এখন অনেক অভিভাবকই বলেন, তাঁদের সন্তান নাকি খুবই একগুঁয়ে বা জেদী। মানে, যা আবদার করবে তা তো মেটাতে হবেই আর তখনই মেটাতে হবে। যা বলবে সবই বাবা,মাকে শুনতে হবে। না শুনলেই কান্নাকাটি, চিৎকার। অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার আগে তাই অনেকবার ভাবেন। যদি সেখানে গিয়ে তাঁদের সন্তান জেদ করে তখন কীভাবে সামলাবেন সন্তানকে? কোনও কথা বারণ করলেও সন্তান শুনতে চায় না (handle stubborn child)।
বরং, সেই কাজটাই আরও বেশি করে করতে থাকে। তখন রাগের মাথায় বাচ্চাকে মারধরও করেন অভিভাবকরা। কিন্তু মারধর করলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তা নয়, তারপর আবার যে কে সেই! তাই এইভাবে সন্তানের জেদ (handle stubborn child)আপনি কমাতে পারবেন না।
বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলুন
সন্তান একটু বড় হলেই তখন তার জেদ অসহনীয় হয়ে যায়। কোনও কথাই শুনতে চায় না। তখন তার উপর চিৎকার করবেন না। আপনি চিৎকার করলে সে আরও অবাধ্য হয়ে উঠতে পারে। আপনার কথা মতো সেই সময় চুপ করলেও পরে সেই বিষয় নিয়েই ভাবতে পারে। আবার সেই একই কাজ করতে পারে। তাই সেই মুহূর্তেই তাকে বুঝিয়ে বলুন। প্রথমে তাকে সেই জায়গা থেকে দূরে নিয়ে যান। তারপর তাকে বুঝিয়ে বলুন কেন তার এরকম করা উচিত নয় (handle stubborn child)।
বাচ্চার উপর জেদের মুহূর্তে চিৎকার করবেন না
আপনার সন্তান জেদ করছে। হয়তো চিৎকার করে কান্নাকাটি করছে। আপনিও সেই সময়ে চিৎকার করবেন না। আপনার চিৎকার তার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে (handle stubborn child)।
কথায় কথায় গায়ে হাত তুলবেন না
কোনও ছোট জেদেও যদি আপনি বাচ্চাকে মারধর করেন (handle stubborn child), তবে তার উপর তা খারাপ প্রভাব ফেলবে। আপনার সন্তান ভাববে, মা হয়তো একটু মারধর করবে তারপর আর কিছু করবে না। সেই বিষয়টা তার কাছে খুবই সহজ হয়ে যাবে। তাই অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন। সব সময় সন্তানকে মারধর করবেন না। বরং, তার মধ্যে একটা ভয় তৈরি করতে পারেন। যেরকম কল্পনার চরিত্র দিয়ে আমরা ছোটদের ভয় দেখিয়ে থাকি। সেই স্মৃতি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়।
নির্দিষ্ট বিষয় থেকে অমনযোগী করে দিন
হয়তো মেলায় গিয়ে একটা খেলনা নেওয়ার জন্য আপনার সন্তান খুব জেদ করছে। সবার সামনে কান্নাকাটি করছে। তখন তাকে বকাবকি না করে, সেই জায়গা থেকে নিয়ে চলে যান। কিংবা সেই খেলনা কখনওই তাকে কিনে দেবেন না। যতই চিৎকার করুক আপনি চুপ করে থাকবেন। তাকে সেই জায়গা থেকে জোর করে সরিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তাকে তার পছন্দের খাবার খাওয়াতে পারেন। আপনার সন্তান ততক্ষণে সেই খেলনার কথা ভুলে যাবে। তার মনেও থাকবে না। এইভাবে পরিস্থিতিটা সামাল দিন। তবে বাচ্চার সুরক্ষার কথাও মাথায় রাখুন। ওয়াইপস ব্যবহার করুন।
বাচ্চার সঙ্গে আপনিও জেদ করবেন না
অনেক অভিভাবক বাচ্চার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেদ করেন (handle stubborn child)। কিন্তু আপনি তো বড়, আপনার কি জেদ করা মানায়? সেই বিষয়টা ভেবে দেখবেন। বাচ্চা কিছু না বুঝে জেদ করে, কিন্তু আপনি তো বিষয়টা বোঝেন। সেই মতোই পরিস্থিতি সামাল দিন।
জেদকে গুরুত্ব দেবেন না
বাচ্চা জেদ করে কান্নাকাটি করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই। আপনি গুরুত্ব না দিলে পরিবারের অন্য় সদস্যের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করতে পারে। আপনি ও আপনার পরিবারের অন্য সদস্য কেউ যেন সেই মুহূর্তে বাচ্চার জেদে গুরুত্ব না দেয়। সে নিজের মতো কান্নাকাটি করতে করতে যখন দেখবে বাকিরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, সে চুপ করে যাবে।
কখনও জেদের দাবি মেটাবেন না
প্রচণ্ড জেদ করে কান্নাকাটি করলেও আপনি চুপ করে থাকবেন। প্রতিবার জেদ করে কিছু চাইলে যদি আপনি দিয়ে দেন, তাহলে সে জেনে যাবে মা রাগ করলেও তাকে পছন্দের খেলনা কিনে দেবে বা জেদের দাবি মিটিয়ে দেবে। আপনি এই বিষয়টা তাই খেয়াল রাখবেন (handle stubborn child)।
ছবি সৌজন্য- হামি
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!