইমোশনালি ডিপেন্ডেন্ট হয়ে পড়াই খুব স্বাভাবিক। কারণ, সম্পর্কের গোড়ার কথাই তো অনুভূতি বা ইমোশন। কিন্তু এই নির্ভরতা যখন প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়ায় তখন তা সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এটা বলা যেতে পারে, দাম্পত্যের ভিত্তি কিন্তু একে অপরের উপর বিশ্বাস আবার নিজস্বতাও। এই দুইয়ের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম বিভাজন রেখা রয়েছে। আপনি এই বিভাজন রেখার কোন দিকে? আপনি আপনার সঙ্গীর উপর কোনও ভাবে বেশিই নির্ভর (emotional dependency on your partner)হয়ে পড়ছেন না তো? যদি হয়ে থাকেন, তবে আজই সতর্ক হন। কারণ, এতে ক্ষতি করছেন নিজেরই। আবার সম্পর্কেরও ক্ষতি হতে পারে।
আপনার পার্টনারের কথা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না?
আপনার পার্টনার যদি তাঁর চাহিদাকেই বেশি গুরুত্ব দেন, তবে তাঁর সেই চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে চলা খুবই কঠিন। তার চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে দিতে আপনিও ভুলে যান আপনি আসলে কী চেয়েছিলেন। তাহলে এই পরিস্থিতিতে আপনি কীভাবে ম্যানেজ করবেন। কারণ, আপনি যদি নিজে শক্ত হতে পারেন তাহলেই একমাত্র আপনার সম্পর্কও ঠিক থাকবে (emotional dependency on your partner)।
আপনি কেন পার্টনারের উপর ইমোশনালি ডিপেন্ডেন্ট?
আপনার জানা প্রয়োজন, আপনি কেন পার্টনারের উপর ইমোশনালি ডিপেন্ডেন্ট (emotional dependency on your partner) হয়ে পড়ছেন। হয়ত আপনার কিছু হারানোর ভয় রয়েছে বলে আপনি ভয় পাচ্ছেন কিংবা আপনি ইনসিকিওর বোধ করছেন। কারণ যাই হয়ে থাকুক না কেন আপনার সেই কারণটি খুঁজে বের করতেই হবে। আপনি আপনার কোনও প্রিয় জনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন বা কোনও থেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন। কেন আপনি আপনার পার্টনারকে এত বেশি আঁকড়ে থাকছেন, তা নির্ধারণ করা খুবই প্রয়োজন। কারণ জানলেই তার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব।
কেন সব সময় তাঁকে আঁকড়ে রাখতে চান?
নিজস্ব মুহূর্তগুলোকে ভালবাসতে শিখুন
আপনি ও আপনার পার্টনার খুব ঘনিষ্ঠ হলেও যে কোনও সম্পর্কে নিজের স্বাধীনতা বজায় (emotional dependency on your partner) রাখাই শ্রেয়। দুই জন যদি দুই জনের নিজস্বতা বজায় রাখেন তবে সম্পর্কও গাঢ় হবে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সফল, স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক দুই জনকেই এমন একটি বন্ধন গঠনের সুযোগ দেয়, যা তাদের কেবল একসঙ্গে বাঁচতে শেখায় না বরং মানুষ হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে বাঁচার উৎসাহ দেয়। একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া যেমন থাকবে, তেমনই নিজের স্বায়ত্বশাসনের বোধ থাকাও প্রয়োজন। এছাড়াও, আপনি যদি নিজের ভাল লাগাই ভুলে যান, কিংবা আপনার ভাল থাকা ভুলে যান, তবে তার প্রভাব সম্পর্কে পড়বে না এই কথা আপনাকে কে বলল?
নিজের পছন্দের কাজ করুন
আপনি যদি স্বনির্ভরশীল হতে চান তাহলে নিজের ভাল লাগা বা হবির জন্য সময় দিন। এমন কিছু করুন, যার সঙ্গে আপনার পার্টনারের কোনও সম্পর্ক নেই। আপনার সম্পর্কের থেকে অনেক দূরে নতুন কিছুর ওপর আগ্রহী হয়ে পড়া আপনার মধ্যে অনেক বেশি স্বাধীনচেতা মনোভাবের জন্ম দেবে।
নতুন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন
শুধুমাত্র সখই আপনাকে অনেক বেশি স্বাধীন করে তুলবে তা নয়, আপনার সঙ্গে নতুন মানুষের পরিচিতি হওয়াও প্রয়োজন। আপনার বন্ধু মহল বাড়তে থাকলে, ভাল মানুষের সঙ্গে পরিচিতিও আপনাকে অনেক বেশি স্বাধীনতার স্বাদ দেবে। একজন মানুষের প্রতি সব কিছুর আস্থা রাখা অহেতুক। সেটা কখনই বাস্তবে সম্ভব নয়। তাই আপনার অনান্য শখ ও বন্ধুর একান্ত প্রয়োজন।
সামাজিক কাজের দিকে মন দিন
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে কোনও সামাজিক কাজের মধ্যে যদি নিজেকে নিযুক্ত করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জীবনে বাঁচার নতুন অর্থ তৈরি করবে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এই বিষয়টি খুব দরকার। এটা আপনাকে এমন কিছু অনুভূতি দেবে যা আপনাকে নিজেকে ভালোবাসতে সাহায্য করবে। হয়তো অন্যেরও আপনার সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। এটা আসলে আপনার কাছেই আপনার জয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!